শুক্রবার, ২২শে নভেম্বর, ২০২৪ ইং
কমাশিসা পরিবারবিজ্ঞাপন কর্নারযোগাযোগ । সময়ঃ রাত ২:০১
Home / খোলা জানালা / আদালত অবমাননা : দুই মন্ত্রীকে ৫০ হাজার টাকা করে জরিমানা করা হল

আদালত অবমাননা : দুই মন্ত্রীকে ৫০ হাজার টাকা করে জরিমানা করা হল

99a3a21a3e17771c807b6172f1620b69-1অনলাইন ডেস্ক :: আদালত অবমাননার দায়ে খাদ্যমন্ত্রী কামরুল ইসলাম ও মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হককে দোষী সাব্যস্ত করেছেন দেশের সর্বোচ্চ আদালত। তাঁদের প্রত্যেককে ৫০ হাজার টাকা করে জরিমানা করা হয়েছে। অনাদায়ে সাত দিনের কারাদণ্ডের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
প্রধান বিচারপতি সুরেন্দ্র কুমার সিনহার নেতৃত্বাধীন আপিল বিভাগের আট সদস্যের বেঞ্চ আজ রোববার এ আদেশ দেন।
সর্বোচ্চ আদালতে আজকের এই আদেশের পর দুই মন্ত্রী স্বপদে থাকতে পারবেন কি না সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের উত্তরে অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম বলেন, এই বিষয়ে এই মুহূর্তে আমার পক্ষে নির্দিষ্ট করে কিছু বলা সম্ভব না। সংবিধানে এ বিষয়ে বিস্তারিত কিছু বলা আছে বলে আমার মনে হয় না। তবে এর সঙ্গে নৈতিকতার ব্যাপারিট জড়িত। পরে তিনি বলেন, এ বিষয়ে মন্ত্রিসভা সিদ্ধান্ত নেবে।
আদেশে আদালত বলেন, দুই মন্ত্রী নিঃশর্ত ক্ষমা চেয়ে এবং অভিযোগ থেকে অব্যাহতি চেয়ে যে আবেদন করেছেন তা আমরা গ্রহণ করতে রাজি নই। আবেদনকারীরা মন্ত্রী, সাংবিধানিক পদধারী। তাঁরা সংবিধান রক্ষার শপথবদ্ধ। তাঁরা যে মন্তব্য করেছেন, প্রধান বিচারপতি ও সর্বোচ্চ আদালতকে অবমাননা করে তাঁরা যে বক্তব্য দিয়েছেন, তা আমাদের কাছে উদ্দেশ্যমূলক বলে মনে হয়েছে। তাঁদের বক্তব্য বিচার প্রশাসনে হস্তক্ষেপের শামিল এবং বিচার বিভাগের মর্যাদা ক্ষুণ্ন করেছে। যদি তাঁদের ছেড়ে দেওয়া হয় তাহলে যেকোনো ব্যক্তি বিচার বিভাগ সম্পর্কে একইরকম অবমাননাকর বক্তব্য দেবেন। এ জন্য তাঁদের আমরা গুরুতর আদালত অবমাননার দায়ে দোষী সাব্যস্ত করছি। তবে তাঁরা প্রথম সুযোগেই নিঃশর্ত ক্ষমা চাওয়ায় শাস্তি দেওয়ার ক্ষেত্রে উদারতা দেখানো হচ্ছে। দুই মন্ত্রীকে আগামী সাত দিনের মধ্যে ইসলামিয়া চক্ষু হাসপাতাল ও লিভার ফাউন্ডেশন বাংলাদেশে এই টাকা জমা দিতে হবে।

আদালতে খাদ্যমন্ত্রী কামরুল ইসলামের পক্ষে ছিলেন, আইনজীবী আবদুল বাসেত মজুমদার ও মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হকের পক্ষে ছিলেন আইনজীবী আইনজীবী রফিক-উল হক। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন, অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম।

আদালত প্রাঙ্গণ থেকে বেরিয়ে যাচ্ছেন মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক। ছবি: হাসান রাজাএর আগে ১৫ মার্চ মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রী মোজাম্মেল হক আদালতে উপস্থিত হলেও সরকারি কাজে বিদেশে থাকা খাদ্যমন্ত্রী কামরুল ইসলাম ছিলেন না। ওই দিন তাঁদের আইনজীবীদের সময়ের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে আদালত শুনানি মুলতবি করে ২০ মার্চ পুনর্নির্ধারণ করেন। ২০ মার্চ দুই মন্ত্রীই আদালতে হাজির হন। তবে ওই দিন কামরুল ইসলামের লিখিত ব্যাখ্যা আদালত গ্রহণ করেননি। নতুন করে ব্যাখ্যা দেওয়ার জন্য আদালত কামরুল ইসলামকে ২৭ মার্চ পর্যন্ত সময় দেন। ২৪ মার্চ নতুন করে ব্যাখ্যা জমা দেন খাদ্যমন্ত্রী।
৫ মার্চ একাত্তরের ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটি আয়োজিত এক গোলটেবিল আলোচনায় খাদ্যমন্ত্রী কামরুল ইসলাম একাত্তরের মানবতাবিরোধী অপরাধে ফাঁসির আদেশ পাওয়া মীর কাসেম আলীর আপিল মামলা পুনরায় শুনানির দাবি জানান। ওই শুনানিতে প্রধান বিচারপতি ও রাষ্ট্রের প্রধান আইন কর্মকর্তা হিসেবে অ্যাটর্নি জেনারেলকে অংশ না নেওয়ার পরামর্শ দেন তিনি। একই অনুষ্ঠানে মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রী মোজাম্মেল হকও প্রধান বিচারপতিকে নিয়ে কিছু মন্তব্য করেন। সূত্র. প্রথম আলো।

About Islam Tajul

mm

এটাও পড়তে পারেন

কওমি মাদরাসা কল্যাণ ট্রাস্ট, বাংলাদেশ

খতিব তাজুল ইসলাম ট্রাস্টের প্রয়োজনীয়তাঃ কওমি অংগন একটি স্বীকৃত ও তৃণমূল প্লাটফর্ম। দেশ ও জাতির ...