বিবৃতিতে বলা হয়, বাংলাদেশ শতকরা ৯০ ভাগ মুসলমানের দেশ। বাংলাদেশের সংবিধানে রাষ্ট্রধর্ম ইসলাম অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। পৃথিবীর অনেক মুসলিম দেশেই রাষ্ট্র ধর্ম ইসলাম রয়েছে। জনগণের পক্ষ থেকে এমন কোনো দাবি ওঠেনি যে, সংবিধান থেকে রাষ্ট্রধর্ম ইসলাম বাতিল করতে হবে। হাতেগোনা কতিপয় রাষ্ট্র ও ধর্ম বিদ্বেষী ব্যক্তিকে খুশি করার জন্য সরকার যদি সংবিধান থেকে রাষ্ট্রধর্ম ইসলাম বাদ দেওয়ার উদ্যোগ গ্রহণ করে তাহলে এ দেশের সংখ্যাগরিষ্ঠ মানুষ তা কখনো মেনে নিবে না। যে সব ব্যক্তি রাষ্ট্রধর্ম ইসলাম থাকলে সংখ্যালঘু সম্প্রদায় ক্ষতিগ্রস্ত হবে বলে যুক্তি দেখাচ্ছেন তা মোটেই গ্রহণযোগ্য নয়।
বিবৃতিতে আরও বলা হয়, ধর্মনিরপেক্ষতার দাবিদার অনেক দেশেই সাম্প্রদায়িক দাঙ্গায় বহু মানুষের জানমাল ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। অথচ বাংলাদেশে রাষ্ট্রধর্ম ইসলাম থাকার পরও এ দেশে সাম্প্রদায়িক-সম্প্রীতি বজায় রয়েছে। বাংলাদেশে কখনো সাম্প্রদায়িক দাঙ্গা হয় না। সংখ্যালঘুদের ধর্মীয় অধিকারের প্রতি সংখ্যাগরিষ্ঠ মুসলমানগণ সর্বদা শ্রদ্ধাশীল।
বিবৃতিতে হুমকি দিয়ে বলা হয়, রাষ্ট্রধর্ম ইসলামের সঙ্গে এ দেশের মানুষের আবেগ-অনুভূতি জড়িত। এ আবেগ-অনুভূতিকে গুরুত্ব না দিয়ে সরকার যদি রাষ্ট্রধর্ম ইসলাম বাদ দেয়ার উদ্যোগ গ্রহণ করেন তাহলে তা দেশের জন্য কল্যাণ বয়ে আনবে না।