একবার রীট খারিজ করা হলেও বর্তমানে আবার ২৮ বছর আগের বস্তাপচা রীট পুনরুজ্জীবিত করায় ধর্মপ্রাণ মানুষ চরম ক্ষুব্ধ। মার্কিন ও ভারতীয় মিডিয়ায় অগ্রিম বলা হচ্ছে, বাংলাদেশের সংবিধান থেকে ইসলামের শেষ চিহ্নটুকুও এবার মুছে ফেলা হবে। এ বিষয়ে তাওহিদী জনতা উদ্বেল, ইসলামী নেতৃবৃন্দ সোচ্চার। কিন্তু সরকার রহস্যজনক নীরব। অতএব, ৯২ ভাগ মানুষ যারপরনাই শংকিত। জানা তো নেই, আল্লাহর উপর আস্থা ও বিশ্বাস, অবিকৃত বিসমিল্লাহ ও মুসলিম বিশ্বের বিশেষ বন্ধুত্বের মত এবার রাষ্ট্রধর্ম ইসলামও কি সংবিধান থেকে কেউ তুলে দিচ্ছে কিনা! ৯২ ভাগ মুসলমানের সংবিধানে ঈমান, ইসলাম বিরোধী জঘন্য নাস্তিকতা ও ধর্মহীনতার বিষাক্ত বীজ আরো বেশি করে কেউ ঢুকাচ্ছে কিনা। এ বিষয়ে মানুষ ভীত-আতঙ্কিত।
২৭ তারিখ রীটের শুনানীতে ১২ জন এমিকাস কিউরি ডাকা হয়েছিল, দু’জন রেখে ১০ জনকে আদালত বাদ দিয়ে দিয়েছে শুনে বিশ্বাসী মানুষ দিশেহারা। কী হতে যাচ্ছে ২৭ তারিখ। কী হবে ১৫ কোটি মুসলমানের? তারা কি নিজের রাষ্ট্রে অপাঙক্তেয় হয়ে যাবে? তারা কি নিজ দেশের সর্বোচ্চ আইনী দলিল সংবিধানে নিশ্চিহ্ন হয়ে যাবে? এ ইস্যুতে দলমত নির্বিশেষে প্রতিটি ঈমানদার মানুষ ও নবীর উম্মতকে ঈমানী পরিচয় রক্ষার শেষ লড়াইয়ে অংশ নিতে আহ্বান জানিয়েছিলেন ধর্মীয় নেতৃবৃন্দ। আলেম, উলামা, পীর-মাশায়েখ ও মুসলিম নেতৃবৃন্দ। হেফাজতে ইসলামের কেন্দ্রীয় কমিটির আহ্বানে গতকাল ছিল দেশব্যাপী নিয়মতান্ত্রিক প্রতিবাদ ও শান্তিপূর্ণ বিক্ষোভ। চরমোনাইয়ের পীর সাহেবের আহ্বানে ছিল নানা কর্মসূচি। দেশ হয়ে উঠেছিল মজলুম মুসলমানের শোক, দুঃখ ও প্রতিবাদের আওয়াজে প্রকম্পিত। রাষ্ট্রধর্ম ইসলাম সংবিধান থেকে বাদ দেয়ার চক্রান্তের প্রতিবাদে এবং রাষ্ট্রধর্ম ইসলামের বিরুদ্ধে সচল করা রীট খারিজের দাবিতে গতকাল রাজধানীসহ সারাদেশ ছিল প্রতিবাদ, সমাবেশ, মিছিলে উত্তাল।
গতকাল বাদ জুমা বায়তুল মোকাররম মসজিদের উত্তর গেটে অনুষ্ঠিত বিশাল বিক্ষোভ-পূর্ব সমাবেশসহ অন্যান্য মিছিল ও প্রতিবাদ সভা-সমাবেশে নেতৃবৃন্দ বলেছেন, রাষ্ট্রধর্ম ইসলাম রক্ষার আন্দোলনে, ঈমান রক্ষার ক্ষেত্রে কোন আপোষ মুসলমানরা করতে পারে না। জনগণের ঈমান রক্ষায় রাষ্ট্রধর্ম সংবিধানে রাখতে ব্যর্থ হলে সরকারের ক্ষমতায় থাকার অধিকার নেই। রাষ্ট্রধর্ম ইসলাম বাদ দেয়ার চক্রান্ত বরদাস্ত করা হবে না।
রাষ্ট্রধর্মের বিরুদ্ধে কোন ষড়যন্ত্র সফল হলে তাৎক্ষণিকভাবে মসজিদ, মাদ্রাসা ও ঘর থেকে মুসলমানদের রাস্তায় নেমে আসার আহ্বান জানান। তিনি বলেন, রাষ্ট্রধর্ম নিয়ে চক্রান্ত বন্ধ না হওয়া পর্যন্ত ঈমানদার জনতার আন্দোলন বন্ধ হবে না। ইসলামী জনতার উত্তাল তরঙ্গে রাষ্ট্রধর্ম ইসলামের বিরোধীরা ভেসে যাবে। এছাড়া একই ইস্যুতে রাজধানীর বিভিন্ন স্থানে এবং বিভিন্ন মসজিদে জুমার নামাজ-পূর্ব বক্তব্যে রাষ্ট্রধর্ম ইসলাম বাদ দেয়ার চক্রান্তের তীব্র প্রতিবাদ করা হয় এবং এ সংক্রান্ত রীট বাতিলের দাবি করা হয়। মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর প্রতি নেতৃবৃন্দ আহ্বান রাখেন, কারা সরকারের ভেতর ঘাপটি মেরে বসে মুসলমানদের বুকে ছুরি মারছে খবর নিন। মজলুম মানুষের আর্তধ্বনি আল্লাহর আরশে পৌঁছে যাচ্ছে। রাষ্ট্রধর্মের জন্য ৯২ ভাগ মানুষ বুকের রক্ত দেবে। মাথায় কাঁকন বেঁধে তারা রাস্তায় নেমে আসবে।
গুলশান কেন্দ্রীয় মসজিদের খতীবের একটি নাতিদীর্ঘ বক্তব্য ইত্তেহাদুল উলামা মাশায়েখ-এর পক্ষ থেকে রাজধানীসহ অন্যান্য বড় শহরের মসজিদে বিতরণ করা হয়। যাতে বলা হয়েছে, রাষ্ট্রধর্ম সংবিধানে আমরা বসাইনি। বিভিন্ন সরকার তাদের সুবিধার জন্য এটি বসিয়েছেন ও বহাল রেখেছেন। কিন্তু বর্তমানে একটি গোষ্ঠী রাষ্ট্রধর্ম তুলে দিতে চাইছে। এখন আমরা এটি আর তুলতে দেব না। ইসলাম, আল্লাহ, রাসূল ও ধর্ম নিয়ে ছিনিমিনি খেলা আর চলতে দেয়া যায় না। খুতবাপূর্ব বয়ানে খতীব আল্লামা মাহমুদুল হাসান বলেন, বৃদ্ধবয়সে আল্লাহর পথে জীবন দিয়ে হলেও ইসলাম ও মুসলমানের সাংবিধানিক স্বীকৃতি বহাল রাখব। তওহিদী জনতার জোয়ার এসেছে, নবীনদের সাথে প্রবীণদেরও মাঠে নামতে হবে। এ সময় হাজার হাজার মুসল্লী আবেগ আপ্লুত হয়ে তাকবীর ধ্বনি তোলেন।
গতকাল বাদ জুমা সংবিধান থেকে রাষ্ট্রধর্ম ইসলাম বাদ দেয়ার ষড়যন্ত্রের প্রতিবাদে হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশের কেন্দ্র ঘোষিত কর্মসূচীর অংশ হিসাবে হেফাজতে ইসলাম ঢাকা মহানগরীর আহবায়ক আল্লামা নূর হোছাইন কাসেমী বিক্ষোভ পূর্ব সমাবেশে সভাপতির বক্তব্যে একথা বলেন। সমাবেশে আরো বক্তব্য রাখেন, হেফাজতে ইসলাম ঢাকা মহানগরী যুগ্ম আহবায়ক আল্লামা আবুল কালাম আযাদ, যুগ্ম আহবায়ক ও ইসলামী ঐক্যজোটের চেয়ারম্যান এডভোকেট মাওলানা আব্দুর রাকীব, মহাসচিব খেলাফত মজলিস ড. আহমদ আব্দুল কাদের, যুগ্ম আহবায়ক হেফাজতে ইসলাম মাওলানা আব্দুর রব ইউসূফী, হাকীম আব্দুল করীম খান, সদস্য সচিব মাওলানা জুনায়েদ আল-হাবীব, যুগ্ম আহবায়ক মাওলানা ফজলুল করীম কাসেমী, মাওলানা শফীকুদ্দীন, মাওলানা বাহাউদ্দীন যাকারিয়া, মাওলানা মুজিবুর রহমান হামিদী, শেখ গোলাম আছগর, মাওলানা আহমদ আলী কাসেমী, মাওলানা মুফতি আযহারুল ইসলাম, মাওলানা মুফতি আব্দুস সাত্তার, মাওলানা আলী আকবর, মাওলানা শরীফুল্লাহ, মাওলানা আব্দুল কুদ্দুস, মাওলানা মুহা. ফয়সাল, মাওলানা মঞ্জুরুল ইসলাম, মাওলানা মুজিবুর রহমান, মাওলানা মুতিউর রহমান গাজীপুরী, মাওলানা ওয়ালীউল্লাহ আরমান, মুফতী নাছিরুদ্দীন, মাওলানা হাবীবুল্লাহ ইসলামপুরী, মাওলানা বোরহানুদ্দীন প্রমুখ। হেফাজতে ইসলাম ঢাকা মহানগর দক্ষিণ মুসলিম সংখ্যাগরিষ্ঠ দেশে রাষ্ট্রধর্ম বাতিলের দুঃসাহস সহ্য করা হবে না। রাষ্ট্রধর্ম ইসলাম বহাল রাখতে এদেশের মুসলমানরা জীবন দিতেও প্রস্তুত। শয়তানের দোসররা রাষ্ট্রধর্ম ইসলাম বাদ দেয়ার জন্য ষড়যন্ত্র করছে। রক্তের বিনিময় হলেও আলেম-ওলামাগণ রাষ্ট্রধর্ম ইসলামকে বাদ দিতে দিবে না। রাষ্ট্রধর্ম বাতিলের ষড়যন্ত্রকারী কুলাঙ্গারদের অবিলম্বে বিচার করতে হবে।
গতকাল বাদজুমা সংবিধানে রাষ্ট্রধর্ম বহাল রাখার দাবীতে লালবাগ শাহী মসজিদ থেকে হেফাজতে ইসলাম ঢাকা মহানগর দক্ষিণের উদ্যোগে বিক্ষোভ মিছিল শেষে আজিমপুর গোড়ে শহীদ মাজারের উত্তর পার্শের রাস্তায় সংক্ষিপ্ত সমাবেশে নেতৃবৃন্দ একথা বলেন। মাওলানা জাফরুল্লাহ খানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সমাবেশে অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন, হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশের কেন্দ্রীয় নায়েবে আমীর মাওলানা মোঃ আবদুল লতিফ নেজামী, কেন্দ্রীয় যুগ্ম মহাসচিব মুফতী ফয়জুল্লাহ, মাওলানা যুবায়ের আহমদ, মাওলানা আবুল কাসেম, মাওলানা গোলাম মুহিউদ্দীন ইকরাম, মাওলানা শেখ লোকমান হোসাইন, মুফতী সাখাওয়াত হোসাইন, মাওলানা আলতাফ হোসাইন, মাওলানা আবুল কাসেম কাসেমী ও মাওলানা জালালউদ্দীন প্রমুখ। মাওলানা আব্দুল লতিফ নেজামী বলেন, বিশ্বের বহুদেশে রাষ্ট্রধর্ম বহাল রয়েছে। ধর্ম নিরপেক্ষতার শ্লোগান বর্জন করুন। মুসলিম সংখ্যাগরিষ্ঠ দেশে রাষ্ট্রধর্ম বাতিলের দুঃসাহস দেখানোর পরিণাম শুভ হবে না। খেলাফত মজলিস খেলাফত মজলিস মহাসচিব ড. আহমদ আবদুল কাদের বলেছেন, সংবিধান থেকে রাষ্ট্রধর্ম- ইসলাম মুছে দেয়ার ষড়যন্ত্র এ দেশের জনগণ কোনভাবেই বরদাস্ত করবে না। ৯২ ভাগ মুসলমানের দেশে রাষ্ট্র ধর্ম- ইসলাম আছে এবং থাকতে হবে। রাষ্ট্রধর্ম ইসলাম বাতিলের কোন পদক্ষেপ নিলে ঐক্যবদ্ধ ও কঠোর কর্মসূচির মাধ্যমে তা প্রতিহত করা হবে। বাংলাদেশের সংবিধান থেকে রাষ্ট্রধর্ম ইসলাম বাতিলের ষড়যন্ত্রের প্রতিবাদে খেলাফত মজলিস ঢাকা মহানগরী আয়োজিত বিক্ষোভ মিছিল পরবর্তী সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন। বাদ জুম্মা বায়তুল মোকাররম মসজিদের উত্তর গেটে হাউজ বিল্ডিংয়ের সামনে খেলাফত মজলিস ঢাকা মহানগরী সভাপতি শেখ গোলাম আসগরের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত উক্ত বিক্ষোভ সমাবেশে অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন মাওলানা মুহাম্মদ শফিক উদ্দিন, মাওলানা আজিজুল হক, এডভোকেট জাহাঙ্গীর হোসাইন, ড. মুস্তাফিজুর রহমান ফয়সল, অধ্যাপক আবদুল হালিম, এডভোকেট মোঃ মিজানুর রহমান, মাওলানা আহমদ আলী কাসেমী, অধ্যাপক মুহাম্মদ আবদুল জলিল ও শ্রমিক নেতা মোঃ নূর হোসেন। সমাবেশের পূর্ব এক বিক্ষোভ মিছিল বায়তুল মোকাররমের উত্তর গেট থেকে শুরু হয়ে পল্টন মোড় হয়ে হাউজ বিল্ডিংয়ের সামনে এসে সমাবেশে মিলিত হয়। ইসলামী ফ্রন্ট রাষ্ট্রীয় ধর্ম ইসলাম নিয়ে যে ষড়যন্ত্র শুরু করা হয়েছে তা শক্ত হাতে প্রতিহত করা হবে বলে হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করেছেন বাংলাদেশ ইসলামী ফ্রণ্টের নেতৃবৃন্দ। বাংলাদেশ ইসলামী ফ্রন্ট ঢাকা মহানগরের উদ্যোগে জাতীয় মসজিদ বায়তুল মোকাররম উত্তর গেইট থেকে রাষ্ট্রধর্ম ইসলাম সংবিধানে বহাল এবং ষড়যন্ত্রের প্রতিবাদে বিশাল বিক্ষোভ মিছিল শেষে প্রতিবাদ সমাবেশে বক্তারা আরো বলেন, অতীতে যারা ইসলাম নিয়ে কটাক্ষ করেছে তারা আঁস্তাকুড়ে নিক্ষেপ হয়েছে। এ বিষয়ে সরকার দ্রুত পদক্ষেপ না নিলে সারাদেশে দ্রোহের আগুন জ্বলে উঠবে।
বাংলাদেশ ইসলামী ফ্রণ্ট ঢাকা মহানগরের সাধারণ সম্পাদক মুহাম্মদ আবদুল হাকিমের সঞ্চালনায় প্রতিবাদ সমাবেশে আরো যারা বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ ইসলামী যুবসেনার সভাপতি যুবনেতা অধ্যাপক এম এ মোমেন, সাধারণ সম্পাদক খাজা ফারুক আহমদ, ফ্রন্ট নেতা মাহমুদুল হাসান আনছারী, আহমাদুর রহমান, শাহেদুল আলম চৌধুরী, বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রসেনা’র কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক মোহাম্মদ মাসুদ হুসাইন, গোলাম মাহমুদ মানিক, প্রচার সম্পাদক ইমরান হুসাইনসহ মোহাম্মদ শাহ জালাল ও রইস উদ্দীন, মুখলেছুর রহমান, সাহাবুদ্দীন মীর, বোরহান উদ্দীন, আবদুল কাদের, বায়েজীদ, মোয়াজ্জেম হোসেন, পাক পাঞ্জাতন প্রমুখ। গাজীপুর চৌরাস্তায় তওহিদী জনতার উদ্যোগে বাদ জুমা বিশাল সমাবেশ ও বিক্ষোভ মিছিলে বিভিন্ন ইসলামী দলের নেতৃবৃন্দ বলেন, প্রধানমন্ত্রীর বিবেচনার উপর এখনও মানুষের আস্থা আছে। তবে রাষ্ট্রধর্ম উঠে গেলে মানুষ ঘরে বসে থাকবে না। ইসলামী নেতৃবৃন্দের নির্দেশে তৎক্ষণাৎ মানুষ রাজপথে নেমে আসবে। গুটিকয় দুর্বৃত্ত সংবিধান ও সরকারের সর্বনাশ করছে। তারা ৯২ ভাগ মানুষের অধিকার কেড়ে নিচ্ছে। ধীরে ধীরে মুসলমান বাংলাদেশে তৃতীয় শ্রেণির নাগরিকে পরিণত করা হচ্ছে। কিশোরগঞ্জে বাদ জুমা স্মরণকালের বৃহৎ বিক্ষোভ মিছিল ও প্রতিবাদ সভা অনুষ্ঠিত হয়। হেফাজতে ইসলাম আহূত কর্মসূচিতে যোগদানের জন্য হাজার হাজার মানুষ শহরের কেন্দ্রে জমা হন। বিভিন্ন দলমতের নেতৃবৃন্দ বক্তৃতায় বলেন, হিন্দু বৌদ্ধ খৃস্টান ঐক্য পরিষদ মুসলমানদের বিরুদ্ধে কথা বলে দেশে সাম্প্রদায়িক অস্থিরতা সৃষ্টির পাঁয়তারা করছে। সংকীর্ণ সাম্প্রদায়িক কথা বলে তারা দেশে রায়ট লাগাতে চায়। ময়মনসিংহে তাওহিদী জনতা বিশাল বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ করে। সম্মিলিত ইসলামী দলের নেতৃবৃন্দ বলেন, সরকারের ছত্রছায়ায় একটি সমাজবিরোধী চক্র দেশে মুসলমানদের ধ্বংসের ষড়যন্ত্রে মেতে উঠেছে।
রাজধানীর মিরপুর দশ নং গোল চত্বরে রাষ্ট্রধর্ম সংগ্রাম কমিটির আহবানে এক বিক্ষোভ ও প্রতিবাদ সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভাপতির ভাষণে আল্লামা রহমত উল্লাহ জালালাবাদী বলেন, রাষ্ট্রধর্ম বাতিল হলে সারাদেশ অচল করে দেয়া হবে।
বিক্ষোভ মিছিলপূর্ব সমাবেশে বক্তারা বলেন, রাষ্ট্রধর্ম ইসলাম বহাল রাখা এদেশের শান্তিপ্রিয় ঈমানদার মুসলমানদের ঈমান রক্ষার আন্দোলন। মুক্তিযুদ্ধের সময় দেশরক্ষা ও দেশের স্বাধীনতা ছিনিয়ে আনার জন্য এ দেশের মানুষ যেভাবে অকাতরে বুকের তাজা রক্ত ঢেলে দিয়ে ইতিহাস সৃষ্টি করেছিল, ঠিক রাষ্ট্রধর্ম ইসলাম রক্ষায়ও তৌহিদী জনতা তাজা খুন ঢেলে দেয়ার জন্য প্রস্তুত রয়েছে। দেশের ৯৫ শতাংশ মুসলমানের ধর্মীয় অনুভূতিকে শ্রদ্ধা জানিয়ে রাষ্ট্রধর্ম ইসলামকে সংবিধানে বহাল রাখতে হবে। ৯৫ শতাংশ মুসলমানের ধর্মীয় আবেগ, অধিকার ও মূল্যবোধের বিপক্ষে কোনো সিদ্ধান্ত নিলে তৌহিদী জনতা তা প্রতিহত করার জন্য যা যা করা দরকার সবকিছুই করতে প্রস্তুত রয়েছে। সুতরাং ধর্মদ্রোহীদের পক্ষ থেকে করা তথাকথিত রিট খারিজ করে তৌহিদী জনতার অনুভূতির পক্ষে অবস্থান নিন। অন্যথায় আল্লাহর গজবে সবকিছু তছনছ হয়ে যাবে এবং তৌহিদী জনতার উত্তাল তরঙ্গে সরকার ভেসে যাবে।
সিলেট : সংবিধানে রাষ্ট্রধর্ম ইসলাম বহাল রাখার দাবিতে শুক্রবার বাদ জুম’আ সিলেটের বন্দরবাজার কেন্দ্রীয় জামে মসজিদ থেকে হেফাজতে ইসলাম সিলেটের উদ্যোগে নগরীতে একটি বিশাল বিক্ষোভ মিছিল বের করা হয়। মিছিলটি নগরীর গুরুত্বপূর্ণ সড়ক পদক্ষিণ করে ঐতিহাসিক কোর্ট পয়েন্টে পথসভায় মিলিত হয়।
বিক্ষোভ সমাবেশে বক্তারা বলেন, ‘নব্বই ভাগ মুসলমানের বাংলাদেশের সংবিধান থেকে রাষ্ট্র ধর্ম ইসলাম মুছে দিলে পরিণতি হবে ভয়াবহ। প্রয়োজনে পবিত্র ইসলাম রক্ষার জন্য শাহাদতের তামান্না নিয়ে মাঠে ময়দানে মুসলমানরা ঝাঁপিয়ে পড়বে।’ তারা বলেন, ‘ঈমানদার জনতাকে রোখার শক্তি কারো নেই। বিশ্বের প্রায় ২৫টি রাষ্ট্রের সংবিধানে রাষ্ট্রধর্ম ইসলাম বিদ্যমান রয়েছে’ উল্লেখ করে বক্তারা বলেন, ‘দ্বিতীয় বৃহত্তম মুসলিম রাষ্ট্র বাংলাদেশের সংবিধান থেকে ইসলাম মুছে ফেলার দু:স্বপ্ন কখনো সফল হবে না। তারা বলেন, শান্তির ধর্ম ইসলামকে নিয়ে কোন ধরনের ছিনিমিনি খেলা বরদাশত করা হবে না।’ তারা বলেন, মসজিদ মাদ্রাসা এবং ইসলাম ও মুসলমানদের ইজ্জত রক্ষার জন্য কেন্দ্র ঘোষিত সকল কর্মসূচী বস্তাবায়ন করা হবে।
জেলা হেফাজতের আমীর শায়খুল হাদীস মাওলানা মুহিব্বুল হক গাছবাড়ীর সভাপতিত্বে এবং মহানগরীর সেক্রেটারী মাওলানা মুস্তাক আহমদ খানের পরিচালনায় পথসভায় উপস্থিত ছিলেন- জমিয়তে উলামায়ে ইসলাম বাংলাদেশের যুগ্ম মাহসচিব এডভোকেট মাওলানা শাহিনুর পাশা চৌধুরী, বাংলাদেশ খেলাফত মজলিস সিলেট মহানগর সভাপতি মাওলানা সিরাজুল ইসলাম সিরাজী, জমিয়তে উলামায়ে ইসলাম সিলেট মহানগর সহ-সভাপতি প্রিন্সিপাল মাওলানা মাহমুদুল হাসান, মাওলানা আব্দুল মালিক চৌধুরী, জেলা সহ-সভাপতি মাওলানা খলিলুর রহমান, খেলাফত মজলিস সিলেট মহানগর সহ-সভাপতি আব্দুল হান্নান তাপাদার, জেলা সহ-সভাপতি শাহ আশিকুর রহমান, মহানগর সহ-সভাপতি অধ্যক্ষ আব্দুল হান্নান, বাংলাদেশ খেলাফত মজলিস সিলেট মহানগর সহ-সভাপতি মাওলানা গাজী রহমত উল্লাহ, মাওলানা শাহ মমশাদ আহমদ, ইসলামী ঐক্যজোট সিলেট মহানগর সভাপতি মুফতি ফয়জুল হক জালালাবাদী, জেলা সভাপতি মাওলানা নওফল আহমদ, সহ-সভাপতি মাওলানা জহুরুল হক, খেলাফত আন্দোলন সিলেট জেলা সভাপতি মাওলানা নাসির উদ্দিন, জমিয়তে উলামা সিলেট,জেলা সহ-সভাপতি মাওলানা আব্দুল মুকিত , জমিয়তে উলামায়ে ইসলাম সিলেট মহানগর সাধারণ সম্পাদক মাওলানা সৈয়দ শামীম আহমদ, জেলা সাধারণ সম্পাদক মাওলানা আতাউর রহমান, বাংলাদেশ খেলাফত মজলিস মহানগর সাধারণ সম্পাদক আলহাজ্ব মাওলানা এমরান আলম, খেলাফত মজলিস সিলেট মহানগর সাধারণ সম্পাদক কে এম আবদুল্লাহ আল মামুন, জমিয়তে উলামা সিলেট মহানগর সাধারণ সম্পাদক হাফিজ মাওলানা আহমদ সগীর, খেলাফত মজলিস জয়েন্ট সেক্রেটারী মাওলানা তাজুল ইসলাম হাসান, মাওলানা রওনক আহমদ, হাফিজ সৈয়দ জয়নুল ইসলাম, মুফতি ইমাম উদ্দিন, মাওলানা ফাহাদ আমান, মাওলানা ইব্রাহিম, হাফিজ আব্দুল মালিক, হাফিজ মাওলানা জামাল উদ্দিন, হাফিজ মাওলানা রিয়াজ উদ্দির আল মামুন, মোহাম্মদ বদরুল আলম, হাফিজ ফয়জুল ইসলাম, মাওলানা মাহবুুবুল হক, মাওলানা আলী নূর, মাওলানা আক্তার হোসেন, মাওলানা বিলাল, মাওলানা হামিদুর রহমান আশরাফ, মাওলানা সিরাজুল ইসলাম , মাওলানা আব্দুল আজিজ , মাওলানা জয়নাল আবেদিন , মাওলানা নুর আহমদ , মাওলানা জহুরুল হক , মাওলানা আব্দুল মালিক , মাওলানা আমিন আহমদ রাজু , মাওলানা হাসান আহমদ, মাওলানা মাহাদি হাসান, মাওলানা শাকির হোসেন, হাফিজ সালেহ আহমদ, মোহাম্মদ হোসাইন আহমদ, মোহাম্মদ আব্দুস সহিদ, জাবেদুল ইসলাম চৌধুরী, মাওলানা খায়রুল ইসলাম, বেলাল হোসেন, আব্দুল হাই মাসুম, আহমদ কাওছার, হাফিজ আশরাফুল ইসলাম, মাওলানা তোফায়েল ওসমানী, শাহিদ হাতিমী, হাফিজ শিব্বীর আহমদ প্রমুখ।
ময়মনসিংহ : ‘রাষ্ট্রধর্ম ইসলামকে সংবিধান থেকে বাদ দেওয়ার ষড়যন্ত্রের প্রতিবাদে ময়মনসিংহে বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ করেছে ইত্তেফাকুল ওলামা বৃহত্তর মোমেনশাহী।
গতকাল শুক্রবার বাদ জুমা নগরীর বড় মসজিদের সামনে জেলা ইত্তেফাকুল ওলামার সভাপতি মুফতি মুহিবুল্লাহর সভাপতিত্বে সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। সমাবেশ শেষে একটি বিক্ষোভ মিছিল নগরীর স্টেশন রোড, গাঙ্গিনারপাড় সড়ক ঘুরে নতুন বাজার ট্রাফিক মোড়ে গিয়ে শেষ হয়।
মিছিলপূর্ব সমাবেশে বক্তব্য দেন অন্যদের মধ্যে সংগঠনের প্রচার সম্পাদক মাওলানা মুফতি আমির ইবনে আহাম্মদ, মাওলানা মোহাম্মদ, ইসলামী ঐক্যজোটের সাধারণ সম্পাদক হাফেজ মাওলানা আবু তাহের খান, মুফতি শরীফুর রহমান, মুফতি জাকির হোসেন কাশেমী প্রমুখ ।
সিদ্ধিরগঞ্জ : সংবাদদাতা : সংবিধান থেকে রাষ্ট্রধর্ম ইসলাম বাতিলের ষড়যন্ত্রের প্রতিবাদে ঢাকা-চট্রগ্রাম মহাসড়কে পৃথক পৃথক বিক্ষোভ মিছিল করেছে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ ও হেফাজতে ইসলাম। শুক্রবার জুমা’র নামাযের পর ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ ও হেফাজতের কয়েক হাজার নেতাকর্মী ও মুসল্লী এই বিক্ষোভে অংশ নেয়। বিক্ষোভ শেষে ঢাকা-চট্রগ্রাম মহাসড়কের শিমরাইল মোড়, সানারপাড়, মৌচাক ও সাইনবোর্ড এলাকায় পৃথক পৃথকভাবে তারা বিক্ষোভ মিছিল করে।
শুক্রবার বাদ জুমা সিদ্ধিরগঞ্জের শিমরাইলস্থ মিনার মসজিদ থেকে অনৈসলামিক কার্যকলাপ প্রতিরোধ কমিটির আমীর আতিকুর রহমান নান্নু মুন্সীর নেতৃত্বে প্রথম বিক্ষোভ মিছিলটি শুরু হয়। বিক্ষোভ মিছিলটি শিমরাইল ইউটার্ন হয়ে ঢাকা-চট্রগ্রাম মহাসড়কের শিমরাইল ট্রাক টার্মিনালের সামনে সংক্ষিপ্ত প্রতিবাদ সভার মাধ্যমে শেষ করা হয়। এসময় বিক্ষোভ মিছিলে কয়েক হাজার লোক অংশ নেয় । একই সময় ঢাকা-চট্রগ্রাম মহাসড়কের সাইনবোর্ড এলাকায় হেফাজতে ইসলামের কয়েক হাজার নেতাকর্মী বিক্ষোভ মিছিল করে। এছাড়াও মাদানীনগর মাদ্রাসা থেকে হেফাজতে ইসলাম নেতাকর্মীরা মিছিল বের করে মহাসড়কের সানারপাড় দিয়ে মৌচাক হয়ে পুনরায় মাদানী নগর মাদ্রাসা এলাকায় গিয়ে শেষ করেন।
চাঁদপুর : সংবিধান থেকে রাষ্ট্র র্ধম ইসলাম বাতিলের ষড়যন্ত্রের প্রতিবাদে গতকাল শুক্রবার বাদ জুমা শহরের বাইতুল আমীন জামে মসজিদ ( শপথ চত্বর ) থেকে কয়েক হাজার ইসলামপ্রিয় মুসলমান এক বিক্ষোভ মিছিল বের করে হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশ চাঁদপুর শাখা।
বিক্ষোভ মিছিলটি হেফাজত নেতা মুফতি সিরাজুল ইসলামের নেতৃত্বে বাইতুল আমীন থেকে বের হয়ে কুমিল্লা রোড , জেএম সেনগুপ্ত রোড, হাজি মহসিন রোড , মিশন রোডসহ শহরের গুরুত্বপূর্ণ সড়ক প্রদক্ষিণ শেষে হাসান আলী স্কুল মাঠে দোয়া ও মুনাজাতের মাধ্যমে সমাপ্ত হয়।
বিক্ষোভ-র্পূব সমাবেশে স্থানীয় হেফাজত নেতারা বলেন, এদেশ শাহজালাল ,শাহমাখদুমসহ অসংখ্য অলি আউলিয়ার দেশ শতকারা ৮৩ ভাগ মুসলমানের বাংলাদেশ এদেশে কোনরকম র্ধমনিরপেক্ষ রাষ্ট্র ইসলামপ্রিয় মুমিন মুসলমানরা মেনে নেবে না। কোন নাস্তিকদের ষড়যন্ত্র র্ধমপ্রিয় মুসলমান সফল হতে দিবে না।
গাজীপুর : সংবিধান থেকে রাষ্ট্রধর্ম ইসলাম বাতিলের ষড়যন্ত্রের প্রতিবাদে শুক্রবার গাজীপুরে বিক্ষোভ মিছিল ও প্রতিবাদ সমাবেশ করেছে তৌহিদী জনতা।
মুসল্লীরা জানান, গাজীপুর মহানগরের কেন্দ্রীয় জামে মসজিদের সামনে থেকে শুক্রবার জুমার নামাযের পর সর্বস্তরের তৌহিদী জনতার ব্যানারে একটি বিশাল বিক্ষোভ মিছিল বের হয়। মিছিলটি জয়দেবপুর বাজার, বাসস্ট্যান্ড ও শিববাড়ি মোড় হয়ে পুনরায় কেন্দ্রীয় মসজিদের সামনে এসে সমাবেশের মাধ্যমে শেষ হয়। এসময় বক্তব্য রাখেন, মাওলানা গাজী তারেকুল ইসলাম, মাওলানা কারী মজিবুর রহমান, মাওলানা এরশাদ উল্লাহ কাসেমী, মাওলানা আবু সালেহ প্রমুখ।
নেত্রকোনা : সংবিধান থেকে রাষ্ট্রধর্ম ইসলাম বাতিলের ষড়যন্ত্রের প্রতিবাদে গতকাল নেত্রকোনায় বিক্ষোভ মিছিল ও প্রতিবাদ সমাবেশ করেছে বিভিন্ন ইসলামী সংগঠন। বাদ জুমা জেলা শহরের বারহাট্টা রোডস্থ জামিয়া-এ-মিফতাহুল উলুম মাদ্রাসা থেকে হেফাজতে ইসলাম, খেলাফত আন্দোলন, ইসলামী শাসনতন্ত্র ছাত্র আন্দোলনসহ বিভিন্ন ইসলামী সংগঠন বিক্ষোভ মিছিল বের করে। মিছিলটি জেলা শহরের প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ করে আরামবাগ মোড়ে পৌঁছলে পুলিশ মিছিলে বাধা দেয়। এ সময় মিছিলকারীরা সেখানেই বসে পড়ে। সেখানে খেলাফত আন্দোলনের আমীর ও হেফাজত নেতা মাওঃ আব্দুল বারী’র সভাপতিত্বে সংক্ষিপ্ত প্রতিবাদ সমাবেশে বক্তব্য রাখেন, হাফেজ দেলোয়ার হোসাইন, মাওঃ মাজহারুল ইসলাম, কারী আব্দুর রকিব, মাওঃ আবু সায়েম খান, আসাদুর রহমান আকন্দ, রফিকুল ইসলাম, মাওঃ রাকীবুল্লাহ, মাওঃ জোবায়ের চৌধুরী, ছাত্রনেতা মোঃ লুৎফুর রহমান, মোঃ আলমগীর হোসাইন, মোঃ জাকারিয়া আকন্দ প্রমুখ।
কুমিল্লা : সংবিধান থেকে রাষ্ট্র ধর্ম ইসলামকে বাদ দেওয়ার ষড়যন্ত্রের প্রতিবাদে গতকাল শুক্রবার বিকাল ৩টায় দাউদকান্দি কেন্দ্রীয় ঈদগাহ ময়দানে এক বিশাল সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। উপজেলা হেফাজতে ইসলামের উদ্যোগে আয়োজিত বিশাল সমাবেশ ও বিক্ষোভ মিছিলে ইসলামপ্রিয় সর্বস্তরের প্রায় ১০ সহস্রাধিক জনতা অংশগ্রহণ করে। মাওলানা আনোয়ার উল্লার সভাপতিত্বে প্রতিবাদ সভায় বক্তব্য রাখেন মুফতি মোজাম্মেল ফারুক কাসেমী, ১১ জন মাওলানা যথাক্রমে নজির আহাম্মেদ, আবু বক্কর, মুহসিন উদ্দিন বেলালী, নূরুল আমিন, আবু ইউসুফ মুন্সী, আহসান উল্লা, নজরুল ইসলাম ফয়েজী, এমদাদ উল্লা, নূরুল ইসলাম আনছারী, ইসমাইল হোসেন, হাফেজ লোকমান হোসেন, বদিউজ্জামান, মুফতি নজির আহাম্মেদ প্রমুখ।
নারায়ণগঞ্জ : সংবিধান থেকে রাষ্ট্রধর্ম ইসলাম বাতিলের ষড়যন্ত্রের প্রতিবাদে হেফাজতে ইসলাম ঘোষিত দেশব্যাপী বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ কর্মসূচি নারায়ণগঞ্জে পালিত হয়েছে। হেফাজতে ইসলামীর নারায়ণগঞ্জ জেলার পক্ষ থেকে বাদ জুমা শহরের ডিআইটি চত্বরে আয়োজিত বিক্ষোভ মিছিলে হাজার হাজার মুসলিম অংশগ্রহণ করেন। ডিআইটি চত্বর থেকে শুরু করে বিক্ষোভ মিছিলটি বিবি রোড, কালীর বাড়ি হয়ে পুনরায় ডিআইটি চত্বরে এসে শেষ হয়। এ সমাবেশে বক্তব্য রাখেন- হেফাজতে ইসলাম নারায়ণগঞ্জ জেলার আহ্বায়ক ও ডিআইটি জামে মসজিদের খতীব মাওলানা আবদুল আউয়াল, ওলামা পরিষদের জেলা আহ্বায়ক মুফতী আবুল কাশেম, সদস্য সচিব মাওলানা আবদুল কাদের, মাওলানা ফেরদৌসুর রহমান, মুফতী হারুনুর রশিদ ও মাওলানা ইসমাইল হোসেন, মাওলানা আবদুল আউয়াল আগামী ২৭ মার্চ হাইকোর্টে ইসলাম বাতিলের রীট খারিজ করা না হলে দেশব্যাপী হরতাল অবরোধসহ কঠিন কর্মসূচি দেয়া হবে বলে হুশিয়ারী উচ্চারণ করেন।
কক্স বাজার : সৈকতনগরী কক্সবাজারে রাষ্ট্রধর্ম ইসলাম বাতিল করার প্রক্রিয়ার বিরুদ্ধে বিক্ষোভ মিছিল অনুষ্ঠিত হয়। মিছিল শেষে পৌরসভার সামনে নেজামে ইসলাম পার্টি ও হেফাজতের কক্সবাজার জেলা সভাপতি মাওলানা হাফেজ সালামতুল্লাহর সভাপতিত্বে ও মাওলানা নুরুল হক চকোরীর পরিচালনায় সমাবেশে বক্তব্য রাখেন বিশিষ্ট ইসলামী রাজনীতিবিদ মাওলানা আ.হ.ম নুরুল কবির হিলালী, নেজামে ইসলাম পার্টির জেলা সাধারণ সম্পাদক মাওলানা মুহাম্মদ ইয়াছিন হাবীব, মাওলানা আব্দুস সালাম কুদসী, মাওলানা হাফেজ মুবিনুল হক, মাওলানা আব্দুর রাজ্জাক, মাওলানা এহতেশামুল হক, মাওলানা মুফতি এমদাদুল্লাহ হাসান, মাওলানা হুমায়ুন কবির, মাওলানা ক্বারী আজিজুল হক, ক্বারী রুহুল কাদের, ইসলামী ছাত্র সামজের জেলা সভাপতি হাফেজ আবুল মঞ্জুর, মাওলানা আব্দুল্লাহ, মাওলানা সাইফুল ইসলাম সাঈফী ও মাওলানা মোহাম্মদ নুর প্রমুখ।