অনলাইন ডেস্ক :: ‘ইসলামিক রাষ্ট্র্র’ থেকে এবার বেরিয়ে আসতে চাইছে বাংলাদেশ। ইসলামকে তাদের রাষ্ট্রীয় ধর্ম হিসেবে আর নাও রাখতে পারে ভারতের এই প্রতিবেশী রাষ্ট্র। বাংলাদেশে সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের ওপর হালে কয়েকটি হামলার প্রেক্ষিতে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হতে পারে। ইসলামকে রাষ্ট্রীয় ধর্ম হিসেবে আর না রাখার বিষয়ে বর্তমানে শুনানি চলছে বাংলাদেশের সুপ্রিম কোর্টে। সর্বোচ্চ আদালতের রায় শুনেই এ বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। ১৯৭১ সালে বাংলাদেশ স্বাধীনতা লাভের পর দেশটি ধর্মনিরপেক্ষ রাষ্ট্র হিসেবে প্রতিষ্ঠিত হয়। কিন্তু ১৯৮৮ থেকে বাংলাদেশের রাষ্ট্রীয় ধর্ম হয় ইসলাম। এ দেশের ৯০% বাসিন্দাই মুসলিম। বাকি ৮% হিন্দু ও মাত্র ২% খ্রিস্টানসহ অন্য ধর্মাবলম্বী। কট্টরপন্থী মুসলিম সংগঠনের হাতে সম্প্রতি কয়েকটি হামলার শিকার হয়েছেন বাংলাদেশের সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের মানুষ। ইসলামকে রাষ্ট্রীয় ধর্ম হিসেবে আর না রাখার জন্য সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের ধর্মীয় নেতারা একযোগে বাংলাদেশের সুপ্রিমকোর্টে আবেদন করেছেন। তবে সে দেশের সাধারণ মানুষ এই বিষয়টিকে কতটা সমর্থন করবেন, সে বিষয়ে সন্দেহ আছে। গত মাসে একটি মন্দিরে ঢুকে খুন করা সেখানকার পুরোহিতকে। গুরুতর আহত হন তার দুই সহযোগীও। অভিযোগ করা হয় যে, জামাতুল মুজাহিদিন বাংলাদেশ এবং আনসারুল্লা বাংলা টিম গত এক বছরে বাংলাদেশে সংখ্যালঘুদের ওপর অন্তত সাতটি আক্রমণ চালায়। বাংলাদেশ সরকার অস্বীকার করলেও আইএসও গোপনে সে দেশে প্রভাব বিস্তার করছে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। এদিকে বাংলাদেশ সরকার সেখানে জঙ্গিবাদের উত্থানকে আভ্যন্তরীণ বিষয় বলে দাবি করলেও, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র সতর্ক করে দিয়ে বলেছে যে, আইএস বাংলাদেশে কর্মী সংগ্রহ করছে। ব্রেইটবার্ট নামক একটি সংবাদ মাধ্যমকে বাংলাদেশি এক পুলিশ কর্মকর্তা বলেছেন, ‘কথিত আইএস এর দায় স্বীকার করা প্রত্যেকটি ঘটনায়ই আমরা অভিযুক্ত অনেককে গ্রেফতার করেছি। হামলাকারীরা আদালতে অপরাধের স্বীকারোক্তি দিয়েছে। তাদের অনেকেই এটাও স্বীকার করেছে যে, তারা জেএমবির সদস্য। কিন্তু আইএসের সাথে তাদের সম্পর্কের কথা অস্বীকার করেছে। তবে মার্কিন জাতীয় গোয়েন্দা সংস্থার একজন পরিচালক গুরুত্ব দিয়েই বলেছেন যে, এসব হামলা আইএসেরই কাজ। সম্প্রতি মার্কিন কংগ্রেসে দাখিল করা এক লিখিত নোটে জেমস ক্ল্যাপার ২০১৩ সালের পর থেকে প্রগতিশীল কয়েকজন লেখক, বিদেশী নাগরিক এবং ধর্মীয় সংখ্যালঘু ব্যক্তিদের ওপর হামলার অন্তত বড় ধরনের ১১টি ঘটনায় আইএসকে দায়ী করেছেন। এই সময়ের মধ্যে ২০১৪ সালের জানুয়ারি মাসের জাতীয় নির্বাচনের পর থেকে বাংলাদেশ রাজনৈতিক উত্তাপের মধ্য দিয়ে যাচ্ছে। বিরোধী দলগুলো নির্বাচন বয়কট করেছিল। অন্যদিকে, যুদ্ধাপরাধের অভিযোগে জামায়াতে ইসলামির নেতাদের বিচার চলছে। সূত্র : টাইমস অব ইন্ডিয়া, এশিয়া টাইমস, ডেইলি মেইল, দ্য ইন্ডিপেন্ডেন্ট। ইনকিলাব।
Tags আন্তর্জাতিক মিডিয়ার খবর- বাংলাদেশে রাষ্ট্রধর্ম ইসলাম আর নাও থাকতে পারে!
এটাও পড়তে পারেন
কওমি মাদরাসা কল্যাণ ট্রাস্ট, বাংলাদেশ
খতিব তাজুল ইসলাম ট্রাস্টের প্রয়োজনীয়তাঃ কওমি অংগন একটি স্বীকৃত ও তৃণমূল প্লাটফর্ম। দেশ ও জাতির ...