১ম কথা হলো : রাষ্ট্রধর্ম ইসলাম সংবিধানে ১৯৮৮সাল থেকে বহাল আছে। এর মধ্যে ৩বার আওয়ামীলীগ ক্ষমতায় এসেছে। অসম্ভব নিরঙ্কুশ ক্ষমতা নিয়ে ইচ্ছেমতো সংবিধান পরিবর্তনও করেছে, সেই ঝড়ের মাঝেও সংবিধানে ইসলাম রয়ে গিয়েছে। তাহলে এখন এমন কী প্রয়োজনীয়তা দেখা দিল, যে কারনে কোন ছাগল-পাগল রীট করলো, আর এ কারনে রাষ্ট্রধর্ম বাতিল হয়ে যাবে, এটা কী মানা যায়?
২য় কথা হলো: আওয়ামীলীগ সবসময় বলে আসছে, তারা ইসলাম বিরোধী কোন আইন করবে না। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী বলে আসছেন- এদেশ মদীনা সনদ দিযে চলবে, ইসলাম শান্তির ধর্ম, নিজে ধর্ম কর্ম মানেন তাহলে সংবিধানের শুরুতে ছোট্ট একটি শব্দ, রাষ্ট্রধর্ম ইসলাম, এটা বহাল থাকাতে কী অসুবিধা হচ্ছে সেটা দেশবাসীর কাছে পরিস্কার নয়।
৩য় কথা হলো- রাষ্ট্রধর্ম ইসলাম রাখার পাশাপাশি মাননীয় সুরঞ্জিতসেন বাবুরা সংবিধানে অন্যান্য ধর্মের মর্যাদা এমনভাবে নিশ্চিত করেছেন যে, রাষ্ট্রধর্ম ইসলামের কারনে কোনভাবেই অন্য কোন ধর্মকে অবহেলা করার, তুচ্ছ করার, হেয় দৃষ্টিতে দেখার, অবমূল্যায়ন করার কোন সুযোগ নেই। তাহলে শূধুমাত্র ইসলামকে কেন দূরে সরিয়ে দেওয়া হবে?
৪র্থ কথা হলো: রাষ্ট্রধর্ম ইসলাম থাকাতে চক্রান্তকারীদের চক্রান্তটা প্রশ্নের সম্মুখীন হয়। জনগণ ধর্মের দোহায় দিয়ে সামান্য হলেও বাধার সৃষ্টি করে, এই সামান্য বাধাটুকু দূরে সরিয়ে দেওয়াই কী আপনাদের উদ্দেশ্যে? শিক্ষা ব্যবস্থায় অশ্লীলতা, সমাজ ব্যবস্থায় অশ্লীলতা, রাষ্ট্রীয় ব্যবস্থায় দুর্ণীতি, অরাজকতা, ইত্যাদি ব্যাপক আকার ধারন করেছে। মাঝে মাঝে দ্বীনদার লোকেরা রাষ্ট্রধর্মের দোহায় দিয়ে প্রতিবাদের চেষ্টা করে। এই ক্ষীন প্রতিবাদটুকুও তাদের সহ্য হচ্ছে না। সেটাও তারা সরিয়ে দিতে চাচ্ছে। সেটা কি আপনি মেনে নিবেন?
৫ম কথা হলো: রাষ্ট্রধর্মের কারনে সরকার না চাইলেও জনগণ অন্যান্য মুসলিম বিশ্বের কাছে এই পরিচয় দিতে পারতো যে, বাংলাদেশ একটি মুসলিম দেশ। কিন্তু সংবিধান থেকে রাষ্ট্রধর্ম তুলে দিলে আর এই পরিচয় দিতে পারবে না। তারা পরিচয় সংকটে পড়বে।
সুতরাং, আপনার আমার কর্তব্য হলো- প্রতিবাদ করা, জনমত তৈরী করা, আওয়ামীলীগের যে সকল নেতা-কর্মী ধর্মপ্রাণ, তাদের কাছে উপরের বিষয়গুলো উত্থাপন করা। তাদের কাছে এটা তুলে ধরা যে, রাষ্ট্রধর্মের কারনে তো আপনাদের ক্ষমতা চলে যাচ্ছে না। একটা বিশেষ গোষ্ঠী আপনাদের দিয়ে তাদের স্বার্থ হাসিল করতে চায়। এই গোষ্ঠীটি আওয়ামীলীগের প্রকৃত বন্ধু নয়। ধর্মপ্রান সকল আওয়ামী বন্ধুদেরও আগামী কালের কর্মসূচীতে শরীক করুন।
আগামীকালের কর্মসূচীতে অংশগ্রহন করুন। হেফাজতের পতাকাতলে সকলকে ঐক্যবদ্ধভাবে শরীক হোন। মনে রাখবেন, হেফাজত এদেশের ক্ষমতা নিতে চায় না। হেফাজত শুধূ এই টুকু আশা করে যে, এদেশের মুসলমানরা ইসলামের অটল থাকেতে সকল বাধা অপসারিত হোক্। তাদের ধর্ম পালনে কেউ বাধার প্রাচীর তুলে না দাঁড়াক। রাষ্ট্রধর্ম না থাকলে যেভাবে এখনই বিভিন্ন স্কুল কলেজে হিজাব/বোরকা নিষিদ্ধ করার হিড়িক পড়ে গিয়েছে, কিছুদিন পর রাস্তাঘাট- অফিস আদালতেও হিজাবনিয়ে প্রশ্ন তোলা হবে। টুপি পাঞ্জাবী নিয়ে প্রশ্ন তোলা হবে।