শুক্রবার, ২৬শে এপ্রিল, ২০২৪ ইং
কমাশিসা পরিবারবিজ্ঞাপন কর্নারযোগাযোগ । সময়ঃ রাত ৮:৫৮
Home / মাসাঈল / হজ্বব্রত পালনকালে কেনাকাটা ও উপার্জন

হজ্বব্রত পালনকালে কেনাকাটা ও উপার্জন

লিখেছেন: মাওলানা মাহবুব মুজাম্মিল

12008347_555259927957410_196326913_oইসলাম পূর্ব যুগের কথা।হজ্ব মৌসুমে রমরমা ব্যবসা-বাণিজ্য হতো।হজ্বের সময় ওকাজ,মুজান্না,জুলমাযাজ নামে তিনটি দেশীয় বাজার বসতো।দুমদামে কেনাকাটা ও ক্রয়-বিক্রয় হতো এসব বাজারে।প্রাক ইসলাম জাহেলিয়্যাতের যুগে হজ্ব উপলক্ষ্যে উক্ত আন্তদেশীয় বাজার সমুহে পণ্য সামগ্রী বেচাকেনাকে অন্যায় কাজ মনে করা হতো।ইসলাম আবির্ভাবের পর সাহাবীদের রা.মনে এ সংশয়ের উদ্রেক হয় যে,হজ্ব মৌসুমে আসলেই কি ক্রয়-বিক্রয় ,ব্যবসার মাধ্যমে মুনাফা অর্জন ও পণ্য সামগ্রী ক্রয় করা অন্যায়।তাই সাহাবায়ে কেরাম রা. এ ব্যাপারটি রাসূল স.কে জিজ্ঞাসা করলেন যে,হজ্ব মৌসুমে কি ব্যবসা -বাণিজ্য অন্যায়?তখন রাসূল স.এর উপর কুরআনের একটি আয়াত অবতীর্ণ করার মাধ্যমে আল্লাহ তাআলা প্রশ্নটির উত্তর জানিয়ে দিলেন প্রিয় নবী স.কে। “তোমাদের পালনকর্তা প্রদত্ত জীবিকার অন্বেষা করতে কোন পাপ নেই”সূরা বাকারা: ১৯৮।উক্ত আয়াতটি অবতরণের আরো একটি প্রেক্ষাপট হলো,জাহেলী যুগে আরবের অধিবাসীগণ বিভিন্ন অনুষ্টান ও ইবাদতে নানা কিসিমের অথর্ব-অযথা ফালতু বিষয়াদির সংযোজন করতো।হজ্বের মৌসুমে কাফেররা নিজেদের ব্যবসা চাঙ্গা করার নিমিত্ত্বে বহু ফন্দি ফিকির ও কৌশল অবলম্বন করতো।মিনায় মেলা ও সমাবেশ করে বিভিন্ন প্রদর্শণীর মহড়ার ব্যবস্থা করতো।অনৈতিক ও মন্দ কার্জকলাপের সমাহার করতে পিছপা হতো না।ইবাদতকে উপহাস ও তুচ্ছ বস্তু রুপান্তরিত করতে ও তত্‍কালীন আরবীগণ কুন্ঠাবোধ করতো না।মুসলমানদের উপর যখন হজ্ব ফরজ করা হয়।তখন সাহাবায়ে কেরাম ভাবলেন ইসলাম যেহেতু কাফেরদের সমস্ত কুসংস্কার ও কুপ্রথায় কুঠারাঘাত করে মোলত্‍পাঠন করেছে তাই বোধ হয় হজ্বের সময়ও আমাদের জন্য ইসলাম ব্যবসা ও পারিশ্রমিকের বিনিময়ে উপার্জন অবৈধ ঘোষণা করেছে।তাই এ বিষয় সম্পর্কে রাসূলকে জিজ্ঞাসা করে বিধান জানতে চাইলে বৈধতা বিষয়ক আয়াতটি নাযিল হয়।হজ্ব পালনকালে কেনাকাটা ও মজদুরী খেটে উপার্জন যদিও বৈধ আছে তবে এটা হজ্বের মতো গুরুত্বপূর্ণ ইবাদতে আন্তরিকতা ও এখলাছে নিয়্যতের প্রতিবন্ধক।আজকাল হজ্বব্রত পালন কালে অনেকে শপিং করতে মহাব্যস্ত।সুপার মার্কেট ও শপিং মলগুলোতে হাজীদের উপচে পড়া ভিড় যে কাউকে ভাবিয়ে তুলে তাঁরা কি শপিং করতে এসেছেন।হজ্বের প্রাণ নষ্ট হয়ে যায় অযথা কেনাকাটা ও অহেতুক ঘুরাঘুরিতে সময় পাড় করলে। প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র কেনা যায়।তবে হজ্ব যেন শপিং বা মার্কেটিং সফর না হয় সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে।হজ্বের মূল্যবান সময়গুলো তাসবিহ তাহলীল ও যিকিরে ব্যয় করা উচিত।আল্লাহর প্রেমে মগ্ন হয়ে ইবাদতে নিজেকে বিলীন করে দেয়াই উত্তম।

About Islam Tajul

mm

এটাও পড়তে পারেন

জাগতিক ও ইসলামী শিক্ষা

#জাগতিক_ও_ইসলামী_শিক্ষা মানুষের খুদি বা রূহকে উন্নতিসাধনের প্রচেষ্টার নামই হলো শিক্ষা, কথাটি আল্লামা ইকবালের। রবীন্দ্রনাথের মতে, ...