কমাশিসা ডেস্ক :: সময়ের তাগিদে উলামায়ে দেওবন্দের তরুণ প্রজন্ম আজ মিডিয়ামুখী হয়েছেন এবং কথিত আহলে হাদীসদের উত্থাপিত সকল অভিযোগের দাতভাঙ্গা জবাব দিয়ে যাচ্ছেন। সুতরাং মিডিয়ার মাধ্যমে মানুষকে বিভ্রান্ত করার সেই কুটকৌশল এখন অকৃতকার্য। সহীহ আকীদার নামধারীরা এখন পালানোর পথও খোঁজে পাচ্ছে না। ওই মূর্খদের প্রতিহত করতে আমাদের তরুণরাই যথেষ্ট।
গত ৯ মার্চ বুধবার সিলেটের জৈন্তাপুর উপজেলাধীন ক্বামরুল ইসলাম মুহিউসসুন্নাহ বাগেরখাল মাদরাসার বার্ষিক ওয়াজ মাহফিলে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি উপরোক্ত কথাগুলো বলেন। মুফতি শামছুদ্দোহা আশরাফী আরো বলেন, একজন ডাক্তার যখন নিজেকে মুজতাহিদ বলে দাবী করে, তখন আমাদের বড্ড হাসি পায়। কত বড় গন্ডমূর্খ হলে এমন মিথ্যা দাবী করা যায়। একজন কৃষকের কাছ থেকে ডাক্তারী প্রেসক্রিপশন গ্রহণ করা যেমন মূর্খতা, ডাক্তারের কাছে কোন মাসআলার সমাধান চাওয়া তার চেয়েও জঘন্য মূর্খতা। আহলে হাদীসদের জাহেলে মুরাক্কাব আখ্যা দিয়ে তিনি বলেন, যদি মূর্খতার কারণে ওরা এমন বিভ্রান্তি ছড়িয়ে থাকে, তাহলে আমরা ওদেরকে শিক্ষিত করতে চেষ্টা করতে পারি। আর যদি জেনে-শোনে এমন করে তাহলে নিশ্চয় ওরা কারও দালাল হিসেবে কাজ করছে। এক্ষেত্রে আমরা ওদেরকে ছাড়তে পারি না। আমরা অবশ্যই ওদের মুখোশ উন্মোচন করে ছাড়বো ইনশাআল্লাহ।
শায়খুল হাদীস মুফতি ইউসুফ শ্যামপুরী ও অত্র মাদরাসার মুহতামিম শায়খ মাওলানা আব্দুল কাদির বাগেরখালীর যৌথ সভাপতিত্বে ও মাদরাসার মুহাদ্দিস ও শিক্ষা সচিব মাওলানা আব্দুল ওয়াদূদের পরিচালানায় উক্ত মাহফিলে গুরুত্বপূর্ণ বয়ান পেশ করেন, শায়খুল হাদীস মাওলানা আহমদ আলী শায়খে চিল্লা, কানাইঘাট মাদরাসার মুহাদ্দিস মাওলানা হাফিজ হারুনুর রশীদ, হরিপুর বাজার মাদরাসার মুহতামিম মাওলানা শায়খ হিলাল আহমদ, মাওলানা নযরুল ইসলাম তোয়াকুলী, মুফতি শায়খ রশিদ মকবুল, মাওলানা শরীফুদ্দীন বড়বন্দী, মাওলানা আনোয়ারুল হক কাশমেরী, মুফতি সাঈদ আহমদ, মুফতি জিল্লুর রহমান কাসেমী ও মাওলানা হাফিয আবুল হাসান আলী প্রমুখ।