জেলার দক্ষিণ সুরমার কাজিরখলায় নামাযরত অবস্থায় এক মুসল্লিকে কুপিয়ে গুরুতর আহত করেছে দুর্বৃত্তরা। বুধবার ফজরের নামাযের সময় রিয়াছত জামে মসজিদের ভেতরে এ ঘটনাটি ঘটে। মুসল্লিরা দুর্বৃত্তকে আটক করে পুলিশে সোপর্দ করে। পুলিশ তার কাছ থেকে রক্তমাখা একটি ছোরা জব্ধ করেছে। আটককৃত মো. আব্দুল কাইয়ুম (২৬) মৌলভীবাজার জেলার শ্রীমঙ্গল থানার মীর্জাপুর গ্রামের মন্নান খানের পুত্র। বর্তমানে তিনি দক্ষিণ সুরমা উপজেলার বরইকান্দি ইউনিয়নের সুনামপুরের বাসিন্দা।
বুধবার বিকেলে পুলিশ আদালতের মাধ্যমে কাইয়ুমকে কারাগারে প্রেরণ করেছে। এদিকে আহত হাজি আকবর আলীকে উদ্ধার করে সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। তবে তিনি এখন আশঙ্কামুক্ত বলে জানা যায়। কিন্তু তাকে গভীর পর্যবেক্ষণে রাখা হয়েছে। আহত মুসল্লি বরইকান্দি কাজিরখলা গ্রামের মৃত খুর্শিদ আলীর পুত্র হাজি আকবর আলী (৬০)। ভোররাতে কাজিরখলা সুনামপুর রিয়াছত জামে মসজিদে ফজরের নামায আদায় করতে যান হাজি আকবর আলী (৬০)। জামায়াত আরম্ভ হওয়ার পর ওই মসজিদে আব্দুল কাইয়ুমও নামায আদায় করতে যান। হাজি আকবর আলী জামাতের প্রথম কাতারে নামায পড়ার জন্য দাঁড়ান। তখন কাইয়ুমও তার পেছনের সারিতে নামায পড়তে দাঁড়ায়। সকল মুসল্লিরা যখন সেজদায় যান, তখন কাইয়ুম পূর্ব শক্রতার জের ধরে সেজদারত অবস্থায় ধারালো ছোরা দিয়ে হাজি আকবর আলীকে ৪টি আঘাত করে হত্যার চেষ্টা চালান।
এ পর সে পালানোর চেষ্টা করলে মুসল্লিরা তাকে আটক করে। পরে পুলিশে সোপর্দ করে। এ সময় পুলিশ তার কাছ থেকে একটি রক্তমাখা ছোরা উদ্ধার করে করে। এ ঘটনায় আহত হাজি আকবর আলীর ছেলে মোর্শেদ ছামী আব্দুল কাইয়ুমকে আসামি করে দক্ষিণ সুরমা থানায় একটি মামলা দায়ের করেন।
মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা দক্ষিণ সুরমা থানার উপ-পরিদর্শক রিপটন জানান, আটককৃত আব্দুল কাইয়ুমকে জিজ্ঞাসাবাদে পূর্ব শক্রতার কারণে হাজি আকবর আলীকে ধারালো ছোরা দিয়ে হত্যার চেষ্টা চালানোর বিষয়টি স্বীকার করেছে বলে জানান। তিনি আরও বলেন, এ ঘটনার পেছনে অন্য কারণ রয়েছে বলে প্রাথমিকভাবে জানা গেছে।