খতিব তাজুল ইসলাম ::
দ্বীনকে যারা ভালোবাসেন, উম্মাহকে নিয়ে যারা ফিকির করেন, তাদের নিয়ে এই তাৎপর্যপূর্ণ মতবিনিময় ও আলোচনা সভার সম্মিলন হয়ে উঠেছিলো যেনো প্রাণের এক মেলবন্ধন।
বিশিষ্ট মুহাদ্দিস প্রিন্সিপাল হাফিজ মাওলানা সাখাওয়াত হোসাইন এমপিল (ইতিমধ্যে পিএইচডি ডিগ্রি কমপ্লিটের পথে) ছিলেন মধ্যমণী।
মহান এই পুরুষ সত্যিকার অর্থে একজন মানুষ গড়ার কারিগর। রোজ গার্ডেন ৪স্টার চাইনিজ রেস্টুরেন্টের হল ভর্তি একঝাঁক তরুণ; যাদের চেহারা ও বদন থেকে টিকরে পড়ছিল সুন্নতে নববীর নুরের ঝিলিক।
পরিচয় পর্ব চলছিলো আর পড়ছিলো আমার দু’গাল বেয়ে আনন্দাশ্রু। যে কমাশিসা নিয়ে এতো ফিকির, সেই কমাশিসার বাস্তব নমুনা দেখে সত্যিই আমি অভিভুত। ইঞ্জিনিয়ার হাফিজ মাওলানা বাশির আহমদ অবিকল এক ফিরিস্তা। বিলেতে বললেন যশোরবাসী আপনাকে দেখতে চায়! অগ্রিম রিটার্ন প্লেনের টিকেট- সিলেট ঢাকা যশোর আবার ফেরত!
শুরুতে পরিচয় শোনেছি …। তরা কেউ প্রফেসর, ডাক্তার, অধ্যক্ষ, ব্যাংকার, অনেকে ডিগ্রি কম্প্লিটের পথে। ঢাকা চিটাগাং সিলেটের ভার্সিটি পেরোনো। বেশ কয়েকজন হাইকোর্টের লয়ার ও মেডিকেলে অধ্যয়নরত। তাঁর সিকিভাগ তারকাগুলো এসেছেন। তাড়াহুড়ার কারণে সবাই আসতে পারেন নি। সবাই হাফিজ, কওমির মেশকাত বোখারি শরিফ পড়ুয়া। হযরত সাখাওয়াত হোসাইন শাইখুলহাদীস আল্লামা আজিজুল হক্ব রাহ’র হাতেগড়া স্বর্ণের মানুষ। তিনি কথায় কথায় হযরতের নাম উচ্চারণ করেন। আমি আনন্দে আত্মহারা হয়ে যাই- যে জিনিসের জন্য আমার ঘুম হয়না, সেই স্বপ্নের বাগান ও তার মালি, ফুল ও ফল দেখে! সুবহানাল্লাহ!
আমি ঘোষণা করেছি, সিলেট যদি হয় আমার প্রথম হোম, যশোর হবে দ্বিতীয়। তাই কমাশিসার জন্য যারা এতোদিন সংগ্রাম করে আসছি এবার বিজয়ের উদযাপনের পালা…। বিজয় আমাদের একদিন হবেই। নাসরুম মিনাল্লাহি ওয়া ফাতহুন ক্বারীব।
লেখক : রুপকার, কমাশিসা।