কমাশিসা ডেস্ক :: আজ পহেলা ফাল্গুন, বসন্তবরণ। আগামিবাল ১৪ই ফেব্রুয়ারি বিশ্ব ভালোবাসা দিবস। উভয় দিবসে সবার হাতে হাতে থাকে ফুল। নগরজীবনে দিবস দুটিকে ঘিরে ফুলের চাহিদা থাকে অনেক। ফুল ব্যবসায়ীদেরও থাকে বিশেষ প্রস্তুতি। বাংলাদেশ ফ্লাওয়ার সোসাইটি বলছে, ১৩ই ফেব্রুয়ারি পহেলা ফাল্গুন। পরের দিন ১৪ই ফেব্রুয়ারি বিশ্বভালোবাসা দিবস। এবার এদিন দুটিতে রেকর্ড ফুল বিক্রির আশা করছেন তারা। ফুলের প্রধান গ্রাহক যুবক-যুবতী, তরুণ-তরুণী। বাংলাদেশ ফ্লাওয়ার সোসাইটির তথ্যমতে, এবার সারা দেশে ১২ কোটি টাকার ফুল বিক্রির লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। যা গত বছরও ছিল একই। তবে গত বছর বিক্রি হয় মাত্র ৬ থেকে ৭ কোটি টাকার ফুল। এর মধ্যে শাহবাগসহ ঢাকা মহানগরে ফুল বিক্রির লক্ষ্য ছিল ৫ কোটি টাকার। বিক্রি হয় মাত্র ২ কোটি টাকা। এবার ঢাকায় ফুল বিক্রির লক্ষ্য নির্ধারণ করা হয়েছে প্রায় ৬ কোটি টাকা। লক্ষ্য পূরণে আশাবাদী ফুল ব্যবসায়ীরা। ধারণা করা হচ্ছে, শুধু পহেলা ফাল্গুন ও বিশ্ব ভালোবাসা দিবসের প্রথম প্রহরেই ৩ থেকে ৪ কোটি টাকার ফুল বিক্রি হবে। এ ছাড়া উভয় দিবসের পুরো দিনে বাকি লক্ষ্যমাত্রা ছাড়িয়ে যেতে পারে।
যোগাযোগ করা হলে বাংলাদেশ ফ্লাওয়ার সোসাইটির সেক্রেটারি জেনারেল শ্রী বাবুল প্রশাদ জানান, এবারের পহেলা ফাল্গুন ও বিশ্বভালোবাসা দিবস নিয়ে ব্যাপক আশাবাদী। সারা দেশে ১২ কোটি টাকার ফুল বিক্রির লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে।
২৬ বছর ধরে পাইকারি ফুল ব্যবসার সঙ্গে জড়িত শ্রী বাবুল প্রশাদ বলেন, এবার ফুলের দাম কিছুটা চড়া। গত বছরের তুলনায় ৮ থেকে ১০ গুণ বেশি। ফুল চাষিরাই দাম বেশি রাখছেন। স্বাভাবিক পরিবেশে ভালোবাসা দিবসে গোলাপের জন্য ক্রেতারা মিছিল করতো উল্লেখ করে বাবুল বলেন, এবারও তেমন মিছিল করবে ক্রেতারা। নভেম্বর থেকে মার্চ মাস পর্যন্ত সময়কে ফুল ব্যবসার মূল মওসুম উল্লেখ করে বাবুল প্রশাদ আরও বলেন, এবার ফুল চাষাবাদে কোন বাধা ছিল না। সরবরাহেও ছিল না কোনো অসুবিধা। সে কারণে ফুলের মজুদ ভালো। তবে শুধু দাম একটু বেশি। ১০০ গ্লাডিওলাস বিক্রি হচ্ছে ২২০০ থেকে ২৫০০ টাকা। ১০০ গোলাপের দাম রাখা হচ্ছে ২৫০০ থেকে ৩০০০ টাকা। একইভাবে সব ফুলের দাম বেড়েছে বলে জানান বাবুল প্রশাদ।
বাংলাদেশ ফ্লাওয়ার সোসাইটির হিসাব অনুযায়ী, সারা দেশে ১০ হাজার ফুলের পাইকার দোকান রয়েছে। খুচরা রয়েছে প্রায় ২৫ হাজার। এ ছাড়া ফুলচাষি, ব্যবসায়ী, খুচরা দোকানি, পরিবহন শ্রমিক ও ফুল ব্যবসার সঙ্গে কোনো না কোনোভাবে জড়িত রয়েছে সারা দেশে প্রায় ৫ লাখ মানুষ।
ঢাকা ফুল ব্যবসায়ী কল্যাণ সমিতির হিসাব অনুযায়ী, ঢাকায় ফুলের সব চেয়ে বড় আড়ৎ শাহবাগ। এরপরে অবস্থান রাজধানীর আগারগাঁওয়ে। এ ছাড়া বিভিন্ন স্থানে বিচ্ছিন্ন বিক্ষিপ্তভাবে রয়েছে আরও অনেক খুচরা দোকান।
সূত্র জানায়, শুধু শাহবাগে রয়েছে ১২০টি ফুলের দোকান। খুচরা রয়েছে আরও ১০০টি ফুলের দোকান। শাহবাগের শেফালী ফুল ঘরের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. রুবেল হোসেন বলেন, এবার লক্ষণ ভাল। দেখি শেষ পর্যন্ত কি হয়। গত বছরের লোকসান পোষাতে দোকান ভর্তি করেছি। সব ঠিক থাকলে ভাল বিক্রির আশা দেখছেন তিনি।
মালঞ্চ পুষ্প কেন্দ্রের মো. সাদেক বলেন, ভালোবাসা দিবস নিয়ে আশাবাদী। বিক্রি ভালো হতে পারে পহেলা ফাল্গুনেও। খোলা আকাশের নিচে বসা জহির বলেন, এবার বিক্রি ভালো হবে। খুচরা পর্যায়ে প্রতিটি গোলাপ বিক্রি হচ্ছে ২০ থেকে ২৫ টাকা। তবে ভালোবাসা দিবসের প্রথম প্রহরে প্রতিটি গোলাপের দাম ১০০ থেকে ২০০ টাকা হওয়ারও রেকর্ড রয়েছে। ফুল শেষ হয়ে গেলে এমনটি হয় বলে জানান মো. আহসান হাবিব, মিজানুর রহমান ও আবদুল করিম। তারাও খুচরা বিক্রেতা। তাদের আশা, গত বছরের লোকসান এবার পুষিয়ে নিতে পারব। সূত্র. মানবজমিন।
যোগাযোগ করা হলে বাংলাদেশ ফ্লাওয়ার সোসাইটির সেক্রেটারি জেনারেল শ্রী বাবুল প্রশাদ জানান, এবারের পহেলা ফাল্গুন ও বিশ্বভালোবাসা দিবস নিয়ে ব্যাপক আশাবাদী। সারা দেশে ১২ কোটি টাকার ফুল বিক্রির লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে।
২৬ বছর ধরে পাইকারি ফুল ব্যবসার সঙ্গে জড়িত শ্রী বাবুল প্রশাদ বলেন, এবার ফুলের দাম কিছুটা চড়া। গত বছরের তুলনায় ৮ থেকে ১০ গুণ বেশি। ফুল চাষিরাই দাম বেশি রাখছেন। স্বাভাবিক পরিবেশে ভালোবাসা দিবসে গোলাপের জন্য ক্রেতারা মিছিল করতো উল্লেখ করে বাবুল বলেন, এবারও তেমন মিছিল করবে ক্রেতারা। নভেম্বর থেকে মার্চ মাস পর্যন্ত সময়কে ফুল ব্যবসার মূল মওসুম উল্লেখ করে বাবুল প্রশাদ আরও বলেন, এবার ফুল চাষাবাদে কোন বাধা ছিল না। সরবরাহেও ছিল না কোনো অসুবিধা। সে কারণে ফুলের মজুদ ভালো। তবে শুধু দাম একটু বেশি। ১০০ গ্লাডিওলাস বিক্রি হচ্ছে ২২০০ থেকে ২৫০০ টাকা। ১০০ গোলাপের দাম রাখা হচ্ছে ২৫০০ থেকে ৩০০০ টাকা। একইভাবে সব ফুলের দাম বেড়েছে বলে জানান বাবুল প্রশাদ।
বাংলাদেশ ফ্লাওয়ার সোসাইটির হিসাব অনুযায়ী, সারা দেশে ১০ হাজার ফুলের পাইকার দোকান রয়েছে। খুচরা রয়েছে প্রায় ২৫ হাজার। এ ছাড়া ফুলচাষি, ব্যবসায়ী, খুচরা দোকানি, পরিবহন শ্রমিক ও ফুল ব্যবসার সঙ্গে কোনো না কোনোভাবে জড়িত রয়েছে সারা দেশে প্রায় ৫ লাখ মানুষ।
ঢাকা ফুল ব্যবসায়ী কল্যাণ সমিতির হিসাব অনুযায়ী, ঢাকায় ফুলের সব চেয়ে বড় আড়ৎ শাহবাগ। এরপরে অবস্থান রাজধানীর আগারগাঁওয়ে। এ ছাড়া বিভিন্ন স্থানে বিচ্ছিন্ন বিক্ষিপ্তভাবে রয়েছে আরও অনেক খুচরা দোকান।
সূত্র জানায়, শুধু শাহবাগে রয়েছে ১২০টি ফুলের দোকান। খুচরা রয়েছে আরও ১০০টি ফুলের দোকান। শাহবাগের শেফালী ফুল ঘরের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. রুবেল হোসেন বলেন, এবার লক্ষণ ভাল। দেখি শেষ পর্যন্ত কি হয়। গত বছরের লোকসান পোষাতে দোকান ভর্তি করেছি। সব ঠিক থাকলে ভাল বিক্রির আশা দেখছেন তিনি।
মালঞ্চ পুষ্প কেন্দ্রের মো. সাদেক বলেন, ভালোবাসা দিবস নিয়ে আশাবাদী। বিক্রি ভালো হতে পারে পহেলা ফাল্গুনেও। খোলা আকাশের নিচে বসা জহির বলেন, এবার বিক্রি ভালো হবে। খুচরা পর্যায়ে প্রতিটি গোলাপ বিক্রি হচ্ছে ২০ থেকে ২৫ টাকা। তবে ভালোবাসা দিবসের প্রথম প্রহরে প্রতিটি গোলাপের দাম ১০০ থেকে ২০০ টাকা হওয়ারও রেকর্ড রয়েছে। ফুল শেষ হয়ে গেলে এমনটি হয় বলে জানান মো. আহসান হাবিব, মিজানুর রহমান ও আবদুল করিম। তারাও খুচরা বিক্রেতা। তাদের আশা, গত বছরের লোকসান এবার পুষিয়ে নিতে পারব। সূত্র. মানবজমিন।