খুন গুম অপহরণ বিচারবহির্ভুত হত্যাকান্ড চলছে সমানতরাল ভাবে
যেখানে ফেরাউন লজ্জিত হিটলার পরাজিত
কমাশিসা ডেস্ক: মিসরে রাষ্ট্রীয় নিপীড়ন অতীতের সব রেকর্ড ছাড়িয়ে গেছে বলে মন্তব্য করেছেন দেশটির প্রখ্যাত সাংবাদিক ও মানবাধিকারকর্মী হোসাম বাহগাত। মিসরে সাবেক স্বৈরশাসক হোসনি মোবারকের বিরুদ্ধে শুরু হওয়া গণ-আন্দোলনের পাঁচ বছর পূর্তিতে গতকাল সোমবার ব্রিটিশ গণমাধ্যম দ্য গার্ডিয়ান-এর সঙ্গে সাক্ষাৎকারে তিনি এ মন্তব্য করেন।
অনুসন্ধানী সাংবাদিক হোসাম বলেন, ‘বর্তমান স্বৈরশাসনের জাঁতাকল হোসনি মোবারক ও গামাল আবদেল নাসেরের সময়ের চেয়েও ভয়াবহ।’ গণমাধ্যমের ওপর খবরদারি, বিপুলসংখ্যক রাজনৈতিক বন্দী, ইসলামপন্থীদের অপহরণ করা ও বিচারবহির্ভূত হত্যাকাণ্ডের উল্লেখ করে তিনি বলেন, বর্তমান অবস্থা নিঃসন্দেহে সবচেয়ে খারাপ।
২০১১ সালে গণ-আন্দোলন স্মরণে ও বর্তমানের ‘স্বৈরশাসনের’ প্রতিবাদে ডাকা বিক্ষোভ বানচালে কায়রোতে হাজার হাজার বাড়িতে অভিযান চালানো হয়েছে। আন্দোলনের প্রাণকেন্দ্র তাহরির স্কয়ারে নজরদারি বাড়ানো হয়েছে।
২০১৩ সালের জুলাইতে গণতান্ত্রিকভাবে নির্বাচিত প্রেসিডেন্ট মোহাম্মদ মুরসিকে ক্ষমতাচ্যুত করেন তৎকালীন সেনাপ্রধান ও বর্তমান প্রেসিডেন্ট আবদেল ফাত্তাহ আল-সিসি। সে সময় নির্বাহী আদেশে বলা হয়, অনুমোদন ছাড়া যেকোনো সমাবেশ-শোভাযাত্রা বেআইনি।
গত শনিবার জাতির উদ্দেশে দেওয়া এক ভাষণে প্রেসিডেন্ট সিসি বলেন, ‘আমাদের নিরাপত্তা ও স্থিতি অবস্থার জন্য অনেক ত্যাগ স্বীকার করতে হয়েছে। আমি মিসরবাসীকে অনুরোধ করছি দেশের হেফাজত করার।’ সাংবাদিক হোসাম বলেন, দুই বছর আগে সিসিকে অনেকটা ত্রাতা-দেবতা মানা হতো। দেশে স্থিতিশীলতা ফিরিয়ে আনার জন্য তিনি নিরঙ্কুশ ক্ষমতা পেয়েছিলেন। সব রাষ্ট্রযন্ত্র তাঁর অনুগত হয়েছিল। কিন্তু এখন জনগণ হতাশ হয়ে সিসির ব্যাপারে প্রশ্ন তোলা শুরু করেছে।
হোসাম বাহগাত দেশটির প্রধান মানবাধিকার সংগঠনের প্রতিষ্ঠাতা। তিনি অনলাইন সংবাদপত্র মাদা মাসর-এর প্রদায়ক হিসেবে কর্মরত। গত বছরের নভেম্বরে সেনাবাহিনীর বিচারের নামে প্রহসন নিয়ে প্রতিবেদন করায় তাঁকে আটক করেছিল মিসরের সেনা গোয়েন্দা সংস্থা। সিসির শাসনামলে সাংবাদিকদের কারাভোগের তালিকায় চীনের পর মিসরের অবস্থান।
সুত্র:১মআলো।