অনলাইন ডেস্ক :: নিজ এলাকার কওমি মাদরাসাগুলোকে নজরদারিতে রাখতে সাংসদদের প্রতি অনুরোধ জানিয়েছেন খাদ্যমন্ত্রী কামরুল ইসলাম। তিনি বলেছেন, কওমি মাদ্রাসার ছাত্ররা যাতে জঙ্গি কাজে সম্পৃক্ত হতে না পরে, সেদিকে সাংসদদের লক্ষ রাখতে হবে।
আজ বৃহস্পতিবার জাতীয় সংসদে প্রশ্নোত্তর পর্বে খাদ্যমন্ত্রী এ অনুরোধ জানান। তিনি আজ শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদের অনুপস্থিতিতে তাঁর পক্ষে সাংসদদের প্রশ্নের জবাব দেন।
সম্পূরক প্রশ্নে স্বতন্ত্র সাংসদ হাজি মো. সেলিম বলেন, কওমি মাদরাসা জঙ্গি তৈরির কারখানা। সম্পূরক প্রশ্ন করতে গিয়ে জাতীয় পার্টির কাজী ফিরোজ রশীদ বলেন, জঙ্গিদের অনেকে বিদেশের উচ্চ ডিগ্রিধারী। ঢালাওভাবে কওমি মাদরাসাকে দোষারোপ করা ঠিক হবে না।
তরীকত ফেডারেশনের নজিবুল বশর মাইজভান্ডারি বলেন, জঙ্গিবাদের সঙ্গে হেফাজতে ইসলামের সম্পৃক্ততা রয়েছে। সিগন্যাল আছে, সরকার কোনোভাবে এদের সঙ্গে আঁতাত করছে। এটা হলে কিন্তু বুমেরাং হবে। জঙ্গিরা জঙ্গিই। সেটা কওমি হোক আর আলিয়া মাদরাসা হোক।
জবাবে কামরুল ইসলাম বলেন, ‘ঢালাওভাবে কওমি মাদরাসাকে দোষারোপ করা হচ্ছে না। ইংরেজি মাধ্যমের শিক্ষার্থীদের মধ্যেও জঙ্গি রয়েছে। ব্লগারদের কারা হত্যা করছে, সেটা দেখতে পাচ্ছেন। আবার চট্টগ্রামের পাহাড়ে অবস্থিত মাদরাসায় বিপুল পরিমাণ অস্ত্রশস্ত্র পাওয়া যাচ্ছে। কিছু মাদরাসা আছে যেগুলো জঙ্গি তৈরির কারখানা। আমার এলাকায় ৭৫টি মাদরাসা রয়েছে। বাস্তবে এর চাহিদা আছে কি না? এর ছাত্র কোত্থেকে আসে? এ বিষয়ে সাংসদদের নিজ নিজ এলাকার মাদরাসার প্রতি সতর্ক নজর রাখতে হবে।’
প্রশ্নোত্তরের আগে স্পিকার শিরীন শারমিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে বিকেল সাড়ে চারটার দিকে সংসদের অধিবেশন শুরু হয়। প্রশ্নোত্তর চলাকালে একবার সম্পূরক প্রশ্নের জন্য কেউ হাত তোলেননি। এ সময় স্পিকার বলেন, ‘আমি সম্পূরক প্রশ্নের জন্য কোনো হাত দেখতে পাচ্ছি না।’ এতে একজন সাংসদ হাত তুললে স্পিকার বলেন, ‘আপনি একটু আগে প্রশ্ন করেছেন। আপনাকে দেওয়া যাবে না।’
এরপর সংরক্ষিত আসনের শাহানা বেগম হাত তুললে স্পিকার তাঁকে ফ্লোর দেন। ফ্লোর পেয়ে তিনি শিক্ষামন্ত্রীকে উদ্দেশ করে প্রশ্ন করলে স্পিকার থামিয়ে দিয়ে বিজ্ঞান ও প্রযুক্তিমন্ত্রীর কাছে প্রশ্ন করতে বলেন। এরপর শাহানা বেগম প্রশ্ন করলে বিজ্ঞান ও প্রযুক্তিমন্ত্রী ইয়াফেস ওসমান বলেন, ‘আমি অত্যন্ত দুঃখিত যে, এ বিষয়টি একসময় আমার মন্ত্রণালয়ের অধীনে থাকলেও এখন তা নেই।’
জাতীয় পার্টির সেলিম উদ্দিনের প্রশ্নের জবাবে গণপূর্তমন্ত্রী মোশাররফ হোসেন বলেন, লুই আই কান প্রণীত সংসদ ভবনের মূল নকশা সংগ্রহের জন্য প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশে যুক্তরাষ্ট্রের পেনসিলভানিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের মহাফেজখানায় যোগাযোগ করা হয়েছে। নকশা তল্লাশির জন্য তাদের ৩ হাজার ৫৫০ ডলার ফি পাঠানো হয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ থেকে ১৫ জানুয়ারি নকশার একটি বর্ণনামূলক তালিকা বাংলাদেশে এসেছে। এই তালিকা থেকে প্রয়োজনীয় নকশা চিহ্নিত করে তা সংগ্রহ করা হবে।
প্রথম আলো-২৮ জানুয়ারি, ২০১৬