ইলিয়াস মশহুদ :: তীব্র শৈত্য প্রবাহে থরথর করে কাঁপছে মানুষ। কাঁপছে সিলেট। হাড় কাঁপানো তীব্র শীতে জনজীবনে নেমে এসেছে স্থবিরতা। বাড়ছে শীতজনিত বিভিন্ন অসুখ। শীতের সকালে লোকজন ঘর থেকে বের হতে পারছে না। আবার সন্ধ্যা নামতেই দোকানদাররা দোকানপাট বন্ধ করে ও নানা কাজে ব্যস্ত মানুষগুলো সবাই বাড়ি ফিরছেন। এই শীতের দিনে হিমেল বাতাসের কারণে নিদারুণ কষ্টে পড়েছেন বৃদ্ধ ও শিশুরা। তারা সর্দ্দি-কাশি, কোল্ড ডায়রিয়া, নিউমোনিয়া, এলার্জি, চর্মরোগসহ শীতজনিত নানা অসুখে ভুগছেন। নদীর মধ্যে কাজ করা জেলে, শ্রমিকসহ খেটে লোকজনেরা পড়েছেন দুর্ভোগে। অভাবী ও দুস্থ মানষেরা শীতের গরম কাপড়ের অভাবে অসহায় ও মানবেতর জীবন যাপন করছেন। সরকারী, বেসরকারীভাবে, ব্যক্তিগত উদ্যোগে নিজস্ব অর্থায়ণে শীতবস্ত্র বা কম্বল বিতরণ করতে দেখা গেছে। তারপরও তা প্রয়োজনের তুলনায় অপ্রতুল। বাড়িতে পালিত পশু-পাখিগুলোর অবস্থা আরো শোচনীয়।
গত বৃহস্পতিবার থেকে সূর্যের মুখ দেখা যাচ্ছে না বেলা ৩টা পর্যন্ত। সারা দেশে তীব্র শীতে জনজীবনে স্থবিরতা নেমে এসেছে। কুয়াশার কারণে দেশের অনেক এলাকায় দিনের বেলায় গাড়ি চলছে হেডলাইট জ্বালিয়ে। ফেরি চলাচলেও বিঘ্ন ঘটছে। এ অবস্থায় গরম কাপড়ের অভাবে বিপাকে পড়েছে শিশু ও বৃদ্ধরা। রেহাই পাচ্ছে না গবাদি পশুও। বোরো মৌসুম শুরু হলেও কনকনে ঠাণ্ডায় মাঠে কাজ করতে পারছে না কৃষকরা।