অনলাইন ডেস্ক :: জামেয়া ইসলামিয়া দারুল উলুম মাদানিয়া সুনামগঞ্জের ২দিনব্যাপী ৫০ বছর পুর্তি ও দস্তারবন্দী মহাসম্মেলন গতরাত সমাপ্ত হয়েছে। মহাসম্মেলন উপলক্ষ্যে সুনামগঞ্জ শহরে উৎসবের আমেজ বিরাজ করে। হাজার হাজার তৌহিদী জনতার উপস্থিতিতে বিজিবি মাঠের বিশাল পেন্ডাল কানায় কানায় ভরে উঠে। শনিবার সমাপনী দিবসে বাদ যুহর থেকে মধ্যরাত পর্যন্ত মহাসম্মেলনে মোট চারটি অধিবেশনে সভাপতিত্ব করেন খলিফায়ে মাদানী, সদরে জমিয়ত অাল্লামা অাব্দুল মোমিন শায়খে ইমামবাড়ী, আল্লামা নোমান চট্টগ্রামী, মাওলানা শায়েখ জিয়াউদ্দীন, আল্লামা মুহিব্বুল হক গাছবাড়ী, ও মুফতি অাব্দুস সুবহান।
মহাসম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন বিশ্বনন্দিত ইসলামি ব্যাক্তিত্ব, অাওলাদে রাসুল অাল্লামা অাসজাদ মাদানী। বিশেষ অতিথি হিসাবে বক্তব্য রাখেন অান্তর্জাতিক মুফাসসিরে কুরআন শায়খুল হাদীস অাল্লামা তাফাজ্জুল হক হবিগঞ্জী, হেফাজতে ইসলামের মহাসচিব অাল্লামা জুনাইদ বাবুনগরী, জমিয়তের কেন্দ্রীয় নির্বাহী সভাপতি, সাবেক মন্ত্রী মুফতি মুহাম্মদ ওয়াক্কাস, মহাসচিব শায়খুল হাদীস অাল্লামা নুর হোসাইন কাসেমী, মুফতি ফুরকানুল্লাহ, মাওলানা উবায়দুল্লাহ ফারুক, মাওলানা ফজলুর রহমান বানিয়াচঙ্গী, মাওলানা শাহ নজরুল ইসলাম, মাওলানা শুয়াইব অাহমদ, মাওলানা বাহাউদ্দীন যাকারিয়া,হাফেজ তাফহিমুল হক, মাওলানা গোলাম মুহিউদ্দীন ইকরাম প্রমুখ।
মহাসম্মেলন উপলক্ষ্যে একটি বিশেষ প্রতিবেদন পেশ করেন জামেয়ার প্রিন্সিপাল ও দস্তারবন্দী মহাসম্মেলন বাস্থবায়ন কমিটির অাহবায়ক মাওলানা অাব্দুল বছির। জামেয়া থেকে লেখা-পড়া সমাপ্তকারী প্রায় শতাধিক অালেমকে দস্তারে ফযিলত বা সমাবর্তন পাগড়ী পড়িয়ে দেন দেশী বিদেশী শীর্ষস্থানীয় উলামা মাশায়েখ। মহাসম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন শায়খুল হাদীস অাল্লামা নুরুল ইসলাম খান, মাওলানা হাফেজ মুহসিন অাহমদ, মাওলানা বাহাউদ্দীন যাকারিয়া, দক্ষিণ সুনামগঞ্জ উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান হাজি অাবুল কালাম, ভাইস চেয়ারম্যান মাওলানা তৈয়্যিবুর রহমান চৌধুরী, জামালগঞ্জের ভাইস চেয়ারম্যান হাফেজ রশীদ অাহমদ, মাওলানা অানোয়ার হোসাইন, মাওলানা সাজিদুর রহমান, মাওলানা হারুনুর রশীদ, মুফতি অাব্দুল মালিক, মাওলানা জামিল অাহমদ অানসারী, মাওলানা হাফেজ ইমদাদুল্লাহ কাতিয়া, মাওলানা অানোয়ারুল ইসলাম, মাওলানা অাফসার উদ্দীন প্রমুখ।
সম্মেলনের সার্বিক উপস্থাপনায় ছিলেন মাওলানা বদরুদ্দীন ওমর, মাওলানা জুনাইদ আহমদ কিয়ামপুরী, মাওলানা অাবু সাইদ ও মাওলানা হাম্মাদ আহমদ।
আল্লামা আসজাদ মাদানী বলেন, কওমী মাদরাসা হলো দ্বীনের ঘাটি। এসব দ্বীনি মাদরাসা সমাজের অতন্দ্রপ্রহরীর ভুমিকা পালন করছে। যতদিন এসব মাদ্রাসা-মাকাতিব অক্ষত থাকবে, ততদিন ইসলাম জিন্দা থাকবে। তাই জীবনের সকল ত্যাগ বির্সজন দিয়ে হলেও কওমী মাদরাসা সমুহকে ঠিকিয়ে রাখতে হবে।
সূত্র. সিলেট রিপোর্ট