মাদ্রাসাগুলোকে ফাঁসানোর জন্যই সুপরিকল্পিত ভাবে ভাংচুর চালানো হয়েছে বলে অভিজ্ঞ মহলের ধারণা
তিনি বলেন, ‘ওরা (মাদ্রাসার ছাত্ররা) বাংলাদেশের কৃষ্টি, সংস্কৃতি, সাহিত্য সবকিছু ধ্বংস করে ফেলতে চায়। আমরাও বলতে চাই, সবকিছুরই শেষ আছে। আমরা যত দিন পর্যন্ত তাদের নিঃশেষ না করতে পারব, তত দিন আমাদের লড়াই-সংগ্রাম চালিয়ে যাব। আমরাও ছাড় দেব না।’
পাকিস্তানের ষড়যন্ত্র এখনো বন্ধ হয়নি উল্লেখ করে মন্ত্রী বলেন, ‘বিজয়ের আনন্দ ক্ষণিকের আর পরাজয়ের গ্লানি সারা জীবনের। আমাদের বিরুদ্ধে অব্যাহতভাবে ষড়যন্ত্র করে পাকিস্তান তা প্রমাণ করেছে।’
একেকজন মানবতাবিরোধীর ফাঁসি কার্যকরের পরে পাকিস্তানের প্রতিক্রিয়ার সমালোচনা করে মন্ত্রী বলেন, ‘পাকিস্তানের প্রতিক্রিয়ায় এটা প্রমাণিত যে, তারা আসলেই এ দেশে পাকিস্তানের চর ছিলেন। ওই সাবেক ক্রিকেটার ইমরান খান মানবতাবিরোধীদের বাঁচাতে প্রধানমন্ত্রীকে চিঠি লেখেন, ফোন করেন। করবেনই তো। কারণ তাঁর চাচা হলেন আমির আবদুল্লাহ খান নিয়াজী, যিনি ১৯৭১-এ বাংলাদেশে গণহত্যায় নেতৃত্ব দিয়েছিলেন।’
শাজাহান খান বলেন, পাকিস্তানের সঙ্গে চুক্তি হয়েছিল যে, পাকিস্তান তাদের ১৯৫ জন সেনার বিচার করবে, যাদের বিরুদ্ধে যুদ্ধাপরাধের অভিযোগ রয়েছে। ওই সেনাদের বিচারের আশ্বাস দিয়ে দেশে ফিরিয়ে নিয়ে গিয়ে পাকিস্তান কথা রাখেনি। আমরা আন্তর্জাতিক যুদ্ধাপরাধ গণবিচার আন্দোলন শুরু করেছি। প্রয়োজনে ওই সেনাদের অনুপস্থিতিতে তাদের বিচার হবে। ১৯৭০ সালে এ দেশে প্রলয়ংকরী ঘূর্ণিঝড়ের ক্ষতিগ্রস্তদের জন্য অনুদানের টাকাও পাকিস্তান দেয়নি। সেটি এখনো পাকিস্তানের হাবিব ব্যাংকে রয়েছে। সে টাকাও ফেরত আনা হবে।
সুত্র: অনলাইন পত্রিকা