
: আপনার বয়স কতো?
: দোকানি বললো বিশ (২০)
: আপনার নিকট সম্পদ কতটুকু আছে?
: দোকানি উত্তর দিলো, সত্তর (৭০) হাজার দিরহাম।
: আপনার সন্তান কতজন?
:বললো, একজন।
দরবারে ফিরে রাজা সেই দোকনি সম্পর্কিত সংবাদ সংগ্রহ করলেন। প্রাপ্ত সংবাদ এবং দোকানীর কথায় পার্থক্য পেলেন। রাজা দোকানীকে রাজ দরবারে ডেকে পাঠালেন। দোকনি দরবারে এলে, রাজা আবারো তাকে পূর্বের প্রশ্ন তিনটি করলেন। দোকানি এবারো পূর্বেকার উত্তর দিলো। রাজা উজিরকে বললেন, তার কাছ থেকে পনেরো (১৫) দিরহাম জরিমানা আদায় করে কোষাগারে জমা করে দিন। সরকারী হিসাবে তার বয়স পঁয়ত্রিশ (৩৫), সম্পদ সত্তর (৭০) হাজার দিরহাম থেকেও বেশি, এবং তার পাঁচটি সন্তান রয়েছে।
রাজার কথা শোনে দোকানি বললো, মহামান্য রাজা! আমার বয়স পঁয়ত্রিশ ঠিক-ই, কিন্তু বিশ বৎসর থেকে আমি ঈমানদারীর সাথে সৎ পথে চলার চেষ্টা করতেছি, তাই এই বিশ বছরকেই আমার আসল বয়স মনেকরি। সত্তর হাজার দিরহাম এক মসজিদ নির্মাণে দান করেছিলাম, আর এই সত্তর হাজারকে আমার প্রকৃত সম্পদ মনেকরি। আমার পাঁচ সন্তানের চারটা-ই অবাধ্য আর পাপাচারী, একটা সন্তান-ই নম্র ভদ্র ও সৎ, তাই এই একটি সন্তানকে আমি আমার সন্তান মনেকরি।
রাজা জরিমানার আদেশ ফিরিয়ে নিলেন, এবং দোকানীকে বললেন, তোমার উত্তরগুলো আমাদের খুব ভালো লেগেছে। সত্যি-ই জীবন তো তা-ই যা ঈমনের সাথে কেটেছে, সম্পদ তো তা-ই যা আল্লাহ’র রাস্তায় খরচ হয়েছে, সন্তান তো সে-ই যারর চরিত্র হবে ভালো।
লেখক : ব্লগার, অনলাইন এক্টিভিস্ট।