শনিবার, ২৩শে নভেম্বর, ২০২৪ ইং
কমাশিসা পরিবারবিজ্ঞাপন কর্নারযোগাযোগ । সময়ঃ বিকাল ৩:৪৯
Home / অনুসন্ধান / অনিশ্চয়তার দিকে বাংলাদেশ!

অনিশ্চয়তার দিকে বাংলাদেশ!

প্রধানমন্ত্রী-শেখ-হাসিনাবিশেষ প্রতিবেদন :: প্রতিদিন কোন না কোন দুর্ঘটনার খবর আসছে। কোথাও নারী ধর্ষিতা হচ্ছে, কাউকে গলাকেটে হত্যা করা হচ্ছে, কাউকে গুলি মেরে, কাউকে চাপাতি দিয়ে কুপিয়ে কিংবা থানায় নিয়ে হাজতে ঢুকিয়ে অথবা পুলিশের গাড়িতে তুলে চলছে বিরামহীন নির্যাতন। হাত পা ভেঙ্গে দেয়া হচ্ছে। কারো ব্রেইন নষ্ট করা হচ্ছে, কাউকে করা হচ্ছে গুম। রাস্তাঘাটে এখন পুলিশের এসপি ওসিরা প্রকাশ্য ডাকাতিতে জড়িত। র‌্যাব করছে বড় বড় অপারেশন। আলামত ফাঁস হবার ভয় হলে সহজ সমাধান খুন। প্রতিটি কলেজ বিশ্ববিদ্যালয় এখন বধ্যখানা। ছাত্রলীগ মানেই আতংক। পুলিশ র‌্যাব মানেই জীবনের মায়া শেষ। রক্ত গঙা বইছে এখন বাংলাদেশে। তুচ্ছ কারণে পুলিশ এখন রাস্তা থেকে ধরে নিয়ে ক্রসফায়ারে গুলি করে মেরে ফেলে।

কোন অপরাধ সংঘটিত হলে পরবর্তীতে অপরাধীকে না ধরে কাকে কিভাবে বিপাকে ফেলা যায়, সেই প্লানে থাকে তারা। আদালতেএখন বিকল, বিচারক নির্বাক। প্রশাসন আশ্রয় প্রশ্রয়ে। জামাত বিএনপিকে খতম করার লাইসেন্সপ্রাপ্ত পুলিশ-র‌্যাব এখন সাধারণ জনগণকে খাওয়া শুরু করেছে। প্রতিনিয়ত লাশ। লাশ আর লাশ। এভাবে একটা দেশ চলে? আইন-শৃংখলার এতো মারাত্মক অবনতি, তবুও ক্ষমতাসীনদের শীর্ষ নেতাদের টনক নড়ছে না। তারা আয়েশে বিদ্রুপে হাসিঠাট্টা করে দিন পার করছেন।

indexজামাত বিএনপির পকেট এখন খালি। জেল-জুলুম সইতে সইতে তারা এখন লাচার। পুলিশ ও প্রসাশনের প্রলম্বিত লোভ-লালসা এখন পাগলা ঘোড়ার মত ছুটছে। রাষ্ট্রপতি, প্রধানমন্ত্রী আছেন নিশ্চিদ্র নিরাপত্তার ভেতর। শেখ হাসিনা সাংবাদিক সাগর-রুনি হত্যার পর বলেছিলেন, আমরা কি ঘরে ঘরে গিয়ে সকলকে নিরাপত্তা দেবো? এরচেয়ে অবিবেচক কথা আর কি হতে পারে! দেশের একজন প্রধান নির্বাহী মানুষ কেন একটি কুকুরকেও যদি নিরাপত্তা দিতে ব্যর্থ হন, তাহলে সেই পদে তার বহাল থাকার কোন অধিকার নেই। কিন্তু পুরো দেশব্যাপী চলছে অস্বস্থিকর পরিবেশ। ইজ্জত-সম্ভ্রম নিয়ে কেউ নিরাপদ নয়। জুলুমের বিরুদ্ধে কেউ কথা বললেই স্বাধীনতা বিরুধী রাজাকার ইত্যাদি উপাধী দিতে তারা সদা প্রস্তুত থাকেন। বিবেকবান মানুষ যারা, তারা ভয়ে কম্পমান। ইতর শ্রেণীর লোকগুলো এখন সামনের কাতারে।

satroligএই পরিস্থিতি আর কতদিন বিরাজ করবে? দেশ কি আরো অস্থিতিশীল হবে, নাকি শান্তির পরিবেশ ফিরে আসবে? আমরা খুব শংকিত। আতংকগ্রস্থ। চরম নিরাপত্তাহীনতায় ভূগছি। দেশের সচেতন মহলকেও বাংলাদেশের ভবিষ্যত নিয়ে ভাবিয়ে তুলেছে। দেশের প্রতিটি স্পর্শকাতর জায়গায় হিন্দুদের প্রাধান্য। পুলিশ, র‌্যাব, বিচারালয়, সেনা, সচিবালয়, শিক্ষাঘার সর্বত্র চলছে হিন্দু নিয়োগ। হিন্দুরাও এদেশের নাগরিক। কিন্তু এভাবে অনৈতিক নিয়োগ সংখ্যালঘিস্টদের প্রাধান্যতা দেশের শান্তি-শৃংখলা বিনষ্ট করবে। সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি ক্ষতিগ্রস্থ করবে- এটা নিশ্চিৎ।

দেশের এই অশুভ যাত্রার বিষয়ে শুধু সাধারণ মানুষই নয়, খোদ আওয়ামীলীগের অনেক শীর্ষ নেতারাও বিচলিত। সকলে মিলে একত্রে বসে এই অশুভ যাত্রার লাগাম টেনে ধরতে হবে। নয়ত আমও যাবে তার সাথে ছালাও যাবে।

About Islam Tajul

mm

এটাও পড়তে পারেন

কওমি মাদরাসা কল্যাণ ট্রাস্ট, বাংলাদেশ

খতিব তাজুল ইসলাম ট্রাস্টের প্রয়োজনীয়তাঃ কওমি অংগন একটি স্বীকৃত ও তৃণমূল প্লাটফর্ম। দেশ ও জাতির ...