শুক্রবার, ১৯শে এপ্রিল, ২০২৪ ইং
কমাশিসা পরিবারবিজ্ঞাপন কর্নারযোগাযোগ । সময়ঃ সকাল ৯:৩১
Home / অনুসন্ধান / বি-বাড়িয়ার ঘটনায় গর্জে উঠেছে ইসলামি দলগুলো : কাল দেশব্যাপী সকাল-সন্ধ্যা হরতাল

বি-বাড়িয়ার ঘটনায় গর্জে উঠেছে ইসলামি দলগুলো : কাল দেশব্যাপী সকাল-সন্ধ্যা হরতাল

12417592_877493429014703_5467747905126053524_n

ইসলামি বিভিন্ন দলের বিবৃতি

ইলিয়াস মশহুদ :: তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জামিয়া ইউনুছিয়া মাদরাসার ছাত্রদের উপর ছাত্রলীগ ও পুলিশের হামলায় একজন ছাত্রকে শহীদ করার ঘটনায় দেশজুড়ে জেগে উঠেছে ইসলামী দলগুলো। তারা প্রতিবাদ ও নিন্দা জ্ঞাপন করে কড়া হুশিয়ারি জানিয়েছে।তারা বলেন, বিনা উসকানিতে সন্ধ্যার পর ব্রাহ্মণাবাড়িয়ার প্রাচীনতম দ্বীনি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান জামিয়া ইউনুসিয়ায় পুলিশ, র‌্যাব, ছাত্রলীগ এবং যুবলীগ যৌথভাবে নগ্ন হামলা চালায়। গুলি, টিয়ারসেল ও লাঠিচার্জ করে ছাত্র শিক্ষকদেরকে নির্মমভাবে আহত করে।

তারা আরও বলেন, সরকার ৯৫% মুসলমানের এদেশ থেকে ইসলাম, মুসলমান ও দীনী শিক্ষার কেন্দ্রগুলো চিরতরে মুছে দিতে চায়। অবিলম্বে দোষী ব্যক্তিদের শাস্তিমূলক ব্যবস্থা না করলে এ হামলার পরিণতি হবে অত্যন্ত ভয়াবহ। দেশের মানুষের ঈমান-আকীদা আর ইসলামী শিক্ষা নিয়ে ছিনিমিনি খেলা তৌহিদী জনতা বরদাশত করবে না। জামিয়া ইউনুছিয়ায় হামলাকারীদের খুঁজে বের করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির ব্যবস্থা করার জোর দাবী জানায় তারা।
গণমাধ্যমে প্রেরিত পৃথক পৃথক বিবৃতিতে বিভিন্ন সংগঠন ও ইসলামী রাজনৈতিক দল এসব কথা বলেন।

Shohid-Masudযেসব দল ও সংগঠন প্রতিবাদ জানিয়েছে তা হলো, ইসলামী ঐক্যজোটের চেয়ারম্যান মাওলানা আবদুল লতিফ নেজামী, ভাইস চেয়ারম্যান মাওলানা আবুল হাসানাত আমিনী, মহাসচিব মুফতি ফয়জুল্লাহ, মাওলানা শেখ লোকমান হোসেন, মাওলানা একেএম আশরাফুল হক ও মাওলানা আলতাফ হোসাইন প্রমুখ। জমিয়তে উলামায়ে ইসলাম বাংলাদেশের মহাসচিব মাওলানা নূর হোসাইন কাসেমীর, সহ-সভাপতি আল্লামা মোস্তফা আজাদ, মাওলানা জহিরুল হক ভূঁইয়া, মাওলানা আব্দুর রব ইউসুফী, মাওলানা উবায়দুল্লাহ ফারুক, মাওলানা জোনায়েদ আল হাবীব প্রমুখ।
বাংলাদেশ নেজামে ইসলাম পার্টির মহাসচিব মাওলানা আবদুল লতিফ নেজামী, সহসভাপতি মাওলানা আবদুর রশিদ মজুমদার, মাওলানা শেখ লোকমান হোসাইন, মাওলানা একেএম আশরাফুল হক, সৈয়্যদ মুহাম্মদ আহসান, অধ্যাপক এহতেশাম সরওয়ার ও মাওলানা মুমিনুল ইসলাম প্রমুখ। খেলাফত মজলিসের আমীর মাওলানা মুহাম্মাদ ইসহাক ও মহাসচিব ড. আহমদ আবদুল কাদের।

21786bd60d2a2021d20a8f9ddca6fa15-কওমী মাদরাসা শিক্ষক ফেডারেশনের সভাপতি মাওলানা আবদুল মাজেদ আতহারী ও মহাসচিব মুফতি কামরুল ইসলাম। জাতীয় ওলামা পরিষদের সভাপতি মাওলানা দ্বীন মুহাম্মাদ কাসেমী ও মহাসচিব মাওলানা মুমিনুল ইসলাম। কওমী মাদরাসা শিক্ষক সমিতির সভাপতি মাওলানা রুহুল আমীন খাঁ উজানভী ও মহাসচিব মাওলানা আতাউর রহমান আতিকী। ইসলামী ছাত্র ফেডারেশনের সভাপতি ইমদাদ হোসেন সাকী ও মহাসচিব রাশেদ আল আমীন।

 12316160_1009401099116301_4324418339433683793_nএ ছাড়াও আজ রাজধানীসহ সারাদেশে বিক্ষোভ মিছিল করেছে নানা ইসলামী সংগঠন। লালবাগ থেকে বিক্ষোভ মিছিল বের করে ইসলামী ঐক্যজোট, মুহাম্মদ পুর থেকে বাংলাদেশ খেলাফত যুব মজলিস, সিলেট থেকে বাংলাদেশ খেলাফত মজলিস, ও হেফাজতে ইসলাম সুষ্ঠু বিচার না হলে দেশব্যাপী আন্দোলনের হুমকি দিয়েছে।

 মাঠে নামবে হেফাজতে ইসলাম : —আল্লামা শাহ আহমদ শফী

Rajneeti_Allama-Shafi ব্রাহ্মণবাড়িয়া মাদরাসা ছাত্রদের সঙ্গে পুলিশ ও ছাত্রলীগ নেতাকর্মীদের ত্রিমুখী সংঘর্ষে এক ছাত্রের মৃত্যুর সঙ্গে জড়িতদের গ্রেফতার করে তাদের বিরুদ্ধে শাস্তির ব্যবস্থা না করলে ওলামায়ে কেরাম মাঠে নামতে বাধ্য হবে বলে জানিয়েছেন হেফাজতে ইসলামের আমির আল্লামা শাহ আহমদ শফী ও মহাসচিব জুনাইদ বাবুনগরী।
আল্লামা শফীর বরাত দিয়ে হেফাজতের কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক মাওলানা আজিজুল হক ইসলামাবাদী মঙ্গলবার সকালে গণমাধ্যমকে বলেন, দুইটি মাদরাসা বন্ধের ঘটনায় এদেশের আলেম-ওলামাসহ ধমপ্রাণ মানুষ মর্মাহত। মাদরাসা খুলে না দিয়ে উল্টো নিরপরাধ ছাত্রদের ওপর হামলা-গুলি চালিয়ে একজন ছাত্রকে হত্যা করা হয়েছে।
তিনি বলেন, আজকের মধ্যে দুইটি মাদরাসা খুলে দিতে এবং হামলা ও ছাত্র নিহতের ঘটনার সঙ্গে জড়িতদের গ্রেফতারের জন্য আমরা সরকারের প্রতি আহ্বান জানাচ্ছি। অন্যথায় যেকোনো পরিস্থিতির জন্য সরকার দায়ী থাকবে। সরকার যদি দোষীদের গ্রেফতার করে তাদের বিরুদ্ধে শাস্তির ব্যবস্থা না করে তাহলে ওলামায়ে কেরাম মাঠে নামতে বাধ্য হবে।

লালবাগে ইসলামী ঐক্যজোটের মিছিল : শুক্রবার সারাদেশে বিক্ষোভ

12509257_976638972423104_8030410955130176146_nব্রাহ্মণবাড়ীয়া জামেয়া ইসলামিয়া ইউনুসিয়া মাদরাসায় সন্ত্রাসী হামলা ও হাফেজ মাসউদুর রহমানের হত্যার প্রতিবাদে ইসলামী ঐক্যজোটের পক্ষ থেকে লালবাগ থেকে এক বিশাল বিক্ষোভ সমাবেশ ও মিছিল অনুষ্ঠিত হয়েছে। মঙ্গলবার ইসলামী ঐক্যজোটের উদ্যোগে মিছিলটি অনুষ্ঠিত হয়।
উক্ত মিছিলে সভাপতিত্ব করেন জোটের ভাইস চেয়ারম্যান মাওলানা জোবায়ের আহমদ, বক্তৃতা করেন ভাইস চেয়ারম্যান মাওলানা জসিম উদ্দিন, মাওলানা মুফতী তৈয়ব, মাওলানা আহলুল্লাহ ওয়াসেল, মাওলানা সাইফুল ইসলাম, মাওলানা আবুল খায়ের কুসুমপুরী, মাওলানা আনছারুল হক ইমরান, ছাত্রনেতা মাওলানা খোরশেদ আলম,আবুল হাশেম, আশরাফুদ্দীন মাহদী, আল আমীন,শাহজাহান, রাসেল, ইরফান সহ অন্যান্য নেতৃবৃন্দ।
সমাবেশ থেকে আগামী শুক্রবার বাদ জুম্মা ইসলামী ঐক্যজোটের পক্ষ হতে সারাদেশে বিক্ষোভ সমাবেশের ঘোষণা করা হয়।

জামিয়া ইউনুছিয়ায় হামলার প্রতিবাদে যুব মজলিসের বিক্ষোভ মিছিল
                        শহিদের বদলা নেয়া সময়ের দাবি

1382255_976639035756431_4777538565305820563_nব্রাক্ষণবাড়িয়া জামিয়া ইউনুছিয়া মাদরাসায় আওয়ামী লীগের হামলা ও শিক্ষার্থী নিহতের ঘটনায় জড়িতদের শাস্তির দাবিতে বিক্ষোভ মিছিল ডেকেছে বাংলাদশে খেলাফত যুব মজলিস। মঙ্গলবার বাদ আসর মুহাম্মদপুর বাস স্টেন্ড আল্লাহ করিম থেকে মিছিলটি বের হবে।

জামিয়া ইউনুছিয়া মাদরাসায় হামলাকারিদের অবিলম্বে গ্রেফতার করুন
                   ———–বিকেএম বি-বাড়িয়া জেলা

madrasa closedবি বাড়িয়া জামিয়া ইউনুছিয়া মাদরাসা ও মসজিদের উপর ছাত্রলীগ ও পুলিশ কৃর্তক বর্বর হামলার নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছেন বাংলাদেশ খেলাফত মজলিস বি-বাড়িয়া জেলা শাখার সভাপতি মাওলানা আব্দুল আজিজ ও সাধারন সম্পাদক মাওলানা খন্দকার মঈনুল ইসলাম। নেতৃদ্বয় বলেন, এ হামলা আবারো প্রমাণ করল আওয়ামীলীগের হাতে ইসলাম ও মাদরাসা-মসজিদ কোন কিছুই নিরাপদ নয়। অবিলম্বে হামলাকারীদের গ্রেফতার করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দিতে হবে। অন্যথায় এর পরিমান অত্যন্ত ভয়াবহ হবে ।

উত্তপ্ত ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় ইসলামী ঐক্যজোটের প্রতিনিধি দল

indexমাদরাসা ছাত্রদের সাথে ছাত্রলীগ ও পুলিশের সংঘর্ষে একজন ছাত্রের মৃত্যুর ঘটনায় উত্তপ্ত ব্রাহ্মণবাড়িয়া পরিদর্শনে যাচ্ছেন ইসলামী ঐক্যজোটের একটি প্রতিনিধি দল।
প্রতিনিধি দলে রয়েছেন জোটের ভাইস চেয়ারম্যান মাওলানা আবুল হাসানাত আমিনী, মহাচিব মুফতি ফয়জুল্লাহ, মাওলানা আলতাফ ও মাওলানা রিয়াজতুল্লাহ প্রমুখ।
সোমবারের সংঘর্ষের ঘটনায় আহত হাফেজ মাসুদুর রহমান (২০) নামের এক মাদরাসার ছাত্রের মৃত্যুর পর সকাল থেকেই উত্তাল হয়ে উঠে পুরো শহর।
মাসুদের মৃত্যুর খবর ছড়িয়ে পরার পরপরই মাদরাসার শিক্ষক-শিক্ষার্ধীরা বিক্ষোভে ফেটে পড়ে। শত শত মাদরাসা শিক্ষক-ছাত্র হাতে লাঠি নিয়ে শহরের টিএ রোড, কুমারশীলের মোড়, লোকনাথ ট্যাঙ্কের পাড়সহ বেশ কয়েকটি স্থানে অবরোধ করে টায়ার জ্বালিয়ে বিক্ষোভ করে।
এই পরিস্থিতিতে সকাল ৮টার দিকে শহরে বিজিবি মোতায়েন করে স্থানীয় প্রশাসন।
পুলিশ বিজিবি মোতায়েন থাকার পরও ব্রাহ্মণবাড়িয়া রেলস্টেশন, জেলা আওয়ামী লীগ অফিস, শিল্পকলা একাডেমী, ব্যাংক এশিয়া ভাঙচুর করা হয়। সকাল সাড়ে ১০টা থেকে ঢাকার সঙ্গে ট্রেন চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। আগামীকাল সকাল সন্ধ্যা হরতাল আহ্বান করে শহরে মাইকিং চলছে।

মাদরাসায় ঢুকে হাফেয মাসুদকে গুলি করে হত্যা করা হয়

12540550_561086144057099_7019887834907797176_n12417997_1961052010785880_7807114203118219087_n
ব্রাহ্মণবাড়িয়া শহরে গতকাল সোমবার সন্ধ্যায় জামিয়া ইসলামিয়া ইউনুছিয়া (বড় মাদরাসা) ছাত্রদের সঙ্গে ব্যবসায়ী ও ছাত্রলীগের সংঘর্ষে যাঁরা আহত হন, তাঁদের মধ্যে হাফেজ মাসুদুর রহমান ছিলেন না। তাঁর সহপাঠীরা দাবি করেছেন, তিনি মাদরাসায় ছিলেন, সেখানেই রাতে পুলিশ-ছাত্রলীগের অভিযানে নিহত হন।
মঙ্গলবার সকালে মাদরাসার এক শিক্ষার্থী বলেন, ‘রাতে মাদরাসার ছাত্ররা ঘুমিয়েছিল। তখন ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা তালা ভেঙে সেখানে ঢুকে পড়ে। তাদের নির্যাতনে মাসুদুর রহমান মারা যান। এর বিচার না হওয়া পর্যন্ত আমরা রাজপথে অবস্থানে থাকব।’
আরেক শিক্ষার্থী বলেন, ‘পুলিশ মাদরাসায় আসার পর কিছু ছাত্র জীবন বাঁচাতে ওপরে উঠে পড়ে। তখন পুলিশ তাঁকে পিটিয়ে গুলি করে। এ সময় পুলিশের সঙ্গে আওয়ামী লীগ সমর্থকরাও ছিলেন।’
আরেকজন জানান, পুলিশ ও কিছু সাধারণ মানুষ যখন সেখানে আসে, তখন বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন ছিল। ‘আহত অবস্থায় হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসক তাঁকে মৃত ঘোষণা করেন।’ নিহত হাফেজ মাসুদের ভাই হাফেজ মোহাম্মদ মামুন ও সহপাঠী মুফতি নিয়ামুল ইসলাম দাবি করেছেন, মাসুদের গায়ে গুলির চিহ্ন রয়েছে। পুলিশের গুলিতে তাঁর মৃত্যু হয়েছে।

12410584_1661052947509463_2133402769487076784_nজামিয়া ইউনুছিয়ার মহাপরিচালক মাওলানা মোবারক উল্লাহ বলেন, ‘এটা ন্যক্কারজনক ঘটনা। আমরা যতদূর জানতে পেরেছি, সামান্য ঘটনা থেকে এর সূত্রপাত হয়েছে। সে সময় শিক্ষকদের অনেকেই সেখানে ছিলেন না। যারা ছিলেন, তাঁরা ছাত্রদের মাদরাসায় নিয়ে আসেন। ক্যাচি গেট তালা মেরে দেন। তার পরও ছাত্রলীগ ও যুবলীগের ছেলেপেলেরা তালা ভেঙে সেখানে ঢুকে মাদরাসা শিক্ষার্থীদের ব্যাপক মারধর করে।’
রাতে মাদরাসায় অভিযানের ব্যাপারে পুলিশের কোনো বক্তব্য পাওয়া যায়নি। তবে পুলিশ একজনের মৃত্যুর কথা স্বীকার করেছে। তাদের হাতে ওই শিক্ষার্থী মারা যাননি বলে দাবি করেছে পুলিশ।
এ ব্যাপারে আওয়ামী লীগ ও ছাত্রলীগ নেতাদের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করেও তাদের বক্তব্য পাওয়া যায়নি।
এর আগে গতকাল সন্ধ্যায় শহরের জেলা পরিষদ মার্কেটের বিজয় টেলিকমের মালিক রনির সঙ্গে শহরের জামিয়া ইউনুছিয়ার এক ছাত্রের বাকবিত-া হয়। এর জের ধরে মাদরাসা ছাত্রদের সঙ্গে ব্যবসায়ীদের সংঘর্ষ বাধে। পরে এতে ছাত্রলীগ ও এলাকার কিছু লোক যোগ দেয়। এতে পরিস্থিতি ভয়াবহ আকার ধারণ করে।
সংঘর্ষে পুলিশসহ অন্তত ৫০ জন আহত হয়েছে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে পুলিশ শতাধিক রাবার বুলেট ও কাঁদানে গ্যাসের শেল নিক্ষেপ করে। চার ঘণ্টা পর রাত ১১টার দিকে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আসে।

যে কারণে ব্রাহ্মণবাড়ীয়া রণক্ষেত্র!

pic_2_2বি-বাড়ীয়া জেলার নাসিরনগরে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী এডভোকেট ছায়েদুল হকের নির্দেশে দুটি কওমি মাদরাসা বন্ধ এবং একটি মসজিদের বিদ্যুৎ সংযোগ ও পানির লাইন বিচ্ছিন্ন করার প্রতিবাদে গত কয়েক দিন ধরে এ নিয়ে জনমনে বিরূপ প্রতিক্রিয়ার সৃষ্টি হয়েছে। বিদ্যুৎ সংযোগ ও পানির লাইন বিচ্ছিন্ন করা মসজিদে গত কয়েক দিন ধরে নামাজ পড়াও বন্ধ রয়েছে। এ ঘটনায় শহরে উত্তেজনার ঢেউ লেগেছে। নাসিরনগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা জানিয়েছেন, মসজিদ বন্ধের সঙ্গে পুলিশ জড়িত নয়। আর জেলা প্রশাসক বলেছেন, আমরা ঘটনাটির সমাধানের চেষ্টা করছি। স্থানীয় সূত্র জানায়, নাসিরনগর উপজেলার ধনতলিয়া গ্রামে ২০১৪ সালে ২৫ শতক জায়গার উপর শাহজালাল রাহ. মসজিদ কমপ্লেক্স ও হযরত আবু বকর সিদ্দিক রা. কওমী মাদরাসা কমপ্লেক্স নির্মাণকাজ শুরু হয়। এখানে ছাত্রদের জন্য রয়েছে একটি হেফজ্খানা। গত সপ্তাহে পল্লী বিদ্যুৎ কর্তৃপক্ষ তাদের ট্রান্সফরমারটি খুলে নিয়ে যায়। জানাগেছে, ‘হযরত শাহজালাল কমপ্লেক্স মাদরাসা’ ও ‘আবু বক্কর সিদ্দিক রা. মাদরাসা’ নামে ওই শিক্ষা প্র্রতিষ্ঠান দুটি খুলে দেয়ার দাবিতে রোব-সামবার অনুষ্ঠিত বিক্ষোভ মিছিল ও প্রতিবাদ সমাবেশ যোগদান করে ইউনুছিয়ার ছাত্ররা।
সোমবার ২য় দিনে ও গণ মিছিলি করে বিক্ষোভ প্রর্দশন করেছে কওমী ছাত্রঐক্য পরিষদ ব্রাহ্মণবাড়িয়া। গতকালের গণ মিছিলে ব্রাহ্মবাড়িয়া জেলার প্রায় শতাধিক কওমী মাদরাসার ছাত্র শিক্ষকগণ এবং এলাকার ধর্মপ্রাণ মুসলমানগণ অংশগ্রহণ করেন। জামিয়া ইউনুছিয়া কান্দিপাড়া হতে শুরু হয়ে ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রেসক্লাবের সামনে সংক্ষিপ্ত সভা ও ৩৬ ঘণ্টার আল্টিমেটাম দেওয়ার মাধ্যমে গণ মিছিলের সমাপ্তি ঘোষণা করা হয়। সভায় বক্তব্য রাখেন মুফতী আব্দুর রহিম কাসেমী, মাওলানা নোমান আল হাবিবি, মুফতী এনামুল হাসান এবং কওমী ছাত্রঐক্য পরিষদ নেতৃবৃন্দ।

12553090_947304575356147_1217457780157747126_nএর আগে গতকাল রোববার দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা শহরের জামিয়া ইসলামিয়া ইউনুছিয়া মাদরাসা প্রাঙ্গণ থেকে একটি বিক্ষোভ মিছিল বের হয়। মিছিলটি শহরের প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ শেষে স্থানীয় প্রেসক্লাব চত্বরে এসে শেষ হয়। পরে সেখানে প্রতিবাদ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। জেলা কওমি ছাত্রঐক্য পরিষদের সভাপতি মাওলানা ইমরান হোসেনের সভাপতিত্বে প্রতিবাদ সমাবেশে অন্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন, জেলা কওমি ছাত্র ঐক্য পরিষদের নেতা মাওলানা শুহাইব, মাওলানা তোফায়েল, মাওলানা খালেদ মো. মোশাররফ প্রমুখ। সমাবেশে বক্তারা বলেন, মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী অন্যায়ভাবে নাসিরনগরে দুটি কওমি মাদরাসা বন্ধ করে দিয়েছেন। তাই আমরা অবিলম্বে বন্ধ করে দেয়া কওমি মাদরাসা দুটি খুলে দেয়ার দাবি জানাচ্ছি। পাশাপাশি সরকারের মন্ত্রীসভা থেকে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রীর অপসারণেরও দাবি জানাচ্ছি।
অনুসন্ধানে জানাগেছে, কওমি ছাত্রঐক্য পরিষদের নেতারা ৩৬ ঘণ্টার আল্টিমেটাম বেধঁদেন। মন্ত্রীকে ব্রাহ্মণবাড়িয়াতে প্রবেশ নিশিদ্ধ করা হবে এবং তার পদত্যাগ নিশ্চিত করা হবে বলে ও হুমকি দেন। মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রীর বিরুদ্ধে মিছিল করায় মন্ত্রীর অনুসারীরা গতকাল সন্ধ্যায় জামিয়ার এক ছাত্রকে আক্রমন করে। এর জের ধরেই সন্ধ্যায় সরকারদলীয় ক্যাডাররা মাদরাসায় হামলার ঘটনা ঘটে।
সোমবার রাতের চার ঘণ্টাব্যাপী ত্রিমুখী সংঘষের্র ঘটনায় ওই মাদরাসা ছাত্র নিহত হয়। এই ঘটনায় শহরে তীব্র উত্তেজনা বিরাজ করছে। নিহত হাফেজ মাসুদুর রহমান (১৯) ব্রাহ্মণবাড়িয়ার জামিয়া ইউনিছিয়া মাদরাসার ছাত্র ৮ম শ্রেণির ছাত্র। নিহতের সহপাঠীদের অভিযোগ, গতকাল রাতে পুলিশ ও ছাত্রলীগের কর্মীরা দেশীয় অস্ত্র নিয়ে মাদরাসার হেফজখানা তালা ভেঙ্গে প্রবেশ করে ছাত্রদের ওপর হামলা করে। এসময় পুলিশের গুলিতে ৮/১০জন জন আহত হয়। আহতদের মধ্যে গুরুতর আহত হাফেজ মাসুদুর রহমানকে রাত ২টার দিকে জেলা সদর হাসপাতালে নেওয়া হলে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করে। পুলিশ স্বীকার করেছে, এক মাদরাসা ছাত্র নিহত হয়েছে। এই ঘটনায় শহরে থমথমে অবস্থা বিরাজ করছে। এদিকে, সকালে মাদরাসার ছাত্র নিহতের খবর ছড়িয়ে পড়লে মাদরাসার ছাত্ররা বিক্ষোভ করছে। ভোর থেকেই ছাত্ররা শহরের টিএ রোড, হাসপাতাল রোড়, কালীবাড়ি মোড়, মসজিদ রোড, কান্দিপাড়া রোড, মাদরাসার রোড, পাওয়ার হাউজ রোডসহ সকল সড়কে রোড ডিভাইডার, বাঁশ ফেলে রাস্তা বন্ধ করে দেয়। শহরের দোকান ও ব্যবসা প্রতিষ্ঠান বন্ধ রয়েছে। যানচলাচল বন্ধ রয়েছে। রেলস্টেশন ও ব্যাংক এশিয়া ভাংচুর চালানো হয়েছে। বিভিন্ন স্থানে টায়ারে আগুন জ্বালিয়ে বিক্ষোভ করছে ছাত্ররা। পুলিশ ফকিরাপুল ব্রিজের উপর অবস্থান নিয়ে মাদরাসার ছাত্রদের ধাওয়ায় থানার ফটকের সামনে অবস্থান নেয়। সকাল ৮টায় জামেয়া ইউনুছিয়া মাদরাসার শীর্ষ আলেমরা রুদ্ধদ্বার বৈঠক করেন। বৈঠকে বিকেল ৩টায় নিহতের জানাজা, পরে বিক্ষোভ এবং আগামীকাল বুধবার জেলায় সকাল-সন্ধ্যা হরতালের সিদ্ধান্ত নেয়া হয়। অতিরিক্ত পুলিশ সুপার এম.এ. মাসুদ, সদর থানার সার্কেল তাপস রঞ্জন ঘোষ ও সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আকুল চন্দ্র বিশ্বাসকে মঙ্গলবার রাত ১২টার মধ্যে অপসারণ করার জন্য দাবি জানান জামিয়া ইউনুছিয়া মাদরাসার আলেরিা। সদর মডেল থানার সহকারী পুলিশ সুপার তাপস রঞ্জন ঘোষ জানান, পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে শহরে দুই প্লাটুন বিজিবি সহ র‌্যাব, পুলিশ মোতায়ন রয়েছে। গত রাতের ঘটনায় পুলিশ মাদরাসা ছাত্রসহ শতাধিক লোক আহত হয়েছে। ৪ ঘণ্টাব্যাপী সংঘর্ষে অন্তত ৫শ’ রাউন্ড রাবার বুলেট ও ৬২ রাউন্ড টিয়ার সেল নিক্ষেপ করে পুলিশ।

লীগের নির্যাতনে মৃত্যু হয়েচে হাফেজ মাসউদের : দাবি ছাত্র-শিক্ষকদের

12508952_1660983137516444_2499755804781227257_nছাত্রলীগ নেতাকর্মীদের নির্যাতনে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জামিয়া ইসলামিয়া ইউনুছিয়া মাদরাসার (বড় মাদরাসা) ছাত্র হাফেজ মাসউদুর রহমানের মৃত্যু হয় বলে অভিযোগ করেছেন ছাত্র শিক্ষকরা। মঙ্গলবার সকালে মাদরাসার এক শিক্ষার্থী বলেন, রাতে মাদরাসার ছাত্ররা ঘুমিয়েছিল। তখন ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা তালা ভেঙে সেখানে ঢুকে পড়ে। তাদের নির্যাতনে মাসুদুর রহমান মারা যান। এর বিচার না হওয়া পযন্ত আমরা রাজপথে অবস্থানে থাকব। নিহত মাসুদুরের ভাই হাফেজ মোহাম্মদ মামুন বলেন, আহত অবস্থায় হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসক মাসুদুরকে মৃত ঘোষণা করেন। মাদরাসার জ্যেষ্ঠ শিক্ষক মোবারক উল্লাহ বলেন, আমরা যতদূর জানতে পেরেছি, সামান্য ঘটনা থেকে এর সূত্রপাত হয়েছে। সে সময় শিক্ষকদের অনেকেই সেখানে ছিলেন না। যারা ছিলেন, তারা ছাত্রদের মাদরাসায় নিয়ে আসেন। ক্যাচি গেট তালা মেরে দেন। তার পরও ছাত্রলীগ ও যুবলীগের ছেলেপেলেরা তালা ভেঙে সেখানে ঢুকে মাদরাসা শিক্ষার্থীদের ব্যাপক মারধর করে। এর আগে গতকাল সন্ধ্যায় শহরের জেলা পরিষদ মার্কেটের বিজয় টেলিকমের মালিক রনির সঙ্গে শহরের বড় মাদরাসার এক ছাত্রের বাকবিতণ্ডা হয়। এর জের ধরে মাদরাসাছাত্রদের সঙ্গে ব্যবসায়ীদের সংঘর্ষ বাধে। পরে এতে ছাত্রলীগ ও এলাকার কিছু লোক যোগ দেয়। সংঘর্ষে পুলিশসহ অন্তত ৫০ জন আহত হয়েছেন। সূত্র. সিলেট রিপোর্ট
দোষীদের গ্রেফতার ও মাদরাসা খুলে না দিলে দায় সরকারের
                                                ————–আল্লামা শফী
indexব্রাহ্মণবাড়িয়ায় বন্ধ হওয়া মাদরাসা আজ মঙ্গলবারের মধ্যে খুলে না দিলে এবং মাদরাসায় হামলা ও ছাত্র নিহতের ঘটনার সঙ্গে জড়িতদের গ্রেফতার করা না হলে যেকোনো পরিস্থিতির জন্য সরকার দায়ী থাকবে বলে হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করেছেন হেফাজতে ইসলামের আমির আল্লামা শাহ আহমদ শফী ও মহাসচিব জুনাইদ বাবুনগরী।
মঙ্গলবার সকালে আল্লামা শাহ আহমদ শফীর বরাত দিয়ে হেফাজতের কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক মাওলানা আজিজুল হক ইসলামাবাদী গণমাধ্যমকে বলেন, দুটি মাদরাসা বন্ধের ঘটনায় এ দেশের আলেম-ওলামাসহ ধর্মপ্রাণ মানুষ মর্মাহত। মাদরাসা খুলে না দিয়ে উল্টো নিরপরাধ ছাত্রদের ওপর হামলা-গুলি চালিয়ে একজন ছাত্রকে হত্যা করা হয়েছে।
তিনি বলেন, আজকের মধ্যে দুটি মাদরাসা খুলে দিতে এবং হামলা ও ছাত্র নিহতের ঘটনার সঙ্গে জড়িতদের গ্রেফতারের জন্য আমরা সরকারের প্রতি আহ্বান জানাচ্ছি। অন্যথায় যেকোনো পরিস্থিতির জন্য সরকার দায়ী থাকবে।
আজিজুল হক বলেন, সরকার যদি দোষীদের গ্রেফতার করে তাদের বিরুদ্ধে শাস্তির ব্যবস্থা না করে তাহলে ওলামায়ে কেরাম মাঠে নামতে বাধ্য হবে।

শহিদ হাফেজ মাসুদকে নিয়ে যা বললেন তার সাথী সঙ্গীরা

Shohid-Masudজামিয়া ইউনুছিয়ার হেদায়াতুন্নাহু জামায়াতে পড়েন হাফেজ মাসুদ। সে জামায়াতটি আমিরের দায়িত্ব পালন করতো। তার ওপর ছাত্রলীগ ছেলেদের বর্বর নির্যাতনের বর্ণণা দিয়েছে তার সহপাঠীরা। তারা জানান, রাতে মাদরাসার ছাত্ররা ঘুমিয়েছিল। তখন ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা তালা ভেঙে সেখানে ঢুকে পড়ে। তাদের নির্যাতনে মাসুদুর রহমান মারা যান।
তারা দাবি করেন, এর বিচার না হওয়া পর্যন্ত আমরা রাজপথে অবস্থানে থাকব। নিহত মাসুদুরের ভাই হাফেজ মোহাম্মদ মামুন বলেন, আহত অবস্থায় হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসক মাসুদুরকে মৃত ঘোষণা করেন। মাদরাসার জ্যেষ্ঠ শিক্ষক মোবারক উল্লাহ বলেন, আমরা যতদূর জানতে পেরেছি, সামান্য ঘটনা থেকে এর সূত্রপাত হয়েছে। সে সময় শিক্ষকদের অনেকেই সেখানে ছিলেন না। যারা ছিলেন, তারা ছাত্রদের মাদরাসায় নিয়ে আসেন। ক্যাচি গেট তালা মেরে দেন। তার পরও ছাত্রলীগ ও যুবলীগের ছেলেপেলেরা তালা ভেঙে সেখানে ঢুকে মাদরাসা শিক্ষার্থীদের ব্যাপক মারধর করে।

kila12.1.16

কুরআন অবমাননার শাস্তি ও বন্ধ মাদরাসা খুলে দিতে হবে                                  ————-বাংলাদেশ খেলাফত মজলিস

বাংলাদেশ খেলাফত মজলিসের আমীর প্রিন্সিপাল আল্লামা হাবীবুর রহমান, অভিভাবক পরিষদের চেয়ারম্যান শায়খুল হাদীস আল্লামা আশরাফ আলী ও মহাসচিব মাওলানা মাহফুজুল হক এক যুক্ত বিবৃতিতে গতকাল বি-বাড়িয়ার নাসিরনগর উপজেলায় হযরত শাহজাল কমপ্লেক্স মসজিদ, মাদরাসা ও আবু বকর সিদ্দিক রা. মাদরাসা বন্ধ করা এবং জামিআ ইউনুছিয়া মাদরাসার ছাত্র শিক্ষদের উপর হামলার তীব্র নিন্দা ও ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেছেন, সরকারে থাকা একটি চক্র ইসলামী শিক্ষা ব্যবস্থাকে সহ্য করতে না পেরে জঙ্গিবাদের অপবাদ দিয়ে মাদরাসা শিক্ষা ধ্বংসের পায়তারা হিসেবে ২টি মাদরাসা বন্ধ করে দিয়েছে এবং মাদরাসা ছাত্র ও শিক্ষদের উপর হামলা করেছে। অবিলম্বে বন্ধ মাদরাসা খুলে দিতে হবে এবং ছাত্র শিক্ষকদের উপর যারা হামলা করেছে তাদের গ্রেফতার করে কঠোর শাস্তি দিতে হবে। অন্যথায় আলেম-উলামা ইসলামী জনতা রাজপথে নামবে।
বি-বাড়িয়ার আলেম-উলামা ঘোষিত আগামীকালের হরতাল সফল করার জন্য দলীয় নেতা কর্মী ও ইসলামী জনতার প্রতি আহ্বান জানান।
নেতৃদ্বয় আরো বলেন গতকাল ঢাকার মেরুলে একটি মন্দিরে কুরআন শরীফ পুড়িয়ে মুসলমানদের অন্তরে যে আঘাত করেছে, তা সহ্য করার মত নয় । যারা এধরণের ন্যাক্কারজনক ঘটননা ঘটিয়েছে তাদের গ্রেফতার করে ফাঁসিতে ঝুলাতে হবে। অন্যথায় পরিনতি ভালো হবে না।
কুরআন পুড়ানো ও ছাত্রদের উপর হামলার প্রতিবাদে ও মাদরাসা খুলে দেওয়ার দাবীতে আজ বাদ আছর বাংলাদেশ খেলাফত মজলিস সিলেট মহানগরীর, নরসিংদী জেলা, বি-বাড়িয়া জেলাসহ বিভিন্ন স্থানে ও যুবমজলিস ঢাকায় বিক্ষোভ মিছিল করে।

সারাদেশ অচল করে দেয়ার হুমকি ইসলামী ঐক্যজোটের

12509257_976638972423104_8030410955130176146_nবি-বাড়িয়ায় মাদরাসাছাত্র মাসুদুর রহমানকে হত্যা ও শতাধিক ছাত্রকে আহত করার প্রতিবাদে রাজধানীতে বিক্ষোভ করেছে ইসলামী ঐক্যজোট।
মঙ্গলবার দুপুরে আজিমপুর গোরে-শহিদ মাজারের সামনে ইসলামী ঐক্যজোটের ভাইস চেয়ারম্যান মাওলানা যোবায়ের আহমদের সভাপতিত্বে এ বিক্ষোভ অনুষ্ঠিত হয়।
বিক্ষোভপূর্ব সমাবেশে বক্তারা বলেছেন, রক্তের বদলা না নিয়ে আমরা ঘরে ফিরবো না। অবিলম্বে যদি এই হত্যাকা-ের প্রকৃত দোষীদের গ্রেফতার করে বিচার না করা হয় প্রয়োজনে হরতাল, অবরোধ দিয়ে সারাদেশ অচল করে দেয়া হবে।
তারা বলেন, বিগত ২০০১ সালেও আওয়ামী সরকার বি-বাড়িয়ায় নিরীহ ছাত্রদের উপর গুলি চালিয়ে ৬ জন হাফেজ-আলেমকে শহিদ করে নিজেদের পতন ডেকে এনেছিলো। ঠিক একইভাবে এই হত্যাকা-ের বিচার না হলে তাদেরকে করুণভাবে গদি ছাড়তে হবে।
সমাবেশে বক্তব্য রাখেন মাওলানা জসিমুদ্দীন, মুফতি তৈয়্যব হোসাইন, মাওলানা আহলুল্লাহ ওয়াছেল, মাওলানা সাইফুল ইসলাম, মাওলানা কাজী আজিজুল হক, মাওলানা আবুল খায়ের কুসুমপুরী, মাওলানা আনছারুল হক ইমরান, খোরশেদ আলম ও আবুল হাসিম।

সিলেটে বিভিন্ন সংগঠনের বিক্ষোভ

DSC_0723ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় বন্ধ হওয়া ২টি মাদরাসা খুলে দেওয়া এবং জামিয়া ইউনুছিয়া মাদরাসায় হামলা ও ছাত্র নিহতের প্রতিবাদে সিলেটে বিভিন্ন সংগঠনের পক্ষ থেকে বিক্ষোভ-মিছিল সমাবেশ অনুুষ্ঠিত হয়েছে। বাংলাদেশ খেলাফত মজলিস সিলেট মহানগর, যুব জমিয়ত বাংলাদেশ সিলেট জেলা ও মহানগর, মাদানী কাফেলা বাংলাদেশ, বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্র মজলিস, জামিয়া মাদানীয়া কাজির বাজার এবং কওমী যুব-ছাত্র ঐক্যপরিষদের পক্ষ থেকে পৃথক পৃথক মিছিল বের করা হয়।

12508779_715426041892129_8259741581839372504_nমিছিল পরবর্তী পথসভায় বক্তারা বলেন, বন্ধ ২টি মাদ্রাসা খুলে না দিয়ে উল্টো নিরপরাধ ছাত্রদের ওপর হামলা-গুলি চালিয়ে একজন ছাত্রকে হত্যা করা হয়েছে। অবিলম্ভে খুনীদের দৃষ্টমুলক শাস্তি দাবী করা হয়।

1425549_976638835756451_2958131097910583599_n
বেফাকের ২৪ ঘণ্টার আল্টিমেটাম

ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় সংগঠিত ঘটনা পর্যালোচনায় আজ দুপুরে বেফাকুল মাদারিসিল আরাবিয়া বাংলাদেশের দায়িত্বশীলদের এক জরুরি বৈঠক বেফাক মহাসচিব আল্লামা শেখ আবদুল জব্বার জাহানাবাদীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত হয়। বৈঠকে নাসির নগরের ধনকুড়া গ্রামের বন্ধকৃত হযরত শাহজালাল রাহ. মসজিদ মাদরাসা কমপ্লেক্স দ্রুত খুলে দেয়ার দাবির কারণে শতবর্ষের ঐতিহ্যবাহী শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান জামিয়া ইসলামিয়া ইউনুছিয়ার ছাত্র ও স্থানীয় মুসলিম জনতার উপর পুলিশ প্রশাসন ও স্থানীয় সন্ত্রাসীদের বর্বরোচিত হামলার তীব্র নিন্দা ও ক্ষোভ প্রকাশ করা হয়।

Logo_of_befaqদেশের কওমী মাদরাসাসমূহের সাথে ধর্মপ্রাণ মুসলিম জনতার আত্মার সম্পর্ক। সংশ্লিষ্টরা যদি এটা বুঝতে ব্যর্থ হন তাহলে পরিস্থিতি অতি দ্রুতই নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যেতে পারে। এহেন অবস্থায় বেফাকের জোরালো দাবি যে, অনতি বিলম্বে হামলা ও ছাত্র নিহতের ঘটনার সঙ্গে জড়িত দোষীদেরকে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দিতে হবে এবং বন্ধকৃত মসজিদ ও মাদরাসা খুলে দিতে হবে।
বৈঠকে উপস্থিত নেতৃবৃন্দ বলেন, আগামী ২৪ ঘণ্টার মধ্যে যদি সরকার এই দাবি পূরণ না করে তাহলে ওলামায়েকেরাম মাঠে নামতে বাধ্য হবেন এবং সেক্ষেত্রে যে কোনো পরিস্থিতির জন্য সরকারকেই দায়ী থাকতে হবে। বৈঠক শেষে বেফাকের পক্ষ থেকে মহাসচিব আল্লামা আবদুল জব্বার জাহানাবাদীর নেতৃত্বে একটি প্রতিনিধি দল ব্রাহ্মণবাড়িয়ার উদ্দেশ্যে রওনা হন।

 12494830_976639069089761_7239029658381573047_nবৈঠকে উপস্থিত ছিলেন মাওলানা নুরুল ইসলাম জিহাদী, মাওলানা মাহফুজুল হক, মাওলানা উমর ফারুক সন্ধিপী, মাওলানা মঞ্জুরুল ইসলাম, মুফতি নুরুল আমীন, মাওলানা ইউনুস, মাওলানা যুবায়ের আহমদ চৌধুরী, মাওলানা মুনিরুজ্জামান ও মাওলানা রশিদ আহমদ প্রমুখ।

বি.দ্র. লেখাটির কিছু অংশ বিভিন্ন অনলাইন সংবাদ মাধ্যম থেকে সংগ্রহ করা হয়েছে।

About Islam Tajul

mm

এটাও পড়তে পারেন

কওমি মাদরাসা কল্যাণ ট্রাস্ট, বাংলাদেশ

খতিব তাজুল ইসলাম ট্রাস্টের প্রয়োজনীয়তাঃ কওমি অংগন একটি স্বীকৃত ও তৃণমূল প্লাটফর্ম। দেশ ও জাতির ...