শনিবার, ২৩শে নভেম্বর, ২০২৪ ইং
কমাশিসা পরিবারবিজ্ঞাপন কর্নারযোগাযোগ । সময়ঃ বিকাল ৩:৩১
Home / অনুসন্ধান / ইসলামিক ফোরাম ইউরোপের ভিতর ঠান্ডা লড়াই…! ইসলামের নামে ভেলকিবাজি

ইসলামিক ফোরাম ইউরোপের ভিতর ঠান্ডা লড়াই…! ইসলামের নামে ভেলকিবাজি

ইসলামী আন্দোলনে গ্রাম্য পলিটিকস, ভাঙনের মুখে ইসলামিক ফোরাম ইউরোপ

কমাশিসা বিদেশ ডেস্ক: ইসলামী আন্দোলনের সাথে জড়িত আছি এক যুগেরও বেশি সময় ধরে।আল্লাহর অশেষ নেয়ামত মনে করে এবং আন্দোলন করা ফরজ এই বুঝ থেকে ইউকেতে এসেই সংযুক্ত হয়ে পরি এখানকার সংঠনে (ইসলামিক ফোরাম ইউরোপ)। ইসলামী আন্দোলনকে যেভাবে দেখেছি, যা পড়েছি, যেভাবে বুঝেছি তার আলোকেই এখানে কাজ করে যাচ্ছি।সূদুর বিদেশে শত কষ্টের মাঝেও সংগঠন থেকে পিছপা হইনি।নিজের অমানুষিক কষ্টে অর্জিত টাকা দিয়েছি আন্দোলন যখনই যেভাবে ধার্য্য করেছে…শুধু আল্লাহর সন্তুষ্টির জন্য।

অথচ সেই আন্দোলনে আজ দেখছি অমনিশার মেঘ।দেশের সংগঠনের আবেগ কে কাজে লাগিয়ে ঘুটি কয়েক ভাই ক্ষমতার অপব্যবহার, অর্থের অপব্যবহার, পদের জন্য গ্রাম্য পলিটিকস করে যাচ্ছেন।চোখের সামনে এগুলো দেখে এত দিনের জানা, শিখা ইসলামী আন্দোলনকে যেন আমি আজ চিনতে পারিনা।রাতের পর পর আমি এসব নিয়ে ভেবেছি,আল্লাহর কাছে কান্না করেছি।এসব কি হচ্ছে দ্বীনি সংগঠনে? কারো কাছে শেয়ার করারও সুযোগ কম,করেও ফায়দা নেই তেমন একটা।কারন যাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ তারা একেকজন বড় বড় নেতা…প্রশ্নের উর্ধে তাদের অবস্থান।নিজেকে প্রশ্ন করি আমার ইসলামী আন্দোলন কি আল্লাহর সন্তুষ্টির জন্য? নাকি কোন দায়িত্বশীলের সন্তুষ্টির জন্য? দায়িত্বশীল কি আমাকে জান্নাতে নেবে? যে অন্যায় দেখে আসছি,সংগঠনের স্বার্থে এগুলো এতদিন কাউকে বলিনি।কিন্তু কিভাবে জবাব দেব আল্লাহর কাছে? আর কোন ভাই কি আমার মত এমনই ফিল করেন? এভাবে চলতে দেয়া যায়না।ইসলামী আন্দোলনকে রক্ষা করতে, ভবিষ্যতে ইসলামী সংগঠনের মধ্যে এই ধরণের অপকর্ম বন্ধ করতে কিছু কথা আজ শেয়ার করতেই হবে। আল্লাহই উত্তম প্রতিদানকারী।

ভাঙ্গনের মুখে ইসলামিক ফোরাম ইউরোপ,নির্বাচিত প্রেসিডেন্টের একমাসের মাথায় পদত্যাগএকটি নিরব পর্যবেক্ষণ

নির্বাচনের একমাসের মাথায় পদত্যাগ করেছেন ইসলামিক ফোরাম অব ইউরোপ (আইএফই)’র নবনির্বাচিত প্রেসিডেন্ট ইমরানুল হক। শিক্ষাবিদ ও ম্যানচেষ্টার ইউনিভার্সিটির ইকনোমিক্সের প্রফেসর এই ইমেজ কে কাজে লাগিয়ে বৈশ্বিক চ্যালেঞ্জ মোকাবেলায় আইএফই কি এগিয়ে যেতে পারতো? নাকি তাকে পদত্যাগ করিয়ে সংগঠনের ক্ষতি করা হলো? যে সময় সারা বিশ্বে ইসলাম, ইসলামী আন্দোলনের দুরাবস্থা চলছে, সেসময় অধিক গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে মনোযোগ না দিয়ে অপ্রয়োজনীয ইস্যুতে সময় ক্ষেপন করে আইএফই কি মুসলিম উম্মাহর ক্ষতি করছে? ইউরোপের সর্ববৃহৎ দাওয়াহ সংগঠনটি কি ভাঙ্গনের মুখে পড়বে? নাকি যোগ্যতা সম্পন্ন মেম্বাররা নিজেদের কে ঘুটিয়ে নেবেন? নোংরা পলিটিক্স ইসলামী সংগঠনের ভিতরে ও চলতে থাকবে?  আইএফই’র সাম্প্রতিক নির্বাচন, পদত্যাগ, পূনঃনির্বাচন নিয়ে বিশ্লেষণধর্মী প্রতিবেদন।

গত ১৮ ই অক্টোবর ২০১৫ অনুষ্ঠিত হলো ইউরোপের সর্ববৃহৎ ইসলামী দাওয়াহ সংগঠন ইসলামিক ফোরাম ইউরোপের মেম্বার কনফারেন্স।প্রতি দুই বছর পরপর সংগঠনটি মেম্বার কনফারেন্সের মাধ্যমে তাদের নতুন নেতৃত্ব নির্বাচন করে থাকে। সংবিধান অনুসারে গোপন ব্যালটের মাধ্যমে প্রথম পর্বে নিদিষ্ট সংখ্যক মজলিশে শুরা নির্বাচন করা হয়।দ্বিতীয় পর্বে নির্বাচিত মজলিশে শুরা মেম্বারদের মধ্য থেকে একজনকে দুই বছরের জন্য কেন্দ্রীয় সভাপতি নির্বাচিত করা হয়।

গতানুগতিক ধারা অনুসারে এবারও মজলিশে শুরা নির্বাচনের পর কেন্দ্রীয় সভাপতি নির্বাচন করা হয়।সর্বাধিক, সব্বোর্চ্চ ভোট পেয়ে আগামী দুই বছরের জন্য ইসলামিক ফোরাম ইউরোপের সেন্ট্রাল প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হন গত দুই সেশনের সেক্রেটারী জেনারেল, ম্যানচেষ্টার ইউনিভার্সিটির ইকনোমিক্সের প্রফেসর ড. ইমরানুল হক। নির্বাচনে চার শতাধিক মেম্বার তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করেন। সেন্ট্রাল প্রেসিডেন্ট শপথ গ্রহণের পূর্ব মুহুর্তে আকলু মিয়া নামে একজন মেম্বার তাকে মানেন না বলে শাউট করেন। পরবর্তীতে জানা যায় আকলু মিয়া এবং সেন্ট্রাল প্রেসিডেন্ট সহ আরো দশ জন শুরা মেম্বার আলআমিন ফাইনান্স নামের একটি বিজনেসের সাথে জড়িত।

গ্রহনযোগ্য সুত্র মতে, ব্যবসায়িক লেনদেনের সুত্র ধরেই পরিকল্পিত বিশৃংখলা সৃষ্টির জন্যই আকলু মিয়াকে দিয়ে শাউট করানো হয়। একই বিজনেসের মেম্বার হওয়ার পরে ও শুরা মেম্বারদের কেউই নব-নির্বাচিত সেন্ট্রাল প্রেসিডেন্টকে ডিফেন্ড করে কোন বক্তব্য দেননি।পরবর্তীতে শুরা মেম্বারদের মধ্য থেকে তিনজনের একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়। তদন্ত কমিটি নিরপেক্ষ তদন্তের কারন দেখিয়ে নির্বাচিত সেন্ট্রাল প্রেসিডেন্টকে একমাসের ছুটিতে যেতে বাধ্য করে। এবং আকলু মিয়াকে সাময়িক বহিস্কার করা হয়। ১৭ জন শুরা মেম্বারের মধ্যে ’কনফ্লিক্ট অব ইন্টারেস্ট’ থিউরীতে আল-আমিন ফাইনান্সের সাথে জড়িত ১০ জন শুরা মেম্বারকে তদন্ত সংশ্লিষ্ট সকল বিষয় থেকে অব্যাহতি দেয়া হয়। তদন্ত কমিটিতে যথাক্রমে হামিদ হোসাইন আযাদ,নুরুল মতিন চৌধুরীসিরাজ সালেকীন নিযুক্ত হন।সেন্ট্রাল প্রেসিডেন্টের অনুপুস্থিতিতে শুরা মেম্বার আইয়ুব খান অন্তবর্তীকালীন সভাপতি ও আবদুল্লাহ ফলিক অন্তবর্তীকালীন সেক্রেটারী নিযুক্ত হন।

তদন্ত চলাকালীন সময় প্রকাশিত হয় যে, বিজনেস সংক্তান্ত সমস্যার সমাধানআগেই সম্মানজনকভাবে সমাধান করা হয়েছিলো, যা আকলু মিয়া ব্যতীত বিজনেসের সকলেই মেনে নিয়েছিলো। কিন্তু তদন্ত কমিটি প্রতিহিংসা বশতঃ মজলিশে শুরায় উক্ত বিষয়টি ইতিপূর্বে সমাধান হয়নি বলে মিথ্যা তথ্য উথ্থাপন করে। সেন্ট্রাল প্রেসিডেন্ট ড. ইমরানুল হক তাদের এই হিংসাত্মক কর্মসুচী অবহিত হয়ে জরুরী শুরা বৈঠকে সংবিধান প্রদত্ত ক্ষমতা বলে তদন্ত কমিটির তিন সদস্যকে (হামিদ হোসাইন আযাদ, নুরুল মতিন চৌধুরী ওসিরাজ সালেকীন ) মিথ্যা তথ্য দিয়ে তদন্ত ভিন্ন পথে নেওয়া, সংগঠনে অনৈক্য সৃষ্টি ও হিংসাত্মক কর্মকান্ডের অপরাধে মজলিশে শুরা থেকে বহিস্কার করেন।

তাদেরকে বহিষ্কারের বিষয়টি সংগঠনের সদস্যদের কাছে গোপন রাখা হয়।ঐ তিনজন সংগঠনে দীর্ঘদিন ধরে শুরা সদস্য থাকায় তদন্তে প্রভাব বিস্তার করেই যাচ্ছিলেন। এর দীর্ঘ একমাস তদন্তের পর (বহিষ্কৃত ৩ জন পেছনে থাকেন) তদন্ত কমিটি একটি রিপোর্ট পেশ করে। যাতে ড. ইমরানুল হক কে দোষী সাব্যস্ত করা হয়নি। তথাপি এই মিথ্যা রিপোর্টের উপর ভিত্তি করেই অন্তবর্তীকালীন কমিটি মজলিশে শুরা ও নির্বাচিত সেন্ট্রাল প্রেসিডেন্টকে পদত্যাগের সিদ্ধান্ত আরোপ করেন। তদন্ত কমিটি ড. ইমরানুল হক কে সম্মানজনক পন্থায় পদত্যাগের সিদ্ধান্ত চাপিয়ে দেন অন্যথায় পুরো শুরা তার প্রতি অনাস্থা আনবে বলে জানানো হয়।

৬ ই ডিসেম্বর ২০১৫ পুনরায় জরুরী মেম্বার কনফারেন্স আয়োজন করা হয়।কনফারেন্সে ড. ইমরানকে পদত্যাগে বাধ্য করা হয়।তিনি একটি লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন, যা ছিলো কোটারি গ্রুপ কতৃক লিখিত।লিখিত বক্তব্যের বাইরে তিনি একটি শব্দও উচ্চারণ করেননি।ড. ইমরান পরবর্তী মজলিশে শুরায় তাকে ভোট না দেওয়ার জন্য মেম্বারদের অনুরোধ করেন।ড.ইমরানুল হক বিহীন ইসলামিক ফোরাম ইউরোপে আতিকুর রহমান জিল্লু  প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হন।

 কথিত আছে,

১. আল-আমীন ফাইন্যান্স ইসলামী নীতিমালা অনুসারে শুরু থেকে ব্যবসা করে আসছে।ইতমধ্যে তারা যে প্রজেক্টগুলোতে লাভ করে তার লভ্যাংশ সকল শেয়ার হোল্ডাদের (ইষ্ট লন্ডন মসজিদের খতিব শায়খ আব্দুল কাইয়ুম, শায়খ আবুল হোসেন সহ শুরার প্রায় ১০ জন সদস্য রয়েছেন) মাঝে বিতরন হয়।কিন্তু কয়েক বছর আগে একটি প্রজেক্টে লস করে।এই লস যখন সবাইকে শেয়ার করতে বলা হয় তখন প্রায় সবাই সেটা মেনে নেন। কিন্তু আকলু মিয়া লসের (£২০০০) জন্য ব্যবসার সভাপতি (ড. ইমরান)কে দায়ী করেন এবং লস নিতে অস্বীকার করেন।এই বিষয়ে একাধিক বৈঠকে সমাধান করার চেষ্টা চলে।ড. ইমরান এক পর্যায়ে সমস্যা এড়ানোর লক্ষ্যে নিজের পকেট থেকে ঐ সদস্যকে £২০০০ টাকা পরিশোধ করে দেবেন বলে জানিয়ে দেন,কিন্তু ব্যবসার অন্যান্য সদস্যরা তাকে তা করতে বাদা দেন।তাদের যুক্তি ছিল আমরা সবাই লস শেয়ার করেছি তাকেই সেটা করতে হবে।ব্যবসায়ে লাভ-লস মেনে নিয়েইতো ব্যবসা,আর এটাই ইসলামিক নীতি।ড. ইমরান সহ অন্যান্যরা ভেবেছিলেন বিষয়টা এখানেই শেষ। অথচ এই বিষয়ে আকলু মিয়া তখনকার কেন্দ্রীয় সভাপতি (দেলোয়ার খান)এর কাছে একাধিকবার নালিশ করেন বলে জানা যায় কিন্তু তিনি তখন এর কোন ব্যবস্থা নেননি।সবার জানার জন্য এখানে বলে রাখা ভাল ড. ইমরান তখন আইএফই’র ২য় বারের মত সেক্রেটারীর দায়িত্ব পালন করছিলেন।

ড. ইমরানুল হক প্রেসিডেন্ট হলে আকলু মিয়া কে দিয়ে শাউট করানো হবে এবং সেন্ট্রাল প্রেসিডেন্টকে এই ইস্যু তে পদচ্যুত করা হবে।যা ছিলো পূর্ব পরিকল্পনার অংশ। তদন্ত কমিটি ষড়যন্ত্র কারীদের শনাক্ত না করে £২০০০ মূল্যমানের একটি মীমাংসিত বিজনেস ইস্যুকে নিয়ে নোংরা পলিটিক্স করেছেন।

২.ঘটনার শুরু থেকে তদন্ত কমিটিকে বিপথে নেওয়ার এবং নিজের সেন্ট্রাল প্রেসিডেন্ট পথ সুগম করার জন্য ভাইস প্রেসিডেন্ট অাতিকুর রহমান জিল্লু নেপথ্যে থেকে কলকাঠি নাড়েন বলেও সদস্যদের কেউ কেউ মনে করেন। তদন্ত কমিটি অপরাধের জন্য বহিস্কৃত হলেও তিনি বহাল তবিয়তে থেকে যান।(আতিকুর রহমান জিল্লু ভাই সভাপতি নির্বাচিত হলে কারো আপত্তি ছিলনা, ব্যক্তিগত ভাবে আমারও নেই।কিন্তু ইউকে থেকে সিকিউরিটি ইস্যু দেখিয়ে মানি রিসিপ্ট ছাড়াই বাংলাদেশ ইস্যুতে টাকা কালেকশান করে থাকেন এবং ভাউচার ছাড়াই তা খরচ করার ফলে আইএফই’র নেতা কর্মিদের মাঝে ওনার ব্যাপারেও প্রশ্ন রয়েছে।পুরো বিষয়টাই তিনি দেখাশুনা করেন।আরো একটি বিষয় নিয়ে ওনার ব্যাপারে সদস্যদের প্রশ্ন রয়েছে যেটা জানা জানি হলে সদস্যরা তাকে ভোট দিত কিনা আল্লাহ জানেন।তিনি সংগঠনে ফুল টাইম সময় দেন,ওনার আন্তরিকতা প্রশ্নের উর্ধে।কিন্তু এটা করতে গিয়ে উনি যে পরিমাণ বেতন নেন সেটা এখানের কোন কর্পোরেট হাই প্রোফাইল অফিসারগন পান কিনা সন্দেহ।আর সেই বেতনের  NI, TAX দেয়া হয় কিনা সেই প্রশ্ন না হয় না-ই তোলা হল।)

৩. বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর বর্তমান ভারপ্রাপ্ত সেক্রেটারী ডা. শফিকুর রহমানের সাথে আতিকুর রহমান জিল্লুর বাংলাদেশ ইস্যুতে ঘনিষ্ট সম্পর্ক থাকায় তিনি ড. ইমরানুল হক কে সরিয়ে দিতে পরামর্শ দেন। নিজস্ব খোজ খবরে আরো জানা যায় যে ডা.শফিকুর রহমান বাংলাদেশ থেকে আইএফই’র বিভিন্ন সদস্যদের ফোন করে করে বলে দেন কাকে ভোট দিতে হবে, কাকে দেয়া যাবেনা।, কাকে রাখতে হবে, কাকে সরিয়ে দিতে হবে।যেহেতু আইএফই’র অধিকাংশ সদস্য সিলেট থেকে আগত আর সিলেটের অধিকাংশ সদস্য দেশে থাকতে ওনার কর্মি ছিলেন তারা তার আনুগত্য করে তারই কথা মত ভোট দেন।বাংলাদেশ জামায়াত মনে করেছে টাকা যেহেতু আতিকুর রহমান জিল্লু ভাই’র হাত দিয়ে যাচ্ছে সেহেতু তিনি সভাপতি নির্বাচিত হলে এই বিষয়ে প্রশ্ন তোলার বা জবাবদিহী করারও আর কেউ থাকছেনা।

৪. ড. ইমরানুল হক তরুণ প্রজম্মের প্রতিনিধি হওয়ায় তাকে বাংলাদেশের স্পর্শকাতর ইস্যুতে কনভিন্স করা যাবেনা মর্মে তার নামে মিথ্যা তথ্য পরিবেশন করা হয়।

৫. তদন্ত কমিটির অপকর্ম ওয়ান টু ওয়ান জানাজানি হওয়ার কারনে তারা (নুরুল মতিন চৌধুরী ভাই ও সিরাজ সালেকীন) বর্তমানের মজলিশে শুরায় নির্বাচিত হতে ব্যর্থ হয়েছেন। এক সদস্যকে ওনাদের নির্বাচিত না হওয়ার কারন জিজ্ঞেস করলে তিনি বলেন; “এই দুই জন ষড়যন্ত্রের সাথে সম্পৃক্ত ছিলেন”।তবে শিবিরের সাবেক কেন্দ্রীয় সভাপতি ইমেজ কে কাজে লাগিয়ে হামিদ হোসাইন আযাদ শুরা মেম্বার নির্বাচিত হতে পেরেছেন।

৬. পক্ষে বিপক্ষে প্রচারণা সংবিধান প্রদত্ত নির্দেশনায় থাকলেও তা বাস্তবে মানা হয়নি।দ্বিতীয় দফা সদস্যদের ভোট গ্রহনের আগের দিন গভীর রাত পর্যন্ত এলএমসিতে বসে কোটারী গ্রুপ সদস্যদের মোবাইলে যোগাযোগ করে, ম্যাসেজ পাঠিয়ে পক্ষে-বিপক্ষে ক্যাম্পেইন করেন।

 মেম্বার কনফারেন্সে উত্থাপিত যে প্রশ্নগুলোর সন্তোষজনক উত্তর পাওয়া যায়নি;

১. তদন্ত কমিটিকে দায়িত্ব দেয়া হয়েছিল তদন্তের রিপোর্ট পেশ করার জন্য।তারা রিপোর্টে ড. ইমরানুল হকের বিরুদ্ধে কোন অভিযোগ আনেনি।তথাপি তাকে পদত্যগের সীদ্ধান্ত দেয়ার বৈধতা কোথায় পেলেন? চারশত সদস্য তাকে ভোট দিয়ে নির্বাচিত  নতুন নির্বাচন করার আগে একজন মেম্বার উপস্থিত চার শতাধিক মেম্বার নির্বাচনের পক্ষে-বিপক্ষে হ্যাঁ/ না ভোটের প্রস্তাব করলে আইয়ুব খান তার সদুত্তর না দিয়ে প্রত্যাখ্যান করেন।করেছিল। উপস্থিত চার শতাধিক মেম্বারের মতামতকে সম্পূর্ণ বুড়ো আঙুল দেখিয়েছেন গুটি কয়েক কোটারি নেতৃত্ব।

২. আনীত অভিযোগ প্রমানিত না হওয়ায় পদত্যাগের সিদ্ধান্ত পূনঃবিবেচনার অনুরোধ কেন বা কার স্বার্থে,কোন বিধান অনুসারে প্রত্যাখ্যান করা হয়?

৩. মেম্বারদের প্রশ্নের উত্তর না দিয়েই তাদেরকে নতুন নেতৃত্ব নির্বাচনের সিদ্ধান্ত কেন দেয়া হয়?তাহলে সংগঠনে এই মেম্বারদের মুল্য কোথায়? তারা কি গরু গাধা যে জি হুজুর করে যাবেন সব সময়?

৪. চার শতাধিক মেম্বারের ভোটকে সম্মান না দেখিয়ে একজন আকলু মিয়ার শাউটিং কে গুরুত্ব দেওয়া হয় কোন বিধান অনুসারে?

৫. পরামর্শের ভিত্তিতে সিদ্ধান্ত নেওয়ার পরে তার উপর অটল থাকার পরিবর্তে অনৈতিকভাবে সেন্ট্রাল প্রেসিডেন্টের পদত্যাগেই গুরুত্ব দেয়া হয় কার ইশারায়?

৬. ড. ইমরানুল হক সেন্ট্রাল প্রেসিডেন্টের অযোগ্য হলে কেন তাকে পর পর দুই সেশন সেক্রেটারী জেনারেল রাখা হলো?

৭. ড. ইমরানুল হক ইসকল মেম্বারদের মাঝে সেন্ট্রাল প্রেসিডেন্ট হিসেবে প্রথম পছন্দ হওয়ার পরেও তাকে পরবর্তী মজলিশে শুরায় নির্বাচিত হতে বাধা সৃষ্টি করা হ্ল কোন কারনে?

৮. আকলু মিয়া আগের রাতে সাবেক সিপি দেলোয়ার হোসাইন খান কে ঘটনার আগাম সতর্কবানী দেওয়ার পরেও তিনি কেন গ্রহনযোগ্য ব্যবস্থা নিতে ব্যর্থ হয়েছেন?

৯. নিদিষ্ট সময়ে ব্যালট না দিয়ে খুব সল্প সময়ের মধ্যেই নির্বাচন সম্পন্ন করা হল কেন?

১০. অনিদিষ্ট ও কাকতালীয় কারণে লন্ডনের চারটি রিজিয়নের সভাপতি ও এক্সিকিউটিভ কমিটি মেম্বাররা কোন প্রশ্ন করা থেকে বিরত থাকেন কার ইশারায়?

 এই ঘটনা/দূর্ঘটনা আগামীতে আরো যা সমস্যা সৃষ্টি করবে-

১. চার শতাধিক এর বিপরীতে একজন পরিকল্পিত শাউট করলেই যে কেউ তার পদথেকে পদচ্যুত হতে পারেন। সেন্ট্রাল থেকে শুরু করে এই ধরনের ঘটনা ইউনিট পর্যন্ত ঘটতে থাকবে।

২. যোগ্য ব্যক্তিরা সম্মান হারানোর ভয়ে সংগঠনে নিস্ক্রীয় হয়ে যাবেন।

৩. গ্রাম্য পলিটিক্সের মতো নেতৃত্ব কতিপয় অযোগ্য কালপ্রিট দ্বারা পরিচালিত হবে।

৪. যারা মজলিশে শুরায় আছেন তারাই অাজীবন থেকে যাবেন।

৫. নতুন ডাইনামিক, ক্রিয়েটিভ লিডার শিপ তৈরী হবেনা।

৫. গুণীর কদর না করার কারনে এই সংগঠনে গুণী ব্যক্তি জম্ম নেবেনা।

বিঃদ্রঃ রিপোর্টটি তৈরীর করার সময় ইসলামিক ফোরাম অব ইউরোপের অনেক মেম্বারের সাথে কথা বলা হয়েছে। তবে বিষয়টি অতীব স্পর্শকাতর হওয়ায় এবং নিরাপত্তাজনিত কারণে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক শর্তে তথ্য দিয়ে সহযোগিতা করেছেন।ইসলাম, ইসলামী আন্দোলন উপকৃত হবে বলে আমরা মনে করি।ভবিষ্যতে ইসলামী সংগঠনের মধ্যে এই ধরণের অপকর্ম বন্ধ হবে এই অাশাবাদ ব্যক্ত করছি।

সুত্র: হৃদয়ে বাংলদেশ।

About Islam Tajul

mm

এটাও পড়তে পারেন

কওমি মাদরাসা কল্যাণ ট্রাস্ট, বাংলাদেশ

খতিব তাজুল ইসলাম ট্রাস্টের প্রয়োজনীয়তাঃ কওমি অংগন একটি স্বীকৃত ও তৃণমূল প্লাটফর্ম। দেশ ও জাতির ...