ইলিয়াস মশহুদ :: হেফাজতে ইসণাম বাংলাদেশের মহাসচিব, চট্টগ্রাম হাটহাজারী মাদরাসার মুহাদ্দিস আল্লামা জুনায়েদ বাবুনগরী বলেছেন, মানবরচিত মতবাদ দিয়ে বিশ্বে শান্তি ও মানবাধিকার প্রতিষ্ঠা অসম্ভব। এটা আজ পরিক্ষিত সত্য। তাই আজ বিশ্বব্যাপী মানবতার মুক্তি ও মানুষের ইহকালীন শান্তি ও পরকালীন মুক্তি নিশ্চিত করার জন্য আল কুরআনের শাসন প্রতিষ্ঠার বিকল্প নেই।
তিনি গতকাল (২৩ ডিসেম্বর) সিলেটের ঐতিহ্যবাহী দ্বীনী বিদ্যাপিঠ জামেয়া তাওয়াক্কুলিয়া রেঙ্গার বার্ষিক জলসায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে উপরোক্ত কথা বলেন।
জামেয়ার সিনিয়র মুহাদ্দিস হযরত মাওলানা নযির আহমদ সাহেবের সভাপতিত্বে এবং জামেয়ার মুহতামিম, সাহেবজাদায়ে হযরত শায়খে রেঙ্গা রাহ. মাওলানা মুহিউল ইসলাম বুরহান সাহেবের উদ্ভোধনী বক্তপরদিন ফজর পর্যন্ত ওয়া জলসায় বিশেষ অথিতি হিসেবে বয়ান পেশ করেন আর্ন্তজাতিক খ্যাতিসম্পন্ন মুফাসসিরে কুরআন, ঢাকা যাত্রাবাড়ী মাদরাসার শায়খুল হাদীস আল্লামা মাহমুদুল হাসান। শায়খুল হাদিস আল্লামা শিহাব উদ্দীন, শায়খুল হাদিস আল্লামা তাফাজ্জুল হক হবিগঞ্জী, আল্লামা আহমদ সাইদ সাহেব ভারত, আল্লামা নুরুল ইসলাম খাঁন সাহেব সুনামগঞ্জী, আল্লামা মুখলিছুর রহমান কিয়ামপুরী, আল্লামা আব্দুশ শহীদ গলমুকাপনী, শায়খ মাওলানা আব্দুস সালাম বাঘরখলী, মুফতী মজির উদ্দীন ক্বাসিমী, মাওলানা শাহ নজরুল ইসলাম, মাওলানা শাহীনূর পাশা চৌধুরী এডভোকেট , মাওলানা ফজলুর রহমান মাধবপুরী, মাওলানা নাজমুল ইসলাম গোয়াশপুরী, মুশাহীদ ক্বাসিমী ও হাফিজ মাওলানা আহমদ কবির খলীল প্রমুখ।
বিশেষ অথিতির বয়ানে ঢাকা যাত্রাবাড়ী মাদরাসার শায়খুল হাদীস আল্লামা মাহমুদুল হাসান বলেন, সব ধরনের জ্ঞান-বিজ্ঞানের উৎস মহাগ্রন্থ আল কুরআন। এর অধ্যয়ন, অনুধাবন ও অনুসরণের মধ্যেই নিহিত রয়েছে মানুষের কল্যাণ। পবিত্র কুরআনে মানুষের জীবন চলার পথের দিশা দেয়া হয়েছে।
তিনি আরো বলেন, মানুষের ব্যক্তি, পারিবারিক, সামাজিক এবং রাষ্ট্রীয় জীবন কেমন হবে; তার আলোকপাত রয়েছে কুরআনুল কারিমে। ইহলৌকিক ও পারলৌকিক উভয় জীবনের কল্যাণের পথ বাতলে দিয়েছে মহাগ্রন্থ আল কুরআন। তাই কুরআনকে বেশি বেশি করে পাঠ করতে হবে, বুঝতে হবে, হৃদয়ঙ্গম করতে হবে, আত্মস্থ করতে হবে। কুরআনের নির্দেশনা অনুযায়ী নিজেকে গড়তে হবে। তাহলেই আমরা ইহ-পরকালে সফল হতে পারবো।
শায়খুল হাদিস আল্লামা তাফাজ্জুল হক হবিগঞ্জী তার বয়ানে বলেন, একমাত্র কুরআনের আইন প্রতিষ্ঠার মাধ্যমেই পৃ
থিবীর বুকে শান্তি প্রতিষ্ঠা সম্ভব। কোন মানব রচিত আইনের দ্বারা নয়।
বৃহস্পতিবার ফজরের নামাযের পর জামেয়ার শায়খুল হাদীস হযরত মাওলানা শিহাবুদ্দীন সাহেবের আখেরী মুনাজাতের মাধ্যমে জলসার সমাপ্তি ঘোষলা করা হয়।
সিলেটের শীর্ষ ইসলামী এই প্রতিষ্ঠানটির জলসায় হাজার হাজার ধর্মপ্রাণ মুসল্লি ও জামেয়ার ফুযালায়ে কেরাম অংশগ্রহণ করেন।