খতিব তাজুল ইসলাম::
লন্ডন ৬ ডিসেম্বার ২০১৫: গতকাল রবিবার বিকালে আলহাজ্জ মাওলানা আতাউর রাহমান সাহেবের ঘরে স্বপরিবারে বেড়াতে গিয়েছিলাম। টেবিলের উপর রাখা বিশাল দুটি বইর দিকে আমার চোখ দুটো ঠেকে গেল। হাতে নিলাম একটু গুরুত্ব সহকারে। একে একে পাতা উল্টাতে লাগলাম। শুধু ভাল লাগেনি বুঝেছি ওখান থেকে আমাদের জানার কিছু আছে। আসলে বই নয় A5 সাইজের বাধাই করা ক্লাসওয়ার্ক গুলো বই আকারে বাইডিং করা হয়েছে। উপরে মলাটে আছে সাজিদা রাহমানের সিংগল ছবি। এরকম বিশাল ক্লাসওয়ার্ক রেকর্ডেড খাতা আমাদের ঘরেও এসেছে তবে এ্গুলো একটু প্রফেশনাল মনে হলো। পরে শুনলাম এই স্কুলটি নাকি খুব কড়া। আইন কানুন মজবুত। লেখাপড়া মানসম্মত। একটু এদিক সেদিক হলে জবাব দিতে দিতে অভিভাবক হয়রান।
যে স্কুল যত ভাল উন্নত তাদের আইন কানুন শিক্ষাপদ্ধতিও তত উন্নতমানের। সাজিদা রাহমান ক্লাস ওয়ানের ছাত্রী। খুটিয়ে খুটিয়ে দেখলাম প্রতিদিনের প্রাক্টিকেল কাজ গুলো বিশাল এই খাতায় সাজিয়ে রাখা হয়েছে। ছবি অংকন ফল ফুল গাছ প্রজাপতি সহ সুর্য সহ বিভিন্ন জিনিস পত্রের বাস্তব চিত্র আঁকা । আছে অংক বিজ্ঞানের লেসন। পরিবেশ সমাজের জন্য পাঠ। এই বিশাল বইটা জানান দিচ্ছে সে কি কি শিখেছে এই ছোট্ট বয়সে। তাই শিক্ষকের যেমন ফাঁকি দেবার সুযোগ নেই তেমনি ছাত্রেরও। প্রতিটি শিশুর এভাবে রেকর্ড আছে। তাই আমাদের দেশে পড়ানো হয় ঠিকই কিন্তু উপভোগ্য উপায়ে বিনোদনের মাধ্যমে পাঠদান খুব কমই হয়। অতএব আমাদের যারা কিন্ডারগার্টেন বা মক্তব পরিচালনা করেন তাদের জন্য এই বইয়ের কিছু নমুনা ছবি পেশ করলাম যাতে অনুসরণ অনুকরণ করতে আমাদের আগ্রহ জাগে। বাড়িয়ে নয় সত্যি কথা হলো এদেশের প্রথম শ্রেণীর শিক্ষার্থীরা যা জানে আমাদের ৫ম শ্রেণীর শিক্ষার্থীরা ততটুকু জানে কিনা সন্দেহ আছে। শুধু মুখস্থ বা পুঁথিবিদ্যা নয় শিশুদের মন ও মনন অনুযায়ী আমাদের শিক্ষা ব্যবস্থাকে সাজাতে হবে।