আন্তর্জাতিক ডেস্ক :: রাশিয়া এবং তুরস্কের মাঝে বেশ রেশারেশি চলছে। উত্তপ্ত বাক্য বিনিময় ঘটেছে দুই দেশের প্রধানের মাঝে। যদিও এমন ঘটনা ঘটেনি যে তারা যুদ্ধে অবতীর্ণ হবে। তবে ইন্টারনেটে কোন দেশের মিলিটারি শক্তি কতটুকু তা নিয়ে চলছে গবেষণা।
রাশিয়ার বিমান তুরস্ক গুলি করে ভূপাতিত করেছে। রাশিয়ার এমন অভিযোগের প্রেক্ষিতে দুই দেশের সম্পর্কের অবনতি ঘটেছে। যদি ঝামেলা লেগেই যায়, তবে শক্তির দৌড়ে কে কতটুকু এগিয়ে?
সম্মুখ যুদ্ধ সম্ভব নয়। তবে গ্লোবাল ফায়ারপাওয়ার ইনডেক্সে যে তথ্য দেওয়া হয়েছে, তাতে দুই দেশের সেনা ও অস্ত্রের শক্তি সম্পর্কে ধারণা পেতে পারে মানুষ। এই ইনডেক্সে শীর্ষে অবস্থান করছে আমেরিকা। দ্বিতীয় অবস্থানে আছে রাশিয়া। তবে তুরস্ক খুব পিছিয়ে নেই। তারা আছে দশম স্থানে। রাশিয়ান সংবাদ সংস্থা স্পুটনিক দুই দেশের তুলনামূলক হিসাব তুলে ধরেছে এক প্রতিবেদনে।
দুই দেশের যুদ্ধ লাগলে রাশিয়ার ৬৯ মিলিয়ন বনাম তুরস্কের ৪১ মিলিয়ন মানুষের যুদ্ধ হবে। রাশিয়ার সৈন্য সংখ্যা ৭ লাখ ৬৬ হাজার। অন্যদিকে তুরস্কের ৪ লাখ ১০ হাজার। রাশিয়ায় ট্রুপস আছে ২০ লাখ ৫০ হাজার। আর তুরস্কে এর সংখ্যা ১ লাখ ৮৬ হাজার।
যুদ্ধক্ষেত্রে রাশিয়া পাঠাতে পারবে ১৫ হাজার ৩৯৮টি ট্যাঙ্ক। তুরস্কের আছে ৩ হাজার ৭৭৮টি। পারসোনেল ক্যারিয়ার রাশিয়ার ৩১ হাজার ২৯৮টি। আর তুরস্কের আছে ৭ হাজার ৫৫০টি।
এসব পার্থক্য যুদ্ধাস্ত্রের ক্ষেত্রেও প্রযোজ্য। হেভি ডিউটি যুদ্ধাস্ত্র রাশিয়ার আছে ৫ হাজার ৯৭২টি। আর তুরস্কের আছে ২ হাজার ১ হাজার ১৩টি। মাল্টিপল রকেট লাঞ্চার সিস্টেম রাশিয়ার আছে ২ হাজার ৭৯৩টি, আর তুরস্কের আছে মাত্র ৮১১টি।
নাভাল অ্যাটাক অতি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। রাশিয়ার আছে ৩ হাজার ৪২৯টি যুদ্ধবিমান। আর তুরস্কের আছে ১ হাজার ২০টি। নাভাল শিপের ক্ষেত্রে রাশিয়ার আছে ৩৫২টি। আর তুরস্কের আছে ১১৫টি।
লজিস্টিক দিক থেকে দারুণ এগিয়ে রাশিয়া। জ্বালানি তেলের ক্ষেত্রে রাশিয়া উৎপাদক আর তুরস্ক আমদানিকারক। মিলিটারিতে রাশিয়ার বাজেট ৬০.৪ বিলিয়ন ডলার। আর তুরস্কের বাজেট ১৮.২ বিলিয়ন ডলার। সুতরাং, সাধারণ হিসেবেই দেখা যাচ্ছে রাশিয়া জয়ী হওয়ার সম্ভাবনা বেশি।
ইন্টারনেটে এসব সাধারণ হিসাব নিয়ে দুই দেশের শক্তি পরিমাপের চেষ্টা করা হচ্ছে। এ ছাড়া অনেকে জটিল হিসাব-নিকাশ চালিয়ে যাচ্ছেন।
সূত্র : অনলাইন