সোমবার ‘১১তম সরকারি ডিসকাশন ফোরাম ফর ইলেকট্রনিক আইডেন্টিটি ২০১৫’ আয়োজন সম্পর্কে জাতীয় প্লেসক্লাবে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এ কথা জানান তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক। তিনি বলেন, ‘স্মার্ট ন্যাশনাল আইডি কার্ড প্রকল্প চালু হলে ফেসবুকের কাছে ই-মেইল আইডির সঙ্গে ন্যাশনাল আইডি কার্ড ভেরিফিকেশনের জন্য নতুন অপশন যোগ করতে আমরা ফেসবুক কতৃপক্ষের কাছে চিঠি লিখব। স্মার্টকার্ডে ইলেকট্রনিক চিপ থাকবে। ম্যানুয়াল কার্ড এন্ট্রিগুলো বাদ দিয়ে সব জায়গায় ডিজিটাল কার্ডের ব্যবহার হবে। এক কার্ডে কীভাবে সব সুযোগ- সুবিধা প্রদান করা যায়, তা নিয়ে আলোচনার লক্ষ্যে এবারের ফোরামের আয়োজন করা হয়েছে।’ ফেসবুকের ভুয়া অ্যাকাউন্ট ঠেকানো গেলে দেশের সার্বিক নিরাপত্তা ব্যবস্থা কার্যকরী হবে বলে উল্লেখ করেন পলক।
সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, প্রথম পর্যায়ে ৯ কোটি ৬২ লাখ লোককে স্মার্টকার্ড তুলে দেয়ার কাজ এখন শেষ পর্যায়ে রয়েছে। তবে কবে নাগাদ সাধারণ মানুষের হাতে স্মার্টকার্ড পৌঁছুবে- এ ব্যাপারে পরিষ্কার করে কিছু জানাননি আইসিটি প্রতিমন্ত্রী।
১ ও ২ ডিসেম্বর রাজধানীর সোনারগাঁও হোটেলে ১১তম সরকারি ডিসকাশন ফোরাম ফর ইলেকট্রনিক আইডেন্টিটি ২০১৫ অনুষ্ঠিত হবে। দুইদিন ব্যাপী এ ফোরামে ১৫০ জন বিদেশি বিশেষজ্ঞ উপস্থিত থাকবে। ২৬টি বিদেশি ও ২টি দেশি প্রতিষ্ঠান ফোরামে অংশগ্রহণ করবে।
প্রসঙ্গত, নিরাপত্তার স্বার্থে গত ১৮ নভেম্বর থেকে ফেসবুকসহ কয়েকটি সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যম বন্ধ রয়েছে। যদিও নানা বিকল্প উপায়ে বেশিরভাগ মানুষ ইন্টারনেটে সামাজিক যোগাযোগের সবচেয়ে জনপ্রিয় এসব মাধ্যম ব্যবহার করছেন।