রশীদ আহমদ, নিউইয়র্ক প্রতিনিধি :: নিউইয়র্কে বন্ধুর জানাজার নামাজে যোগ দিতে এসে প্রবাসী বাংলাদেশী কমিউনিটির তোপের মুখে পড়েন তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সাবেক প্রধান উপদেষ্টা ড. ফখরুদ্দিন আহম্মেদ। গতকাল ১৪ই নভেম্বর শুক্রবার নিউ ইয়র্কের জ্যামাইকা মুসলিম সেন্টারে জুম্মার নামাজ শেষে বন্ধু আবদুল মুনিম চৌধুরীর জানাজার নামাজ পূর্বে বক্তব্য দানকালে এ ঘটনা ঘটে। ড. ফখরুদ্দিন আহম্মেদ তাঁর বন্ধু আবদুল মুনিম চৌধুরীর জানাজায় যোগ দিতে একাই আসেন ঐ মসজিদে। পরে জুম্মার প্রথম জামাত শেষে মসজিদ কমিটির এক কর্মকর্তা ঘোষনা দেন এখন আপনাদের সামনে বক্তব্য রাখবেন তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সাবেক প্রধান উপদেষ্টা ও আবদুল মুনিম খানের বন্ধু ড. ফখরুদ্দিন আহম্মেদ। ঘোষণার সাথে সাথেই মসজিদ জুড়ে কানাঘোষা শুরু হয়। এসময় তরিঘরি করে বক্তব্য শেষ করেন তিনি। ড. ফখরুদ্দিন তাঁর বক্তব্যে তাঁর নিজের জন্য ও বন্ধুর জন্য দোয়া কামনা করেন। পরে মসজিদ কমিটির হস্তক্ষেপে পরিস্থিতি শান্ত হয়। জানাজার নামাজ শেষে মসজিদ থেকে বের হতেই শুরু হয় গালাগালি। তেড়ে আসেন কয়েকজন বাংলাদেশী মুসল্লি। তারা বিভিন্ন কটাক্ষমূলক গালিগালাজ করে বলতে থাকেন ঐ লোকটিই বাংলাদেশকে ৫০০ বছর পিছিয়ে দিয়েছে,সে-ই দেশের বারোটা বাজিয়েছে। তাঁর দোয়া চাওয়ার কোনো অধিকার নেই। তারা অভিযোগ করে বলেন, বন্ধুর জানাযার নামাজের নামে ফখরুদ্দিন বর্তমান সরকারের কোন এজেন্টা বাস্তবায়ন নিউইয়র্কে আসছেন।
উল্লেখ্য ২০০৯ সাল থেকে ড. ফখরুদ্দিন আহম্মেদ যুক্তরাষ্ট্রের ম্যারিল্যান্ড অঙ্গ রাজ্যে বসবাস করলেও এই প্রথম বাংলাদেশীদের সন্মুখে আসলেন। বিশেষ কওে প্রথমবারের মতো নিউ ইয়র্কে এই প্রথম তাকে দেখা গেল। মসজিদ থেকে বেড়িয়ে যাওয়ার সময় এক সাংবাদিক প্রশ্ন করেন। স্যার দেশ কেমন আছে? জবাব না দিয়েই দ্রুত মসজিদ এলাকা ত্যাগ করেন।