বাংলাদেশ কি উলঙ্গ হতে চলেছে ? আমাদের তরুণ-তরুণীদের স্বপ্ন কি? তাদের কাঙ্খিত লক্ষ্য কোনটি? পরিবর্তনের কারিগর যুবক-যুবতীদের গন্তব্য কোথায়? কি হতে চায় তারা? ইতোমধ্যে ঘোষণা হয়ে গেছে হিজাবহীন, বোরকাহীন মেয়ে আর পাঞ্জাবিহীন ছেলেরা (ভার্সিটিতে) ভর্তির সুযোগ পাবে। (দাড়ি, টূপি, পাগড়ীর কথা কোনও উপঘোষণায় নেই কে জানে?) ধার্মিক এই দেশে ধর্মহীন আইনের কথা আপনি মেনে নিলেন? আপনি কি মুসলমান? মুসলিম তরুণ! একটু শোনো!!
মুসলিম উম্মাহর যুবক-তরুণ সম্প্রদায়কে আজ বিভিন্ন চক্রান্তের মাধ্যমে ঘুম পাড়ানো হচ্ছে। যুবসমাজকে লক্ষ্য করে বিভিন্ন কোম্পানী তাদের নীতি-নৈতিকতা বিবর্জিত চরিত্র বিধ্বংসী নানাবিধ কর্মসূচি বাস্তবায়ন করছে। কর্পোরেট মিডিয়ার সহযোগিতায় তারা মুসলিম তরুণ-তরুণীর মধ্যকার হিযাব এবং পর্দাকে উঠিয়ে দেয়ার জন্য অঘোষিত সংগ্রাম শুরু করেছে। বিবি আছিয়ার উত্তরসূরী বোন আর মুসা বিন নূসাইরের অনুসারী ভাইয়েরা প্লিজ জাগবেন কি?
তারা এমন একটি নতুন ওয়ে চালু করেছে, যার মাধ্যমে বর্তমানে এক বোতল কোমল পানীয় থেকে শুরু করে বিস্কুট, চকোলেটের বিজ্ঞাপনেও তরুণ-তরুণীদের আবেদনময়ী পিকচার আবশ্যক করে দিয়েছে। ভাবখানা এমন যে, পণ্য যাই হোক না কেন, তাদের বিজ্ঞাপনে মুসলিম তরুণ-তরুণীরা একসাথে ঢলাঢলি করতেই হবে। অন্যতায় সেই পণ্য মানসম্মত হবে না এবং বিক্রিও করা যাবে না। এভাবে তারা এই উম্মাহর শ্রেষ্ঠ সম্পদ তরুণ-যুবকদেরকে ব্যস্ত করে দিয়েছে ইন্দ্রীয় পূজায়। এরপর তাদেরকে ঘোষণা দিয়ে আহবান করছে, ‘বন্ধু, আড্ডা, গান= এখানে হারিয়ে যাও।’’ অর্থাৎ বন্ধু, হে মুসলিম তরুণ! আড্ডা আর গান নিয়ে তোমরা হারিয়ে যাও।
দেশ, জাতি ও মুসলিম উম্মাহ নিয়ে তোমাদের ভাবার কোন দরকার নেই। কেউ স্বপ্ন দেখে ভালো গায়ক হবার। গান গেয়ে দর্শক নন্দিত ক্লোজআপ ওয়ানে সেরা হওয়ার। কেউ আবার স্বপ্ন দেখে নায়ক হওয়ার। কেউ হতে চায় লাক্স চ্যানেল আই সুন্দরী প্রতিযোগিতার স্টার। সিনেমা হলে তাদের ছায়াছবি চলবে, দর্শক তাকে দেখলে ভীড় করে অটোগ্রাফ চাইবে। ক্যামেরার ঝলক সূর্যের আলোকে ম্লান করবে ইত্যাদি। আর ইদানীং বাংলাদেশের ক্ষমতাসীনরা স্বপ্ন দেখছেন মুমিন-মুসলমানের এই দেশকে উলঙ্গ করার। আচ্ছা, এতো কিছু করেও কি কেউ আজরাইলের হাত থেকে রেহাই পাবেন? কবর দেশের টিকেট বাতিল করতে পারবেন? সত্যিই কি বাংলাদেশ উলঙ্গ হতে চলেছে?
বছরখানেক আগে লেখা একটি কলামের অংশবিশেষ। ঠিক ঐ পথেই হাটছে বাংলাদেশ- একটি বিশেষমহলের রোডম্যাপে। ঐ যে, ধর্মীয় পোষাকহীন সর্বোচ্চ শিক্ষা প্রতিষ্ঠান হবে অথবা শিক্ষার্থীদের দাড়ি, টুপি, ও ধর্মীয় পোষাকহীন সমাজেরে দাবী- ঘোষণা- কিংবা আইনের দোহাই।
লেখক : প্রাবন্ধিক, অনলাইন এক্টিভিস্ট