ইসলাম ডেস্ক: আমাদের সমাজে অনেকে ব্যক্তিকেই দেখা যায় বিয়ের বয়স পেরিয়ে যাচ্ছে কিন্তু লোকটি বেকার। অর্থ্যাৎ তার আয় করার কোন রাস্তা নেই। এই রূপ ব্যক্তিরা কি বিয়ে করতে পারবে? আবদুল্লাহ ইবনু মাসুদ (রা.) থেকে বর্ণিত রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, ‘হে যুবসমাজ! তোমাদের মধ্য যারা বিয়ের সামর্থ্য রাখে, তাদের বিয়ে করা কর্তব্য। কেননা বিয়ে দৃষ্টি নিয়ন্ত্রণকারী এবং গোপনাঙ্গের পবিত্রতা রক্ষাকারী। আর যাদের সামথ্য নেই সে যেন সিয়াম পালন করে। কেননা সিয়াম হচ্ছে যৌবনকে দমন করার মাধ্যম।
মানুষ বিয়ের মাধ্যমেই তার চরিত্র ও সতীত্বকে রক্ষা করতে পারে। ইসলামে নারী-পুরুষের মধ্যে সম্পর্ক স্থাপনের জন্য বিয়েই হচ্ছে একমাত্র বৈধ উপায়। পোষাক যেমন মানুষের দেহকে ঢেকে রাখে, নগ্ন ও কুশ্রী বিষয়গুলো প্রকাশ হতে দেয় না, বিবাহ তেমনি স্বামী-স্ত্রীর দোষ ক্রটি ও যৌন উত্তেজনা ঢেকে রাখে, প্রকাশ হতে দেয় না।
কোরআনের বানী “আপনার পূর্বে আমি অনেক রাসুল প্রেরণ করেছি এবং তাদের জন্য স্ত্রী ও সন্তানের ব্যবস্থা করে দিয়েছি।” (রা’দ-৩৮) “আর তোমরা তোমাদের সন্তানদের বিয়ে দাও যাদের স্বামী বা স্ত্রী নেই। আর তোমাদের বিয়ের যোগ্য দাস-দাসীদের বিয়ে দাও।’ (নূর-৩২)
আবদুল্লাহ ইবনু মাসুদ [রা.] থেকে বর্ণিত রাসুলুল্লাহ [সা.] বলেছেন, ‘ হে যুবসমাজ! তোমাদের মধ্য যারা বিয়ের সামর্থ্য রাখে, তাদের বিয়ে করা কর্তব্য। কেননা বিয়ে দৃষ্টি নিয়ন্ত্রণকারী, গোপনাঙ্গের পবিত্রতা রক্ষাকারী। আর যাদের সামর্থ্য নেই সে যেন সিয়াম পালন করে। কেননা সিয়াম হচ্ছে যৌবনকে দমন করার মাধ্যম।[বুখারী, মুসলিম, মিশতাক হা/৩০৮০ নিকাহ অধ্যায়।] উপরোক্ত কোরআন ও হাদীসের আলোচনা থেকে এটাই প্রতিয়মান হয় যে, সামর্থ্য না থাকরে কখনোই বিয়ে করা যাবে না। যাদের সামর্থ্য নেই তাদেরকে মহানবী (সা.) সিয়াম পালনের জন্য বলেছেন।
অনলাইন সৌজন্যে