নূর উদ্দিন মুহাম্মদ ইয়াহইয়া ::
অনেকদিন আগে কোনো এক সাময়িকীতে জাগ্রতকবি মুহিব খানের একটা সাক্ষাৎকার দেখেছিলাম। সেখানে কবি তার কুরআনের কাব্যানুবাদের কথা উল্লেখ করেছিলেন। কিন্তু সেটা প্রকাশ হয়েছে তা জানতাম না। তাই ঐদিন থেকেই সেটার অপেক্ষায় ছিলাম।
গতকালকে দারুল ইফতার বাংলা বইয়ের সেল্ফে কী জানি একটা বই খুজছিলাম। হঠাৎ একটা বইয়ে আমার চোখ আটকে যায়। বইটা টান দিয়ে হাতে নেই। দেখি- মনকাড়া প্রচছদে লিখা ‘আল কুরআনের কাব্যানুবাদ – প্রথম দশ পারা – মুহিববুর রহমান খান’। যেনো অনেকদিন থেকে হারিয়ে যাওয়া কোনো বস্তু আজ হাতে পেলাম। এক নাগাড়েই একপারার মতো পড়ে ফেললাম। পরে পোরো দশপারাই হাতিয়ে দেখলাম। আর মনে মনে বললাম কবিতো ঠিকই বলেছিলো-
“এ যুগের আমি কাজী নজরুল, ইকবাল মহাকবি
গালিব, হাফিজ-রুমি-খৈয়াম, সাদী-ফররুখ সবি”
তবে এক্ষেত্রে তিনি নজরুলকেও পেছনে ফেলে সামনে এগিয়ে চলছেন। নজরুলতো শুধু আমপারা কাব্যানুবাদ করেছিলেন।
কবি নিজেই বলেন- ” এক্ষেত্রে কুরআনের কাব্যানুবাদ একটি নতুন ও ব্যতিক্রমী সংযোজন। যা এ যাবত পৃথিবীর অন্য কোন ভাষায়, এমরকি বাংলাতে পূর্ণাঙ্গরূপে হয়েছি কিনা বিবেচ্য। আর হয়ে থাকলেও সেটা কুরআনের মৌলিক ভাব-ভাষা ও চরিত্র বিচারে যথাযথ এবং বিশুদ্ধরূপে হয়ছে কিনা লক্ষনীয়।”
তাই বলবো, ‘মহিব খান’ তুমি আমাদের গর্ব। তুমি আমাদের অহংকার। সত্যিই-
“এ যুগের তুমি কাজী নজরুল, ইকবাল মহাকবি
গালিব, হাফিজ-রুমি-খৈয়াম, সাদী-ফররুখ সবি”
[ সূরা ফাতিহার অনুবাদটুকু আপনাদের সামনে তুলে ধরলাম।]
আশ্রয় চাহি আল্লাহর, যেন শয়তান দূরে রয়;
শুরু করিলাম আল্লাহর নামে, দয়ালু-করুণাময়।
১। সকল তারীফ আল্লাহর, যিনি সারা জাহানের রব।
২। দয়ালু, মহানুভব।
৩। তিনি বিচার দিনের সব।
৪। মোরা তুমারই ইবাদত করি আর-
সাহায্য চাহি মোরা শুধুই তোমার।
৫। মোদেরে দেখাও সবল সঠিক পথ,
৬। যে পথ তাদের, যাদের উপরে ঢালিয়াছ নিয়ামত।
৭। তাহাদের পথে নয়, যাহাদের প্রতি হও তুমি রুষ্ট
এবং যাহারা দিকহারা পথ ভ্রষ্ট।
লেখক : অনলাইন এক্টিভিস্ট