মুসলমানের ঘরে জন্ম নিলে মানুষ মুসলমান হিসাবে গণ্য হয় ৷ কিন্তু তাকে যদি ইসলামের মৌলিক বিশ্বাস ও আদর্শের সাথে পরিচিত করা না হয়, তাহলে সে কি প্রকৃত মুসলমান হতে পারবে..??
যে দেশের পাঠ্যপুস্তকে ৫৭ থেকে ৮০ ভাগ লেখা বিধর্মীদের, সেদেশের ভবিষ্যৎ প্রজন্ম কি প্রকৃত মুসলমান থাকবে? আমাদের ৯২ ভাগ মানুষের সন্তানদের আত্মপরিচয় ভুলিয়ে দেয়া হচ্ছে ৷
বাংলাদেশ একটি মুসলিম দেশ। দেশটির রাষ্ট্রধর্ম ইসলাম। সে দেশে শিক্ষাব্যবস্থার ১ম শ্রেণী থেকে দ্বাদশ শ্রেণী পর্যন্ত পাঠ্যপুস্তকে বিধর্মী লোকদের লেখা গল্প-কবিতার পরিমাণ ৫৭ থেকে ৮০ ভাগ। এসব লেখার মাধ্যমে ১৫ কোটি মুসলমানের ছাত্রসমাজকে তাদের আত্মপরিচয় ও ধর্মীয় ভাবধারা ভুলিয়ে দেয়া হচ্ছে ৷
এসব লেখায় ‘‘নেমন্তন্ন, ভজন, বাবু, প্রসাদ, পূজা, পার্বণ, বৈষ্ণব, ভগবতী, শ্মশান’’ ইত্যাদির ন্যায় বহু বিশেষ অর্থ ও মর্মবোধক শব্দ ব্যবহার করে মুসলিম ছাত্রছাত্রীদের নিজ ধর্মবিশ্বাস দুর্বল করে ভিন্ন ধর্মের দিকে (নাউজুবিল্লাহ) ধাবিত করার সূক্ষ্ম প্রয়াস চালানো হচ্ছে। এ দেশের শিক্ষাক্ষেত্রে এটি এক গভীর চক্রান্ত ৷
পূর্বে আমাদের পাঠ্যবইয়ে হজরত মুহাম্মদ (সা. এর জীবনী , মহৎ ব্যক্তিদের জীবন থেকে নেয়া শিক্ষামূলক কাহিনী ছিল। বর্তমানে সেক্যুলার শিক্ষাব্যবস্থার নামে এসব বিষয় ঝেড়েমুছে সাফ করে ফেলা হয়েছে। এখন শিশুদের পড়ানো হয় অর্থহীন বাজে কিছু কথা, যার অর্থ শিশু তো বোঝেই না ৷ এমনকি শিক্ষকই এর অর্থ জানেন না ৷
আগডুম বাগডুম ঘোড়াডুম (!!)
হাট্টিমা টিম টিম, তারা মাঠে পাড়ে ডিম, তাদের খাড়া দুটি শিং, তারা মাঠে পাড়ে ডিম..(!!)
আশ্চর্য! কি এমন প্রাণী যার কিনা শিং রয়েছে আবার ডিমও পাড়ে…
একটি মুসলিম দেশের শিশু-কিশোরদের আল্লাহ, রাসূল (সা.), দ্বীন, ধর্ম, পবিত্রতা, নামাজ, বন্দেগী, সত্যবলা, সৎপথে চলা, মা-বাবার কথা শোনা, গুরুজনকে মান্য করা ইত্যাদি না শিখিয়ে এসব কী শোনানো হচ্ছে? পাশাপাশি ইসলাম ধর্ম সাম্প্রদায়িক বলে বাদ দিলেও ভিন্নধর্মের নাড়ি-নক্ষত্রও নানা কায়দায় শিখিয়ে দেয়া হচ্ছে ৷ এতে কি বর্তমান প্রজন্ম প্রকৃত মুসলমান হবে(!!) না জ্ঞান, চিন্তা, ধারণা, কল্পনায় অন্য ধর্মের প্রতি আগ্রহী হয়ে পড়বে, বিষয়টি যথেষ্ট উদ্বেগের…
লেখক : অনলাইন এক্টিভিস্ট