বদিউজ্জামান সাঈদ নুরসী
প্রথম বিশ্বযুদ্ধের সময় বদিউজ্জামান নুরসী The Six Steps শিরোনামে একটি প্রবন্ধ রচনা করেছিলেন। নুরসীর এই লেখায় তুর্কি সৈনিকদের মনোবল চাঙ্গা হয়। স্বীকৃতি স্বরূপ কামাল আতাতুর্ক তাঁকে আঙ্কারায় আমন্ত্রণ জানান ও কৃতজ্ঞতা জ্ঞাপন করেন। কিন্তু নুরসীর ধর্মীয় প্রভাবে নয়া তুর্কি প্রজাতন্ত্রে কামালবাদী সেক্যুলার আদর্শ বাধাপ্রাপ্ত হচ্ছিল। এ কারণে কামাল আতাতুর্ক সাঈদ নুরসীকে ধর্ম বিষয়ক মন্ত্রণালের দায়িত্ব পালনের প্রস্তাব দেন। যাতে করে সাঈদ নুরসীকে সরকারী নিয়ন্ত্রণে আনা যায়। কিন্তু আদর্শের প্রতি দৃঢ় ও প্রজ্ঞাবান নুরসী বিনীতভাবে এ প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করেন। মুসলিম জনগণের ধর্মীয় চেতনাকে জোর করে মুছে দিয়ে সেক্যুলারিজমকে চাপিয়ে দেয়ার বিরোধী ছিলেন সাঈদ নুরসী। মূলত তখন থেকেই কামাল আতাতুর্কের সাথে সাঈদ নুরসীর আদর্শিক সংঘাত শুরু হয়। সরকার সর্বক্ষেত্রে ইসলাম ও কোরআনকে নিষিদ্ধ করার প্রেক্ষিতে তিনি ঘোষণা করেন, “আমি পৃথিবীর কাছে প্রমাণ করবো কোরআন নিঃশেষ হয়ে যাবার মতো কিছু নয়। এটা হলো এক শাশ্বত জীবন ব্যবস্থা। এক অফুরন্ত আলোর উৎস”।
সাঈদ নুরসী আজ নেই কিন্তু আজ তুরস্কের ঘরে ঘরে আল কোরআনের আলোয় আলোকিত। সে আলোয় পোড়ে পোড়ে নিঃশেষ হচ্ছে সেক্যুলারিজম।