মেয়েরা দ্বীনী ইলিম শিখতে হলে মোটা অংকের পয়সা লাগে! আর ছেলেরা দ্বীনিজ্ঞান লাভ করতে চাইলে একদম ফ্রী! কোনো পয়সা লাগে না। উল্টো মাদরাসা তাদের খরপোশ বহন করে, ভরণ পোষণ করে থাকে। কোথাও কোথাও নির্দৃষ্ট হারে মাসিক ভাতাও দেওয়া হয় ছাত্রদেরকে।
প্রশ্ন জাগে, দ্বীনী শিক্ষায় এই বিভাজন কেনো? কেনো এই লিঙ্গবৈষম্য? অথচ বিবেকের দাবী ছিলো- মেয়েরা লেখাপড়া করবে একদম ফ্রী আর ছেলেরা পড়বে টাকা দিয়ে। তা না হলে অন্তত বরাবর হওয়া ছিলো উচিৎ! হয় উভয় লিঙ্গ টাকা দিয়ে পড়বে নতুবা উভয় দল ফ্রী লেখাপড়া করবে। কিন্তু সিংহভাগ মাদরাসার এই অসম বণ্টননীতি জাতিকে ধীরে ধীরে বেকায়দায় ফেলে দিচ্ছে। গরীবালয়ের অনেক মেয়েরা টাকার অভাবে মাদরাসায় পড়তে পারে না আবার অনেক ধনীর ছেলেরা মাদরাসায় ফ্রী লেখাপড়া করতে পারে! এব্যাপার আমার জানামতে কেউ কোনোদিন কোনো কথা বলেন নি। কোনো লেখকের কলমও এব্যাপারে কিছু লিখে নি। কোনো বক্তার বক্তব্যও শুনা যায় নি। প্রতিবাদীকন্ঠ স্তব্ধ ছিলো তখনো এবং এখনো।
বৃহত্তর সিলেটের বিবেকবান উলামায়ে কেরামের কাছে এই বৈষম্যের কারণ জানতে চায় ধর্মপ্রাণ ফ্যামেলী।
আমরা মনে করি নারীবাদী তথাকথিত বুদ্ধিজীবিদের কাছে এই অসম নীতির খবর যাওয়ার আগেই একটা যুগপথ সমাধান বের করা নিতান্তই প্রয়োজন।
দুই. মহিলা মাদরাসার হর্তাকর্তাগণ মেয়েদের কাছ থেকে গণহারে ১৫০০/ ২০০০/ ৩০০০ হাজার টাকা করে নেবেন আবার তাদেরকে গরীবের হক কুরবানীর চামড়ার টাকা দিয়ে আহার করাবেন, এই বৈধতা তাদেরকে কোন শরীয়ত দিলো সেটা আমাদের জানা নেই। দু,একজন গরীব মেয়ের দোহাই দিয়ে কুরবানীর চামড়া উঠাবেন আর শিক্ষকদেরকে ঈদের দিনে চাকর বাকরের ন্যায় বিভিন্ন বাসা বাড়ীতে পাঠিয়ে তাদের গায়রাতের উপর আঘাত হানবেন, এই অধিকার মহিলা মাদরাসার পরিচালকদের কে দিলো? আলেম সমাজ জানতে চান!
বিঃদ্রঃ কথাগুলো এখানে বলার ছিলো না, কিন্তু উপায়ান্তর না পেয়ে বলতে বাধ্য হলাম! আর আমরা যদি এমন বিষয়ে কথা না বলি বা না লেখি তাহলে বিষয়টা নিরবে নিভৃতে শুধু কাঁদবেই কাঁদবে! কাঁদতেই থাকবে!!
লেখক : মুহাদ্দিস ও কলামিস্ট