শনিবার, ২৭শে এপ্রিল, ২০২৪ ইং
কমাশিসা পরিবারবিজ্ঞাপন কর্নারযোগাযোগ । সময়ঃ বিকাল ৪:২২
Home / প্রতিদিন / বাংলাদেশের রাতের দ্রুবতারাটাও যদি হারিয়ে যায়!

বাংলাদেশের রাতের দ্রুবতারাটাও যদি হারিয়ে যায়!

Komashisha Maskur

মাশকুর চৌধুরী ::

চাঁদনী রাতের চাঁদের আলোয় কারুনের ধন চিক চিক করছে, বসে আছি স্রষ্টার তৈরী বালুর মেজেতে। দৃষ্টি আকাশের পানে,সেই চাঁদের পাশে,তারার মাঝে,যেখানে কেউ স্বপ্ন তৈরী করে,কেউ সুখের জাল বুনে,কেউবা দেখে তার কষ্টের ছায়াছবি।আমি এগুলোর একটাও দেখছিনা।

আমি তার দিকে থাকিয়ে ভাবছি,জন্ম নিয়েছি এমন এক দেশে যেখানে বাহ্যিকটা কষ্টে-কাথর বুঝা গেলেও গভীরটা খুব উজ্জল আনন্দে ভরা।চাঁদকে আমরা সুন্দর বলি ঠিক,কেন সুন্দর বলে জানি? তা কিন্তু কেউ বলতে পারবোনা।

সোভিয়েত ইউনিয়ন:

একটি কালো অধ্যায় আধুনিক পৃথিবীর জন্য।কমিউন্যিস্টের রচয়িতা ভ্লাদিমির ইলিচ লেলিনের জন্ম হয় ১৮৭০ সালের ১০ই এপ্রিলে পৃথিবীর ইতিহাসে সেও এক কালো অধ্যায়ের রচয়িতা।বলশেভিক ছিলো লেলিনের শক্তি,ওরা যে পথে যেত রক্তের স্রোত বহাতো সে পথে। তাদের স্লোগান ছিলো খুব সুন্দর,“কেউ খাবে আর কেউ খাবেনা,

তা হবেনা তা হবেনা”তাদের এই স্লোগানের নিচে আর্তনাদ করতো মুসলিমদের উন্মোক্ত চাল-চলন।বুক-ফাটা আর্তনাদ করতো মায়ের সাথে ছেলে,বোনের সাথে ভাইয়ের অবাধ যৌন মিলন।

অনেক গবেষক দেখেছি,এই কুলাংকার লেলিনকে নিয়ে মাত্রাতিরিক্ত অহংকার করতে।লেলিনের আদর্শ আমাদের বাংলাদেশে মিশেছে কিছু গাদ্দারদের জন্য।

লেলিন বলতো সবার সমান অধিকার,তাই যার জায়গা আছে তার জায়গা সরকারের সম্পদ, সরকারের কাছে দিয়ে দাও।যার সুন্দরী বোন আছে তাকে সরকারি পতিতালয়ে পাঠিয়ে দাও সেও সরকারের সম্পদ।এদেশে মাইকে আজান দেয়া চলবেনা।দাড়ি রাখলে শূল্ক দিতে হবে।নামাজ পড়া চলবেনা।

ফেরাউনও এতোবড় জ্ঞানের কাজ করে তাদের কাছে হার মেনেছে। ফেরাউন মানুষ তাকে খোদা বলার জন্য শিক্ষা ব্যবস্থা বন্ধ করে দিয়েছিল,তারপর ধীরে ধীরে মানুষ কে বুঝিয়ে নিয়েছে সে খোদা।কিন্তু লেলিন শিক্ষা ব্যবস্থাতে হাত না দিয়ে মানুষকে খুব দ্রুত তার দলে ভিড়িয়ে নিয়েছে।যা পৃবীর ইতিহাসে বিরল।সে তার শিক্ষা জীবনেই কলেজ থেকে বহিস্কৃত হয়ে জেল খেটেছিলো ।নির্বাসনে ছিল প্রায় ৩ বছর।তার ক্ষমতা চালানোর কৌশল ছিল ভিন্ন।

মাদ্রাসা,মুসলিম,জিহাদ,নামাজ এক কথায় সবকিছু বন্ধ করে দিয়েছিলো কিছু নামি আলেম/মুফতিদের টাকা দিয়ে গোলাম করে,যখন যা মনে হতো তাদের দিয়ে বলাতো।সাধারণরা বুঝতো তাই সত্য।

আজকে আমাদের দেশের ফরিদদের মতো লোকরাই তখন লেলিনের পাশে বসতো।

যখন লেলিনের কাজ শেষ হয়ে যেত তখন তাদেরকে যে কোন এক বাহানা করে ফাঁসি দিয়ে দিত।

শেষটা তাই হয় কিনা আমাদের বাংলাদেশের রাতের দ্রুবতারাটাও যদি হারিয়ে যায়? আর ভাবছিনা;কিছু ক্ষ্যন্ত দে ভাবুক মন,যারা শুধু কলমের খোচায় সুখ খুজে তাদের আর বাসিনা ভালো।ওরা যে শিক্ষিত সন্ত্রাস।

 

 লেখক : অনলাইন এক্টিভিটস

 

About Abul Kalam Azad

এটাও পড়তে পারেন

কওমি মাদরাসা কল্যাণ ট্রাস্ট, বাংলাদেশ

খতিব তাজুল ইসলাম ট্রাস্টের প্রয়োজনীয়তাঃ কওমি অংগন একটি স্বীকৃত ও তৃণমূল প্লাটফর্ম। দেশ ও জাতির ...