বৃহস্পতিবার, ২১শে নভেম্বর, ২০২৪ ইং
কমাশিসা পরিবারবিজ্ঞাপন কর্নারযোগাযোগ । সময়ঃ সন্ধ্যা ৭:০৫
Home / অনুসন্ধান / ভয়াবহ তথ্য ! ইসরাইলি গোয়েন্দা সংস্থা মোসাদের খপ্পরে বাংলাদেশ !!

ভয়াবহ তথ্য ! ইসরাইলি গোয়েন্দা সংস্থা মোসাদের খপ্পরে বাংলাদেশ !!

Komashisha Sadiবাংলাদেশ সহ মুসলিম বিশ্বের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রে লিপ্ত রয়েছে মুলত ইসরাইলি গোয়েন্দা সংস্থা মোসাদ। তাদের বিভিন্ন সংস্থা কর্তৃক প্রচারিত তথ্য অনুযায়ী কথা বলে বিভিন্ন মিডিয়া। এই বিষয়টি প্রকাশ্যে এনেছে বাংলাদেশ পুলিশ। ধন্যবাদ বাংলাদেশ পুলিশকে অন্তত সত্যটাকে প্রকাশ করার জন্য।

ঢাকা এবং রংপুরে দুই বিদেশি নাগরিক খুনের ঘটনায় আইএস-কে জড়িয়ে সংবাদ প্রচার করে আলোচিত হয়েছে বেসরকারি গোয়েন্দা সংস্থা Search for International Terrorist Entities (SITE) এবং এর সহযোগী প্রতিষ্ঠাতা রিটা কাৎজ।12144933_10207953976391557_4010717186103246205_n

বাংলাদেশ পুলিশের সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে রিটা কাৎজের পরিচয় প্রকাশ করা হয়েছে। বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, Homeland Security-এর সাবেক পরিচালক Josh Devon-এর সাথে কাজ করছেন রিটা কাৎজ। তিনি অতীতে প্রকাশ্যে কাজ করেছিলেন ইসরাইলী প্রতিরক্ষা বাহিনীতে এবং মার্কিন তদন্ত বা গোয়েন্দা সংস্থা-এফবিআই এর সাথে। অনর্গল আরবিভাষী রিটা ছদ্মবেশে থেকেছেন প্যালেস্টাইন রাষ্ট্রের আন্দোলনে; কাজ করেছেন ইসরাইলি গোয়েন্দা সংস্থা ‘মোসাদ’ এর সঙ্গে।

১৯৬৩ সালে ইরাকের বসরায় ইহুদি পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন। মোসাদের হয়ে গুপ্তচর বৃত্তির অভিযোগে ১৯৬৮ সালের দিকে সাদ্দাম সরকার প্রকাশ্যে ফাঁসিতে ঝোলায় রিটার পিতাকে। তিন শিশু বাচ্চা নিয়ে রিটার মা পালিয়ে যান ইরানে। সেখান থেকে ইসরাইলের ‘বাট ইয়াম’ শহর বসবাস শুরু করেন।

ইসরাইলে বড় হলেও আরবিটা শিখেছেন সেখানে। উদ্দেশ্য নিয়েই তাকে সেটা শেখানো হয়েছে। চাকরিও পেয়েছেন ইসরাইলী প্রতিরক্ষা বাহিনীতে। প্রতিরক্ষা বাহিনীর তত্ত্বাবধানেই তেল আবিব বিশ্ববিদ্যালয়ে নিয়েছেন রাজনীতি, ইতিহাস আর মধ্যপ্রাচ্য বিষয়ক শিক্ষা। ১৯৯৭ সালে ডাক্তার স্বামীর সাথে পাড়ি দিয়েছেন মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে। তবে জাল ভিসার কারণে তিনি যুক্তরাষ্ট্রে আটক হয়েছিলেন। ওই জালিয়াতির কথা তিনি স্বীকারও করেছেন।12096225_10207953977351581_1028005677630673640_n

১৯৯৭ সালেই মার্কিন মধ্যপ্রাচ্যে গবেষণা ইনস্টিটিউটে চাকরি পান রিটা। Holyland Foundation নামে একটি গ্রুপ হামাসের পক্ষে কাজ করছে এটা উদ্ঘাটন করেন রিটা। গোয়েন্দাগিরিতে কদর বেড়ে যায় তার। তখনই বোরকা, মুসলিম নারীর পরিচয়ে শব্দ রেকর্ডিং যন্ত্রসহ ছুটে বেড়ান ইসলামী সম্মেলনে, ফান্ড সংগ্রাহকদের সাথে। ঘুরেছেন মসজিদে, প্যালেস্টাইনি সমর্থকদের সাথে থেকেছেন আন্দোলনে।

সে সময় এফবিআই তাকে লুফে নেয় ইসলামসহ বিদেশি সন্ত্রাসী গ্রুপ নির্ধারণে গোয়েন্দাগিরির জন্য।

২০০২ সালে ইরাক আক্রমণের আগে যুক্তরাষ্ট্রে বসবাসরত মুসলমানদের ওপর কড়া নজরদারি করা হয়। সে সময় রিটা খুলে ফেলেন SITE সংস্থাটি। গোয়েন্দা তথ্য সংগ্রহ এবং অনলাইনে ফাঁস করাটাই তাদের বড় কাজ। আলকায়দা নেটওয়ার্ক, আইএসআইএস নেটওয়ার্ক, হামাস, ইসলামিক জিহাদ এবং হিজবুল্লাহ নিয়েই তার প্রতিষ্ঠান নিয়মিত প্রচারণা চালায়।

সুতরাং কোন ঘটনা ঘটলেই জংগী বলে চিৎকার করে উঠে যেসব মিডিয়া তারা আসলে কাদের দালাল তা নতুন করে বুঝিয়ে দেয়ার দরকার নাই। জংগী থাকলে তা বের করা হোক। সন্দেহের বশীভূত হয়ে গ্রেফতার করে ফটোসেশন করে বিশ্বের সামনে দেশের নেগেটিভ ব্রান্ডিং যারা করেন তারা দেশের কতবড় ক্ষতি করছেন তাকি জানেন?

(বাংলামেইল এর সহযোগিতায়)

About Islam Tajul

mm

এটাও পড়তে পারেন

কওমি মাদরাসা কল্যাণ ট্রাস্ট, বাংলাদেশ

খতিব তাজুল ইসলাম ট্রাস্টের প্রয়োজনীয়তাঃ কওমি অংগন একটি স্বীকৃত ও তৃণমূল প্লাটফর্ম। দেশ ও জাতির ...