আলেম উলামা ও ইসলামিক দলগুলোর নীরবতা বিপর্যয়কে তরান্বিত করবে !
সময় থাকতে জংগিবাদ জংলিবাদ সন্ত্রাসবাদ ও গুপ্তহত্যার বিরুদ্ধে সোচ্চার হওয়া ছাড়া উপায় নাই !
বিবিসি,আলজাজিরা নিউজ সহ যুক্তরাষ্ট্রের প্রভাবশালী পত্রিকা দ্য নিউ ইয়র্ক টাইমস লিখেছে, সাম্প্রতিক সময়ে জঙ্গি সহিংসতা নিয়ে উচ্চ সতর্কতা বিরাজ করছে বাংলাদেশে। জাপানীজ হত্যার দায় স্বীকার করেছে আই এস! তার মানে প্রমাণিত হয়ে যাচ্ছে বাংলাদেশে আই এস জঙ্গী রয়েছে! দেশটিতে রয়েছে স্পর্শকাতর আকাশপথ, স্থলপথ ও নৌপথ। এসব পথে সন্ত্রাসীরা এ দেশটিকে ট্রানজিট পয়েন্ট বানাতে পারে। এ দেশটি উদার ইসলামিক রীতি চর্চা করে! ক্ষমতাসীন দল আওয়ামী লীগ কঠোরভাবে ধর্মনিরপেক্ষ। টার্গেট করে হত্যার ঘটনা একটি ভয়াবহ রূপ নিয়েছে। ইতি মধ্যে ইতালিয়ান নাগরিক সহ হত্যা করা হয়েছে চার ব্লগারকে। ভারত উপমহাদেশে বেশকিছু হত্যার দায় স্বীকার করেছে আল কায়েদা/আই এস! বাংলাদেশে বিদেশি নাগরিকদের নিয়ে নতুন করে আশঙ্কা প্রকাশ করেছে সংশ্লিষ্ট দেশের সরকার। কিছু কথা না বললেই নয় , আমাদের মাননীয় প্রধানমন্ত্রী বিশ্বের দরবারে বাংলাদেশ কে একটি জঙ্গী দেশ হিসেবে পরিচয় করিয়ে দিতে কত প্রচেষ্টাই না করলেন। সফলও হয়ে গেলেন বটে। বহিঃবিশ্ব বাংলাদেশকে এখন থেকে জঙ্গী দেশ হিসেবেই জানবে। আর আই এস/তালেবান জঙ্গীর দোহাই দিয়ে বিশ্ব মুড়লরা হয়তো অচিরেই বাংলার সবুজ চত্ত্বরে ফেলবে অগনিত বোমা! আর মানুষের জীবন কেঁড়ে নেয়া মরনাস্ত্র। দেশটির ভাগ্য হয়তো আফগান,ইরাক,পাকিস্তান কিংবা ফিলিস্তিনীর দিকেই এগুচ্ছে ! কথা হলো- যারা দেশে জঙ্গী আছে বলে মুখে ফেনা তুলেন “তারা না হয় নিজের আখের গুছিয়ে চলে যাবেন আমেরিকা,লন্ডন, অষ্ট্রেলিয়া বা জার্মানের মত বিলাসবহুল কোন শহরে” কিন্তু.. বাংলাদেশের নিরিহ সাধারণ মানুষ গুলোর পরিণতি কি হবে ? পরিশেষে বলতে চাই এই দেশ আপনার,আমার সকলের। মিথ্যা বা সন্দেহমূলক কোন তত্ব, বক্তব্য উপস্থাপন করে দেশ ও জাতিকে অনিশ্চয়তার দিকে ঠেলে দিবেননা। আল্লাহ আমাদের সবাইকে দেশ প্রেমে উজ্জীবিত হয়ে এক সাথে কাজ করার তৌফিক দান করুন, আমীন।