ভারতের আসাম প্রদেশে মুসলিম নাগরিত্ব মামলায় মুসলমানদের পক্ষে রায় দিয়েছেন আদালত৷ ফলে ৪৮ লাখ মুসলমি নারীর নাগরিকত্ব নিয়ে যে ভয়ংকর আশঙ্কা তৈরী হয়েছিলে সেটি আর থাকলো না৷
আসাম নাগরিকত্ব মামলায় ২টি বিষয় আদালতে বিচারাধীন ছিলো৷ এক: আসাম সরকার বলে আসছিলো যে, নাগরিকত্বের জন্য পঞ্চায়েত সার্টিফিকেট যথেষ্ট নয়৷ আদালত এটাকে সম্পূর্ণভাবে প্রত্যাখান করেছেন৷
দ্বিতীয় বিষয় ছিলো, আসামের মুসলিমগণ ২য় স্তরের নাগরিক হিসেবে গণ হবে৷ এটাও আদালতে প্রত্যাখ্যাত হয়েছে৷ আদালত তার পর্যবেক্ষণে বলেছেন, ভারতে ‘২য় স্তরের নাগরিক’ বলতে কোনো পরিভাষা নেই৷
উল্লেখ্য, আসামে এক নতুন আইনে মুসলিম নাগরিকত্ব নিয়ে আশঙ্কা দেখা দিলে জমিয়তে উলামায়ে হিন্দ(এম) শুরুতেই আইনিভাবে লড়াই শুরু করে৷ পরবর্তীতে মাওলানা সাইয়্যিদ আরশাদ মাদান্র নেতৃত্বাধীন জমিয়তও আদালতে আপিল করে দুই জমিয়ত এক সঙ্গে কাজ করে৷
মামলা চলা কালেই দিল্লিতে মাওলানা সাইয়্যিদ আরশাদ মাদানির এক সেমিনারে আসামের মুসলিম নাগরিকদের নাগরিকত্ব বাতিল করার ষড়যন্ত্র করা হচ্ছে_এমন বক্তব্যে পুরো ভারতে তোলপাড় শুরু হয়ে যায়৷ এমনকি আসামসহ বিভিন্ন জায়াগায় আরশাদ মাদানির বিরুদ্ধে ‘এফআইআর’ও দাখেল হয়৷
মামলার রায়ে সন্তুষ্টি প্রকাশ করে মাওলানা সাইয়্যিদ আরশাদ মাদানি, জমিয়ত সেক্রেটারী জেনারেল মাওলানা সাইয়্যিদ মাহমুদ আসআদ মাদানি ও আসামের পার্লামেন্ট সদস্য মাওলানা বদরুদ্দীন আজমল বলেছেন, এ মামলার বিজয় ঐতিহাসিক৷ #আওয়ারইসলাম