শুক্রবার, ২২শে নভেম্বর, ২০২৪ ইং
কমাশিসা পরিবারবিজ্ঞাপন কর্নারযোগাযোগ । সময়ঃ রাত ১২:১৩
Home / সিলেবাস-সংস্কার / কমাশিসার ২১ দফা

কমাশিসার ২১ দফা

11953280_455649097951848_2982543278956905596_n

কমাশিসা ডেস্ক :

১. একক কওমি শিক্ষা বোর্ড বাস্তবায়ন করুন।

২. আধুনিক শিক্ষার সমন্বয় সাধিত সিলেবাস প্রণয়ন করুন।

৩. আধুনিক আরবি, বাংলা ও ইংরেজি শিক্ষার অধিক গুরুত্ব প্রদান করুন। ইসলামিয়াত, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি কোর্সকে দশমের পর আলাদা করতঃ বিষয়ভিত্তিক ক্লাস সেমিস্টার পদ্ধতিতে চালু করুন।

৪. মানসম্মত বেতন ভাতা বৃদ্ধি ও অবসরকালীন পেনশন স্কিম চালু করুন। প্রয়োজনে কওমি ইসলামি ব্যাংক প্রতিষ্ঠা করুন।

৫. শিক্ষক প্রশিক্ষণ শতভাগ চালুকরে নিয়োগ প্রদান করুন। অযাচিত কর্তৃপক্ষের হস্তক্ষেপ বন্ধ করুন।

৬. শিক্ষার্থীদের ইসলামি তাহযিব ও তামাদ্দুনে আগ্রহী করে গড়ে তুলুন।

৭. শিক্ষকদের মান সম্মান নষ্ট হয় এরকম আচরণ থেকে বিরত রাখুন। প্রয়োজনে স্টাফগণ নিজেদের মধ্যে মুহাসাবা ব্যবস্থা চালু করুন ।

৮. পাড়ায় পাড়ায় নয়; জেলা পর্যায়ে একটি মানসম্মত টাইটেল মাদরাসা গড়ে তুলুন। ইবতেদায়ী তথা আধুনিক ও মানসম্মত প্রাইমারি মক্তব গ্রামে গ্রামে প্রতিষ্ঠা করুন।

৯. প্রতিটি মাদরাসায় গবেষণা বিভাগ চালু ও ছাত্রদের তরবিয়তি প্রশিক্ষণ, সাহিত্য ও বক্তৃতা প্রতিযোগিতা, পুরস্কার ব্যবস্থাসহ উৎসাহ-উদ্দীপনা ব্যবস্থা চালু করুন।

১০. আসবিয়্যাতের ভিত্তিতে নয়; যোগ্যতার ভিত্তিতে মুহতামিম, নাজিম নিয়োগের ব্যবস্থা করুন। প্রয়োজনে ইন্টারভিউ ব্যবস্থা গ্রহণ করুন ।

১১. মুহতামিম, নাজিম তথা দায়িত্বপ্রাপ্ত শিক্ষকগণ দেশ-বিদেশে সফরের ব্যবস্থা করুন। দায়িত্ব যথাযথ আদায় হয় এরকম উস্তাদকেই নিয়োগ দিন এবং অতিরিক্ত দায়িত্বের জন্য যথাযথ মুল্যায়ন প্রদান করুন।

১২. মাদরাসা মাদরাসায় বন্ধুত্বের সেতু চালু করতঃ স্টাফ, ছাত্রগণ শিক্ষাসফর বাস্তবায়ন করুন।

১৩. শুধু চাঁদা, হাদিয়া, যাকাতের উপর নির্ভর না হয়ে নিজস্ব আয়ের ব্যবস্থা করুন।

১৪. মানসিক ও শারিরিক টর্চারমুক্ত, বন্ধুত্ব ও সৌহার্দপূর্ণ পাঠদান ব্যবস্থা গড়ে তুলুন।

১৫. অভিভাবক সচেতনতা তৈরী করতঃ ছাত্রদের জীবনকে আমানত মনে করে তাদের হক আদায়ে সচেষ্ট হোন।

১৬. বিভাগীয়ভাবে রিপোর্টিং পদ্ধতি চালু করুন। নোটের প্রতি অনুৎসাহী করতঃ শিক্ষকদারস্থ হয় এরকম নিয়ম চালু করুন।

১৭. দশমের পর অকৃতকার্য কোন ছাত্রকে উপরের শ্রেণিতে ভর্তি বন্ধ করুন।

১৮. শতভাগ ঞ.ঈ ব্যবস্থা চালু করুন। অনাবাসিক লেখাপড়ার প্রতি উৎসাহ প্রধান করুন।

১৯. প্রতিটি মাদরাসার স্তর বিন্নাস করতঃ যত্রতত্র ক্লাস খোলা বন্ধ করুন। শিক্ষাবোর্ডের জোনাল অফিস থেকে অনুমতি নিয়ে পরবর্তী ক্লাস চালু করুন।

২০. কর্মময় জীবনের জন্য শরীর চর্চা, কম্পিউটার বিভাগ চালু, মেয়েদের জন্য হস্থশিল্প, ও ছেলেদের জন্য নার্সারী/কারিগরি ব্যবস্থা বাস্তবায়ন করুন।

২১. দশম শ্রেণি পর্যন্ত মাদরাসা শিক্ষার পাশাপাশি জাতীয় শিক্ষাবোর্ডের অধীনে পরীক্ষা দেয়ার সুযোগ দিন। লেখাপড়ায় বিঘœ সৃষ্টি হয় এমন পরিবেশ পরিহার করুন।

About Abul Kalam Azad

এটাও পড়তে পারেন

আরজাবাদ মাদরাসার নয়া মুহতামিম মাও. বাহাউদ্দীন জাকারিয়া

রাজধানী ঢাকার মিরপুরে অবস্থিত দীনি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান জামিয়া হোসাইনিয়া ইসলামিয়া (আরজাবাদ মাদরাসা)’র নয়া মুহতামিম হিসেবে নিযুক্ত ...