খতিব তাজুল ইসলাম:
আসুন নিজের কদরটা আগে বুঝে নেই !
ক্ষমতায় গেলেই সবকিছু সম্ভব এমন ধারনা থেকেই আমাদের রাজনীতির ময়দানে ক্ষমতার লড়াই। কোথাও নেই আদর্শের প্রতিযোগিতা। বস্তুত ক্ষমতা পেলে অনেক কিছু সম্ভব হয়তো একথা বিশ্বাস করা যায়, কিন্তু সবকিছু করা কি সম্ভব? তাই কর্মপরিকল্পনাকে পুণর্মুল্যায়ন করুন। আদর্শ শুণ্যতার কারণেই আজ প্রতিটি সেক্টরে দেউলিয়াপনা। কওমিদের আর কিছু নাই থাকুক কিন্তু তারা একটি অমলিন আদর্শের পতাকাবাহী। তাই আদর্শিক দেউলিয়ারা আজ পাগল হয়ে গেছে। তারা বুঝতে পারছে যে তাদের মরণ ঘন্টা বাজতে আর দেরী নেই। কিন্তু আমরা কওমিরা তা অনুধাবন করতে কতটুকু সক্ষম হয়েছি? স্বীকৃতি সংস্কার নিয়ে এখনো যারা দ্বীধায় আছেন তাদের ভুল ভাংগা জরুরি। রাষ্ট্রীয় কর্মকান্ডে উলামারা জড়িত হোন তা কায়েমী স্বার্থবাদীরা চায়না। শয়তান ও তাগুত বেশি খুশি থাকে যখন উলামারা মসজিদ মাদরাসা ও খানকায় বন্দী থাকেন। অন্তর চক্ষু থাকলে ভাল করে বুঝতে পারছেন যে সামান্য স্বীকৃতিতে তাদের মগজে কি বিকৃতি শুরু হয়েছে! ইনশা আল্লাহ পুরোপুরি যখন সংস্কার স্বীকৃতি কার্যকর হবে তখন হকের সামনে বাতিল আর টিকে থাকতে পারবে না।
মুনাফিকের পরিচয় !
নির্বাচনী বৈতরণী পারহওয়ার জন্য আওয়ামীলীগ ৫৬০টি মসজিদ প্রকল্পের অনুমোদন ও কওমি সনদের স্বীকৃতি দিয়েছে?! অভিযোগ জামাত বিএনপির! সরকার নাকি ধর্মকে বর্ম হিসাবে ব্যবহার করছে?!
আচ্ছা যদি তারা দশ বিশটা মন্দির, গোটা পাঁচেক গীর্জা এবং ডজন খানিক মদের বারের অনুমোদন দিতো তখন নিশ্চয় জাবি বলতো যে, আওয়ামীগ সংখ্যাগরিষ্ঠ জনগণের বিশ্বাসের উপর আঘাত হেনেছে?! নাকি বলতো সাবাস! মোদী ইহুদী কা জয় ?! সাধে কি গাজী বোরহান উদ্দিন এই দুই শয়তানের ধংস কামনা করে প্রতিনিয়ত…!!!
ভাবুন !
আওয়ামীলীগকে হেদায়েতের পথে আনা যত সহজ তার চাইতে হাজারগুন বেশি কষ্টকর জাবিকে আনা। কারণ জাবি ইসলামের নামে কুকাজের এনন্টিবায়টিক খেতে খেতে গোটা অস্তিত্বের ভিতর এমন বাসা বেঁধেছে যা দমন করা মুশকিল। আর ইসলামহীন হৃদয়ে ইসলামের আলো জ্বালানো তেমন কঠিন নয় যা ইতোপুর্বে প্রমাণিত। মুনাফিক আর অবিশ্বাসী এই দুয়ের পার্থক্য বুঝতে পারলে আমার কথাগুলো সহজে বোধগম্য হবে। কওমি হজরাতদের বলবো ছাগলের তিন নম্বর বাচ্চার চিন্তা পরিহার করে নিজস্ব স্বকীয়তা নিয়ে এগিয়ে চলুন। কারো চুলকানি থাকলে একটু দূরে থাকিয়েন। অনর্থক লাইক কমেন্ট আর ভুয়া নাম ও যশের গালে একদলা থুথুই যথেষ্ট।
ধর্মের নামে বর্মের কাহিনী!
স্বীকৃতি কে দিলো বড়কথা নয়; বড়কথা হলো বন্চিতরা যেন তাদের পাওনা ফিরে পায়। আমাদের অধিকার নিয়ে যেন কেউ ছিলিমিনি না খেলে সেদিকে নজর রাখতে হবে।
কওমি সনদের পুর্ণ রাষ্ট্রীয় মর্যাদা লাভ না করা পর্যন্ত দাবী থেকে একচুলও নড়া যাবে না।
ধর্মের নামে বর্মের কাহিনী
কিম্বা ভোটের বৈতরণী
কিছুতেই কিছু হবে না।
যতক্ষণ না অবহেলিতরা তাদের অধিকার বুঝে পেয়েছে তথক্ষণ পর্যন্ত আমাদের আন্দোলন চলিয়ে যেতে হবে।
দোস্ত দুশমনির সীমারেখা !
কাউকে স্থায়ী দুশমন কিংবা দোস্ত ভাবা ঠিক নয়। সত্যের পথে যখন যারা অবিচল তাদের সাথে ও পক্ষে থাকা চাই। কারো ভাল কাজের তারিফ মন্দ কাজের জন্য তানযির পেশ করতে হবে। দুর্ভাগ্য হলেও সত্য যে আমরা বিবেকের এমন এক অন্ধ হয়েছি যে, মতের উল্টাদিকের ভাল কাজকেও খারাপ বলে অভিহিত করি। আর নিজেদের মতের লোকদের জঘন্য খারাপ কাজকেও অবলিলায় সাপোর্ট করে তার সাফাই গেয়ে যাই। কওমি সনদের স্বীকৃতির জন্য আওয়ামীলীগ ধন্যবাদ পাবার যোগ্য। এখানে পলিটিক্স যোগান দেয়ার কোন সুযোগ নেই।
কিন্তু ঘটলো উল্টোটা।
রাজনীতি খুঁজতে খুঁজতে মানবতা মানবিকতা আজ আমাদের কাছে পরাজিত। আমরা কি সেই দিনের জন্য অপেক্ষা করবো; যেদিন বিএনপি ক্ষমতায় এলে আওয়ামীলীগারদের ছেলেমেয়েদের স্কুল কলেজ ভার্সিটিতে পড়া লেখার সুযোগ থাকবে না। আর থাকলেও পাবে না সনদের বৈধতা?! ঠিক তার বিপরীত আওয়ামীলীগও যদি তাই করে তখন পরিস্থিতিটা কেমন দাঁড়াবে?! শিক্ষার অধিকার মানবতার সর্বোচ্চ স্থান। এখানে দলমত ও গোষ্ঠীর উর্ধ্বে উঠে কাজ করা। তাই সাময়িক উত্তেজনায় গা না ভাসিয়ে সুদূরে চোখ রাখুন। এটলিস্ট বুকটাকে ৭০ ইন্চি প্রশস্ত রাখুন তাতে ফল ভাল হবে। কেউ কাউকে বেহেস্তে পাঠাতে পারবে না যদি না থাকে খোদ নিজের কর্মের উপর আস্তা।
আল্লাহ তুমি খুশি থাকো
শয়তান তুমি রাগ করোনা!
বেগমের মুর্খতা
বিবির অতি অভিজ্ঞতা
দুটোই আমাদের জন্য কাল।
মংগল শুভাযাত্রা ১লা বৈশাখ আর উলুধ্বনি নিয়ে ভদ্রমহিলার অতিকথনে আমার মিশ্রপ্রতিক্রিয়া। কোনো সরকার প্রধানের জন্য সবকথায় সায় দেয়া বক্তব্য মন্তব্য দেয়া খুব বিপদজনক।
আগে যেভাবে স্বাধীনতা ও বিজয় দিবস একচেটিয়া হতো, আর আমরা বসে বসে আংগুল চুষতাম আর সমালোচনা করতাম। মাশাল্লাহ এখন ময়দান দখলে থাকার কারণে কুরআন তিলাওয়াত দিয়ে প্রগ্রাম শুরু হয়। ঠিক তেমনি যখন মঙ্গলের জাগায় কল্যাণী শুভাযাত্রা শুরু হবে তখন অপসংস্কৃতির অকল্যাণের যাত্রার বিলুপ্তি ঘটবে।
ওরা চায়- ‘খোদা বিহী রাজি রহে শয়তান বী নারাজ না হো।’
জানোয়ার বাদলও দেখলাম কিছু লুচ্চা লাচ্চাদের নিয়ে হাম্বা হাম্বা করছে পিএমের কাছে। ভাইসব ! ময়দান খালি থাকলে আগাছা জন্মাবে। তাই আগামি ১লা বৈশাখে অপসংস্কৃতির আগাছা সাফ করার জন্য বড় আকারের কল্যাণী যাত্রার জন্য তৈরী থাকুন। দেখবেন সকল পেঁচা বাদর আর হনুমান গুলো কিভাবে পলায়ন করে।