আনওয়ার আব্দুল্লাহ:
ডুবছে হাওড় কাঁদছে কৃষক। ভাঙ্গছে (দুর্নীতিবাজ লুটেরোদের তৈরি) বাঁধ, ডুকছে পানি, ভাসছে মানুষ। পুরো সিলেট বিভাগজুড়ে হাহাকার। ঘরে ঘরে কান্নার রোল।অসহায় কুষক-কৃষানীর আহাজারিতে ভারি হয়ে উঠছে আকাশ-বাতাস। তাদের দুচোখে হাওড়ের জল। এই নির্মমতা দেখা ছাড়া কিছু করার নেই তাদের।
দয়াময় তোমার দরবারে ফরিয়াদই তাদের শেষ ভরসা। হে আল্লাহ তুমি তোমার বান্দার রিজিক রক্ষা করো
হাওড়পাড়ে কৃষকের আহাজারীতে বুকফাটা কান্নায় ভারি হয়ে উঠেছে চারপাশ। একেকটা হাওড় ডুবছে, ডুবছে কৃষকের ঘাম ঝড়ানো স্বপ্ন, ডুবছে দু’বেলার মুখের অন্ন। সাধ্য মত বাঁধ ভাঙ্গন ঠেকানো চেষ্টা করেছে সবাই। কাজ হয়নি।চোখের সামনে সোনালী ফসল তলিয়ে যাবার এই কষ্ট কোন ভাষায় লিখে বুঝানো যাবে না। কেবল সে যাতনা বুঝছে কৃষকের মর্মপীড়িত বুক। সারা বছরের ধানের একমাত্র জমি, এক বছরের রক্ত-ঘামের কষ্ট সব আজ পানির নিচে।
#সুনামগঞ্জেরর বানাইর হাওড়, সাউলার হাওড়, হাইল হাওড়,জাওয়ার হাওড়,ট্যংগুয়ার হাওড়,টগার হাওড়,
সহ ২৯টি হাওড় এখন পানির নিচে।
#মৌলভীবাজারের হাকালুকির হাওড়, হাইল হাওড়, ট্যংগুয়ার হাওড়, কাউয়াদিঘি হাওড়।
#হবিগঞ্জের মকার হাওড়, ঘুঙ্গিয়াজুড়ি হাওড়, কাগাপাশা হাওড়।
#সিলেটের হাইল হাওড়, চাতল হাোড়, বালাইর হাওড় সহ
#নেত্রকোনা, #কিশোরগঞ্জের বিস্তৃন হাওড় প্রবেশ করছে বানের পানি। ইতোমধ্য অধিকাংশ হাওড়ের ফসল পানির নিচে। কিছু উচু জায়গা এখন বেচে আছে কিন্তু বাঁধের ভাঙ্গন না ঠেকাতে পারলে আর কিছুই রক্ষা করা যাবে না।
কৃষকের চেষ্টার কমতি ছির না কিন্তু তাও ঠেকানো যায়নি বাঁধগুলো।পাউবো ও ঠিকদারদের দুর্নীতি এবং গাফিলতির জন্য কেন খেসারত দিবে কৃষক? হাওড় উন্নায়ন প্রকল্পের কোটি কোটি টাকার কত টুকো কাজ হয় তা দেখছেন কেউ। যে লুটপাটের সাথে জড়িত নিচ থেকে উপর মহল পর্যন্ত।এখন এর দায়িত্ব কে নেবে ?
কৃষকের ভোটে নির্বাচিত কোন সাংসদেকে তো দেখলাম না হাওড় পাড়ে যেতে। বাঁধের কাজ যথাসময়ে হয়নি সেই দায় জনপ্রতিনিধিরা এড়াতে পারেন না। এখনই দায়ী ব্যক্তিদের বিরোদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া উচিত। কৃষি মন্ত্রনালয়, খাদ্য মন্ত্রনালয়, পানি উন্নায়ন বোর্ড এবং সর্বোপরি সরকারকে কৃষকের পাশে দাড়ানোর উদ্দ্যোগ নিতে হবে।
সিলেট বিভাগকে দুর্যোগ কবলিত অঞ্চল ঘোষনা করে হাওড় পাড়ের কৃষকের পাশে সরকারি বেসরকারি উদ্দ্যোগে দাড়ানো এখন মানবতার দাবী। কৃষকের এই ক্ষতি পুষিয়ে দিতে সরকারি ব্যবস্থা গ্রহন করা প্রযোজন। বেসরকারি উদ্দ্যোগে হাওড় বাঁধের ভাঙ্গন ঠেকানো ও ফসল হারানো বানভাসি কৃষকের কর্মসংস্থানের উদ্দ্যোগ গ্রহন করা সময়ের দাবি।
হে আল্লাহ, বাংলার অসাহায় কৃষকের পাশে দাড়ানোর তাওফিক দান কর এবং তাদের উপর তোমার রহমত বর্ষন করে হেফাজত কর। তোমার আসমানি গজবের হাত থেকে আমাদের রক্ষা কর। তুমি তোমার বান্দাদের রিজিক রক্ষা কর آمين