জাবের আহমদ:
১. মাদ্রাসা পড়ুয়াদের একটা ভয়ংকর সমস্যা হলো এরা সহজে নিজের বা নিজ বড়দের দোষ স্বীকার করতে চায়না ফলে আজীবন এরা ভুলের খেসারত দিয়ে যায় আর “ভাগ্যের” অজুহাত দিয়ে নিজেকে সান্তনা দেয়।
২. কওমী মাদ্রাসা ও এর পাঠ্যক্রমের সাথে জেনারেল শিক্ষিতদের অধিকাংশই অপরচিত! কারন হলো কওমী শিক্ষা ও শিক্ষিতদের সমাজ বিচ্ছিন্নতা|
৩. কওমী মাদ্রাসায় প্রধানত আরবী মাধ্যমে ইসলাম শিক্ষা দেয়া হয় কিন্তু এই আরবীও আধুনিক আরবীর সাথে খাপ খায়না! এছাড়া দুনিয়াবী শিক্ষা তো নেই বললেই চলে। ফলে একমুখো অপুর্নাঙ্গ একটা প্রজন্ম তৈরী হচ্ছে যারা বিশ্বায়নের চ্যালেঞ্জ মোকাবেলায় সম্পুর্ন অক্ষম। এই খাদে পড়া অবস্হা থেকে মুক্তি পেতে কওমী শিক্ষিতদের বিরাট একটা অংশ সংষ্কারের বিপ্লবী আওয়াজ তুলেছেন।ফলে যা হবার তাই হচ্ছে।বরাবরের মতোই সংষ্কারপন্তীরা প্রতিক্রিয়াশীল গোষ্ঠী দ্বারা বাক সন্ত্রাসের শিকার হচ্ছেন।আর এটাই স্বাভাবিক।
আশা করি কমাশিসা(কওমী মাদ্রাসা শিক্ষা সংষ্কার আন্দোলন) সব বাঁধা ডিঙিয়ে এগিয়ে যাবে। আর কমাশিসার সমন্বয়কদের আরেকটু দায়িত্বশীল আচরন ও বুদ্বীদীপ্ত পরিচালনা কামনা করছি।
নোট: এই লিখার সাথে কমাশিসা কর্তৃপক্ষের মতের মিল/অমিল থাকতেই পারে। ইহা লেখকের সম্পুর্ণ দ্বায় ভার। কমাশিসা কর্তৃপক্ষ বা পরিবার কোন প্রকার জিম্মাদারি নিতে বাধ্য নয়।