যুক্তরাষ্ট্রের কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা—সিআইএর কঠোর সমালোচনা করেছেন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। সংস্থাটির গুপ্তচরবৃত্তির লাখ লাখ গোপন নথি ফাঁস হওয়ার পরিপ্রেক্ষিতে তিনি বলেছেন, সিআইএ ‘সেকেলে’ হয়ে গেছে। এদিকে উইকিলিকসের প্রতিষ্ঠাতা জুলিয়ান অ্যাসাঞ্জ মনে করেন, নথি সংরক্ষণের ব্যাপারে সিআইএ ‘উদাসীন’।
গত মঙ্গলবার সিআইএর ৯ হাজার গোপন নথি ফাঁস করে বিকল্প ধারার গণমাধ্যম উইকিলিকস। এসব নথি অনুযায়ী, সিআইএ বিভিন্ন সাইবার অস্ত্র ও ম্যালওয়ার ব্যবহার করে উইন্ডোজ, অ্যানড্রয়েড, আইওএস, ওএসএক্স, লিনাক্স কম্পিউটার ও ইন্টারনেট রাউটার হ্যাক করে নজরদারি করে। এমনকি নজরদারি চালায় টেলিভিশনে বিশেষ যন্ত্র বসানোর মাধ্যমেও। এসব যন্ত্র কিংবা সফটওয়্যার বানানোর পেছনে সহযোগিতা করে ব্রিটিশ গোয়েন্দারা।
মূলত এই নথি ফাঁস হওয়ার পর সমালোচনার মুখে পড়ে সিআইএ। নথি সংরক্ষণের ব্যর্থতার পাশাপাশি প্রশ্ন ওঠে নজরদারির নৈতিকতা নিয়েও। উইকিলিকসের দাবি, সিআইএর যে পরিমাণ নথি তাদের হাতে আছে, তার তুলনায় এই ৯ হাজার খুবই নগণ্য। বাকি নথিগুলো যাচাই-বাছাই করে প্রকাশ করা হবে বলে জানিয়েছে তারা।
সিআইএর সঙ্গে ট্রাম্পের বিরোধ নতুন নয়। রুশ কর্মকর্তাদের সঙ্গে ট্রাম্পের লোকজনের যোগাযোগের খবর সম্প্রতি সিআইএর মাধ্যমে গণমাধ্যমে ফাঁস হয়ে যায়। এ ঘটনায় সিআইএর বিরুদ্ধে ‘রাজনীতি’ করার অভিযোগ তোলেন ট্রাম্প। যদিও এবারের ঘটনায় তাঁর সমালোচনার সুর কিছুটা নমনীয়।
ট্রাম্পের প্রেস সেক্রেটারি শন স্পাইসার বলেন, ‘নথি ফাঁসের ঘটনায় ট্রাম্প গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন। কারণ এসব নথি ফাঁস হওয়ায় আমাদের জাতীয় নিরাপত্তা হুমকির মুখে পড়েছে। ’ স্পাইসার বলেন, ‘ট্রাম্প মনে করেন, সিআইএর কর্মপদ্ধতি সেকেলে হয়ে গেছে। এর আধুনিকায়ন দরকার। ’
এদিকে সিআইএকে ‘উদাসীন’ বলে মন্তব্য করেছেন জুলিয়ান অ্যাসাঞ্জ। গত বৃহস্পতিবার এক ভিডিও বার্তায় তিনি বলেন, ‘সিআইএ কোটি কোটি নথি একটি জায়গায় সংরক্ষণ করেছে—এটা চরম অযোগ্যতা। ’ অ্যাসাঞ্জ আরো বলেন, সিআইএ সম্পর্কে আরো গোপন নথি তাঁদের হাতে আছে। কিন্তু এগুলো ফাঁস করলে প্রযুক্তিপণ্য বাজারজাতকরণ প্রতিষ্ঠানগুলো ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে। এ কারণে তাঁরা আপাতত সেগুলো ফাঁস করছেন না। সূত্র : এএফপি।