কমাশিসা : যেন একের পর এক বোমা ফাটছে। একে একে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডনাল্ড ট্রাম্প টিমের রাশিয়া কানেকশনের তথ্য ফাঁস হচ্ছে মিডিয়ায়। এরই মধ্যে এমনই এক ঘটনায় পদত্যাগ করেছেন অথবা বরখাস্ত করা হয়েছে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট মাইকেল ফ্লিনকে। অভিযোগ উঠেছে তার অ্যাটর্নি জেনারেল জেফ সেশনস প্রেসিডেন্ট নির্বাচন প্রচারণা চলাকালে গত বছর দু’বার সাক্ষাৎ করেছেন রাশিয়ার রাষ্ট্রদূত সের্গেই কিসলায়েকের সঙ্গে। অ্যাটর্নি জেনারেল হিসেবে নিয়োগ চূড়ান্ত করার শুনানিতে তিনি এ বিষয়টি গোপন করেছেন। ফলে তার পদত্যাগ দাবি করা হয়েছে ডেমোক্রেট দলের পক্ষ থেকে। আর এখন নতুন করে আরো একটি বোমা ফাটানো হয়েছে। বলা হয়েছে, প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের নির্বাচনী প্রচারণার পুরোভাগে প্রভাব বিস্তার করে ছিলেন তার জামাতা জারেড কুশনার। সেই কুশনার ও সাবেক জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা মাইকেল ফ্লিন রাশিয়ার রাষ্ট্রদূত কিশলায়েকের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেছিলেন ট্রাম্প টাওয়ারে। ডিসেম্বরে সেখানে ট্রাম্পকন্যা ইভানকা ট্রাম্পের স্বামী জারেড কুশনার ও সের্গেই কিসলায়েকের সাক্ষাৎ হয় ২০ মিনিট। এ খবর দিয়েছে লন্ডনের অনলাইন দ্য ইন্ডিপেন্ডেন্ট। এ বিষয়টি স্বীকার করে নিয়েছে হোয়াইট হাউস। বলা হয়েছে, যোগাযোগ স্থাপনের জন্য ওই সাক্ষাৎ হয়েছিল। এক সপ্তাহ আগে জারেড কুশনার ও সের্গেই কিসলায়েকের সাক্ষাতের খবর প্রকাশ করেছিল দ্য নিউ ইয়র্কার। এখন সেই রিপোর্টকে নিশ্চিত করেছে হোয়াইট হাউস। রাশিয়ার রাষ্ট্রদূত কিসলায়েকের সঙ্গে সাক্ষাতের কারণে অ্যাটর্নি জেনারেল জেফ সেশনসের বৈঠকের খবর প্রকাশিত হওয়ার কারণে তার পদত্যাগের দাবি জোরালো হয়েছে। ঠিক সেই সময়ে জারেড কুশনারের এ খবর মিডিয়ায় প্রকাশিত হলো। অভিযোগ আছে, প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প টিমের ৬ জন- পল ম্যানাফোর্ট, কার্টার পেজ ও মাইকেল কোহেন সহ অন্যরা গোপন যোগাযোগ স্থাপন করেছিলেন রাশিয়ার কর্মকর্তাদের সঙ্গে। নিউ ইয়র্ক টাইমস এক রিপোর্টে বলেছে, হোয়াইট হাউসের স্ট্রাটেজিক কমিউনিকেশনবিষয়ক পরিচালক হোপ হিকস এ বিষয়টি স্বীকার করেছেন। তিনি বলেছেন, তারা সম্পর্ক ও যোগাযোগ স্থাপনের বিষয় নিয়ে আলোচনা করেছিলেন। বিদেশি বিভিন্ন দেশ ও এর অনেক প্রতিনিধির সঙ্গে সাক্ষাৎ করেছেন জারেড কুশনার। এমন দেশের সংখ্যা হতে পারে দুই ডজন। কিসলায়েকের সঙ্গে তার সাক্ষাৎ স্থায়ী হয়েছিল ২০ মিনিট। তারপর থেকে কিসলায়েকের সঙ্গে জারেড কুশনারের আর কোনো সাক্ষাৎ হয়নি। উল্লেখ্য, এসব সাক্ষাৎ ওই সময়ে হয় যখন প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামার প্রশাসন রাশিয়ার সন্দেহভাজন ৩৫ জন গোয়েন্দা বা সরকারি কর্মকর্তাকে যুক্তরাষ্ট্র থেকে বের করে দেয় তখন। এ বিষয়ে জানুয়ারিতে প্রথম যখন জানতে চাওয়া হয় তখন হোয়াইট হাউস থেকে বলা হয়, ক্রেমলিনের কূটনীতিক (কিসলায়েক)-এর সঙ্গে মাইকেল ফ্লিন শুধু এসএমএস মেসেজ ও ফোনে কথা বলেছেন। কিন্তু এক মাসেরও কম সময়ের মধ্যে তাকে পদত্যাগ করতে হয়। তিনি হয়ে ওঠেন হোয়াইট হাউসে চাকরি করা সবচেয়ে কম সময়ের একজন কর্মকর্তা। অভিযোগ আছে, তিনি রাশিয়ার রাষ্ট্রদূত কিসলায়েককে নিশ্চয়তা দিয়েছিলেন যে, একবার প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প শপথ নেয়ার পর রাশিয়া ইস্যুতে শিথিলতা অবলম্বন করা হবে। অর্থাৎ রাশিয়ার ওপর আরোপিত অবরোধ নিয়ে তারা আলোচনা করেছিলেন। সের্গেই কিসলায়েককে মার্কিন গোয়েন্দা সংস্থাগুলো স্পাই বা গুপ্তচর হিসেবেই মনে করে। তিনি একজন প্রকৌশলী। এর আগে তিনি বেলজিয়ামে রাশিয়ার রাষ্ট্রদূতের দায়িত্ব পালন করেন।
এটাও পড়তে পারেন
সীমান্তে অভিবাসী শিশুদের তাড়াতেও কাঁদানে গ্যাস!
কমাশিসা: কাঁদানে গ্যাসের ধোঁয়ায় ঢেকে গিয়েছে চারদিক। আতঙ্কে ছুটোছুটি করছে অনেকগুলি পরিবার। শিশুদের জাপটে ধরেছেন ...