মাহদি হাসান সজিব
কাসেম নানুতুবি রহ. তখন বড্ডো অসুস্থ৷ জনৈক খ্রিস্টান পাদ্রী ধর্ম নিয়ে যত্রতত্র চেলেঞ্জ দিতে লাগলো৷ যাকে বলে ফাকা মাঠে গোল৷ তবে ওলামায়ে কেরামের সামনে আসতো না কখনো৷ যেমন সময়ের বাতিল ফিরকাগুলো৷ নিজেদের মঞ্চ গরম করে বড় বড় বক্তৃতা দিয়ে৷ ওলামায়ে হকের সম্মুখে আসার হিম্মতটা আর হয় না কখনো৷ শেষ অবধি সাধারণ লোকজন ওনাকে বললেন আমরা আপনার সঙ্গে বাহাস করতে প্রস্তুত তবে আমাদের মুনাজের কাসেম নানুতুবি৷ পাদ্রী রাজি হলো৷ লোকজন সকলেই হজরতের খেদমতে এসে আরজ করলেন আমরা আপনাকে না জানিয়ে খ্রিস্টান পাদ্রীর সঙ্গে বাহাসের জন্য নাম বলেছি৷ হুজুর বললেন অসুবিধে নেই আমি বিতর্কানুষ্ঠানে যাবো৷
হজরত নানুতুবি রহ. অসুস্থতা সত্তেও গেলেন সেখানে৷ খ্রিষ্টান পাদ্রীকে আরম্ভ করতে বললেন তার দলিলভিত্তিক আলোচনা৷ পাদ্রী বললো আপনি বড় মানুষ৷ আপনাকে সম্মান করি আমি আপনার আগে আলোচনা করতে পারি না৷ হুজুর বললেন আমার নবি যেহেতু সর্বশেষ তাই আমিই শেষে আলোচনা করবো৷ উনি রাজি ছিলেন না বিধায় নানুতুবি রহ. বললেন আমি শুরুতেও বলবো শেষেও বলবো৷ কারণ আমার নবী যেমন শুরুর তেমন শেষেরও৷ তাতেও রাজি হলো না৷ শেষমেষ হজুর রাজি হলেন এবং তিন ঘন্টা অবধি ইসলামের মহত্ব সম্পর্কে দালিলিক আলোচনা করে পাদ্রীকে তার বক্তব্য পেশ করতে বললেন৷ পাদ্রী শুধু এতটুকুন বলেই বিদায় নিলো যে এতক্ষণ কোনো কাসেম নানুতুবি আলোচনা করেনি বরং নানুতুবির জবান থেকে ফেরেস্তারা এলহাম করেছে৷
এসব দেখে এক হিন্দু বললো হজরত আপনি যদি মুসলমান না হয়ে হিন্দু হতেন তবে আমরা প্রতিটি মোড়ে আপনার মুর্তি রেখে পুজা করতাম৷ হুজুর বললেন আল্লাহ তা’লা খতমে নবুওয়াতের সততা প্রতিষ্ঠার জন্য প্রত্যেক গলিতে এমন হাজারো নানুতুবি সৃষ্টি করেছেন৷ মুসলমান তাদের কয়জনের মুর্তি বানিয়ে ইবাদাত করবে৷
লেখক : শিক্ষার্থী, দারুল উলুম দেওবন্দ, ভারত