রয়টার্স : মিয়ানমারের সেনাবাহিনী দেশটির সংখ্যালঘু রোহিঙ্গা মুসলিমদের বিরুদ্ধে সাম্প্রতিক দমন অভিযানের পক্ষে সাফাই গেয়ে বলেছে, এটি ছিল বিদ্রোহের বিরুদ্ধে বৈধ অভিযান। গতকাল মঙ্গলবার এক বিরল সংবাদ সম্মেলনে সেনা কর্তৃপক্ষ এ বক্তব্য দেয়।
সংবাদ সম্মেলনে সেনাবাহিনী দাবি করে, দেশের সুরক্ষার জন্য রোহিঙ্গাবিরোধী অভিযানের প্রয়োজন ছিল। এতে মানবাধিকার লঙ্ঘনের ব্যাপক অভিযোগের মুখে এই প্রথম দেশটির শীর্ষ জেনারেলরা বিষয়টি নিয়ে সরাসরি কথা বললেন।
সংবাদ সম্মেলনে সেনাবাহিনীর চিফ অব জেনারেল স্টাফ জেনারেল মিয়া তিন উ বলেন, ‘এ রকম ঢালাও অভিযোগ শুনে আর সেনাবাহিনী ও সরকার তাদের জন্য যেসব ভালো কাজ করেছে তা উপেক্ষিত হতে দেখে আমি খুব মর্মাহত।’ প্রচারমাধ্যমে রোহিঙ্গাদের উদ্ধৃত করে জ্বালাও-পোড়াওসহ সেনা অভিযানের সময় বিভিন্ন অত্যাচারের অভিযোগ প্রসঙ্গে কথাটি বলেন ওই সেনা কর্মকর্তা।
গত বছরের ৯ অক্টোবর বাংলাদেশ সীমান্তের কাছে রাখাইন প্রদেশে একটি পুলিশ ফাঁড়িতে সন্ত্রাসী হামলায় ৯ পুলিশ সদস্য নিহত হওয়ার পর মিয়ানমারের সেনাবাহিনী সেখানকার রোহিঙ্গাদের বিরুদ্ধে অভিয়ান শুরু করে। জাতিসংঘের বিশেষজ্ঞদের মতে, এ অভিযানে মানবাধিকার লঙ্ঘনের ঘটনাগুলো মানবতাবিরোধী অপরাধ এবং জাতিগত নির্মূলের পর্যায়ে পড়ে থাকতে পারে।
এটাও পড়তে পারেন
ইদলিবের মাধ্যমেই সিরিয়ার বিজয় সুচিত হবে ইনশাআল্লাহ!
ইদলিবে শিয়া মুনাফেক রুশ কাফেরদের এক কথায় তুলাধুনা চলবে……. প্রস্তুত তুরস্কের নৌবাহিনী সেনাবাহিনী বিমানবাহিনী। ইতিমধ্যেই ...