বোরকা পরে সাম্প্রদাযি়ক দাঙা ছড়াবার চেষ্টাকালে আটক হিন্দু যুবক। সংবাদটা পডে় তেমন একটা বিস্মিত হইনি। এই উপমহাদেশে হিন্দুদের দৌরাত্মা যাই হোক না কেনো, পৃথিবীব্যপী ইহুদীদের মুসলিম নিধনের দৌরাত্মা এর চেযে়ও ভয়াবহ। মুসলিম সমাজ মূলত গাফেল। প্রত্যেকেই যার যার জায়গা থেকে দায়হীন হতে বদ্ধ পরিকর। অন্যদিকে অমুসলিম অবিশ্বাসী বহুবিশ্বাসীরা মুসলিমসমাজ অঙ্কুরে বিনষ্ট করার পায়তারায় দিনরাত ব্যস্ত।
তবে কথিত মুসলমানদের মধ্যে ইদানিং যে সমস্যা আমাদের কাছে প্রতিয়মান হচ্ছে সেটা হলো, কমপ্লিট ইসলামকে নিজের মতো করে সাজাতে চেষ্টা শুরু করছেন সমযে়র কর্তারা। বুঝে-নাবুঝে, খেয়ালে-বেখেয়ালে, ইচ্ছা-অনিচ্ছায়, মুর্খোমী-ভন্ডামী যে কোনোভাবেই ইসলামকে ব্যবহার করা হচ্ছে নিজের স্বার্থে। শেষ পর্যন্ত এবারের হজে¦র যে বিষয়গুলোয় আমরা বাকরুদ্ধ হলাম, সবই আমাদের বিচ্যুতি, বিকৃতি ও শেষ বিচারের বিভিষিকা। এই দেখেন,হজ্বে গিযে় হাজরে আসওয়াদে মাথা ঢুকিযে় মোবাইল ফোান দিযে় সেলফি তুলে পাঠালেন কিছু পর্যটক। আমি এদেরা হাজী বলতে ইচ্ছুক নয়। শয়তানকে কংকর মারতে মারতে ছবি লোড দিলেন কংকরের। কা’বা তওয়াফ করতে করতে পিক দিলেন এই সৌভাগ্য হাসিলের। গর্ববোধ করলেন, আর বিশ্বকে জানান দিলেন আমি আল্লাহর সাথে কণ্ট্রাক করেছি, কিভাবে জান্নাতে যাওয়া যায় এর পথও আবিষ্কার করেছি। এই যে, সর্বোচ্চ ধর্মীয় স্থানগুলোর সেলফিস্ট স্টাইল, বা উপসানলায়গুলো উপভোগ্য পর্যটনকেন্দ্রে পরিণত করা এইগুলো কী কল্যাণ বহন করতে পারে?
বলা যেতে পারে, এগুলো অন্য মুসলমানকে উৎসাহিত করতে। সাডে় ১৪ শ বছর যাবত বিনা উৎসাহে লাখ লাখ মানুষ হজে¦ গিযে়ছিলেন নাকী আল্লাহর সাথে সরাসরি সাক্ষাতের মনোবাঞ্চনায় তারা খানাযে় কাবায়, মদীনা মুনাওয়ারায় লাব্বাযে়ক বলেছিলেন।
ভাবার বিষয়, মুসলমানগণ ভাবার বিষয়।
লেখক ও সাংবাদিক