কবি ও সঙ্গীত শিল্পী
বইমেলায় আমি দু’দিন যাই। একদিন সপরিবারে, একদিন একা। সারামেলা ঘুরে দেশী বিদেশী লেখকের ইতিহাস, ব্যাক্তিত্ব, বিশ্বরাজনীতি, দর্শন, ধর্মতত্ত্ব, ভূ-প্রকৃতি ও জাতিভিত্তিক গল্প-তথ্যের মাত্র ৩/৪টি বই কিনি।
বইগুলো আস্তে আস্তে একটু একটু করে সস্ ভরিয়ে ভরিয়ে লেবু-সালাদ মিশিয়ে মিশিয়ে পড়ে শেষ করি। এবারও ইচ্ছে আছে।
এবারের বইমেলায় যে তরুণদের প্রশাসনিক হয়রানি করা হলো তারা আমার কাছের ও আদরের। তারা এ বইমেলার তারকা হবে একদিন, অনবদ্য বই লিখবে, গোল হয়ে দাঁড়িয়ে আমার হাতে বই তুলে দেবে, আমি মোড়ক উন্মোচন করে আনন্দভেজা চোখে সুন্দর হাসিমুখে দু’হাতে উচুতে তুলে ধরবো তাদের বই, তারুণ্য হামলে পড়বে তাদের বই ঘিরে। পুলিশেরা বাঁশি ফুঁকে ছুটবে তাদের পথ পরিস্কার করতে।
তারা আবারও মেলায় যাবে, আরও অসংখ্য ইসলামি তরুণ যাবে, প্রতিদিন, সারাদিন, সকাল বিকাল সন্ধ্যা রাত, বার বার। শত শত, হাজার হাজার। বইমেলা দাড়ি টুপি জোব্বা পাঞ্জাবি বোরকা ওড়না হিজাবে ভরে ওঠবে। নামাজের সময় হলে জায়গায় জায়গায় বড় বড় চাদর বিছিয়ে ছোটো ছোটো জামাত হবে। মক্তব মাদরাসার শিশুরা দলবেঁধে বই দেখবে, কিনবে, ঘুরবে, খাবে, হাসবে, দৌড়বে। এটাই বাংলাদেশ।
বাংলাদেশ যাদের ভাল্লাগে না, তারা দেশ ছেড়ে চলে যাক।
চলো- চলো- বইমেলায় চলো।
লেখকের ফেসবুক থেকে