ফাহিম বদরুল হাসান :
কিছু কণ্ঠ ব্যতিক্রম। সামান্য পয়সা কামাতে ব্যবহার হয় না। হয়, অসামান্য প্রতিদানের আশায়। স্রষ্টার নিয়ামতের শ্রেষ্ঠ ব্যবহার করেন তারা। ক্বারি উবায়দুল্লাহ। এরকমই এক কণ্ঠের অধিকারী। তাঁর সুললিত কণ্ঠকে ব্যবহার করেছেন জগতের সর্বোৎকৃষ্ট কাজে। কুরআনের তিলাওয়াত আর নামাযের আহ্বানের সাথে তাঁর সুমিষ্ট কণ্ঠে এমনভাবে জড়িয়ে গিয়েছিল, যেন তাঁকে সৃষ্টি করা হয়েছিল, এই কাজের জন্যই।
রেডিও-টিভিতে তাঁর দেয়া আজান শুনেনি বাংলাদেশে এমন একজন অমুসলিমও পাওয়া যাবে না। টিভিতে আজানের সাথে দেয়া মক্কা-মদিনার ভিডিও ফুটেজ দেখে অনেকেই ভাবতেন, সৌদি আরবের কোনো শায়খের আযান। আমি এমনও মহিলাকে চিনতাম, যিনি জীবনে টিভিতে আযান ছাড়া কিছু দেখতে বসেন নি। আযানের সুর শুনে দৌড়ে আসতেন টিভির সামনে।
কিন্তু এই মহামূল্যবান মানুষটির মূল্যায়ন জাতি কীভাবে করল! ৮-১০ বছর ধরে অর্থের অভাবে প্রায় বিনা চিকিৎসায় মানবেতর জীবন কাটিয়ে আজ চলে গেলেন আল্লাহু আকবারের সান্নিধ্যে।
তাঁকে না চিনলেও আযানখানি শুনে দেখুন চেনা কি না https://m.youtube.com/watch?v=EHCNcAC-ywY
আল্লাহ তাকে জান্নাতবাসী করুন।