সৈয়দ আনোয়ার আবদুল্লাহ :
লেখাটি লিখেছিলাম স্বীকৃতি বিষয়ে ৩০ সেপ্টম্বর হাটহাজরীর প্রথম বৈঠকের ইনকিলাবের ভুয়া নিউজের প্রেক্ষিতে। তখন অনেকেই খুশি হতে না পারলেও দুধ কলা খাইয়ে স্বাধীনতা বিরোধী বেদাতি ইনকিলাবের সাপ পোষা চরিত্র আজ প্রকাশিত হল উলঙ্গভাবে।
স্বীকৃতির প্রযোজনীয়তা নিয়ে ১৯৮৬ সাল থেকে আজ পর্যন্ত কওমী স্বীকৃতির আলেমদের ঐক্যমত ও বিরোধিতা যারা করেন তাদের ধারাবাহিক প্রাথমিক তুলনামূলক একটি পর্যালোচনা করেছিলাম। বিরোধিতা যারা করেন তাদের একটি অংশ আদর্শিকভাবে কওমি উন্নয়নের কট্টর বিরোধী। জামাতি ও ইসলামি ব্যাংকের মুখলেসুর রহমান গংদের কথা পর্যালোচনার পর আজ বেদাতিদের কওমি মাদরাসার বিরোধিতাকারি ইনকিলাবের মোসাদ কানেকশনের ভয়ঙ্কর তথ্য আপনাদের সামনে তুলে ধরতে চাই।
কওমি নিয়ে এদের মাথা ব্যাথা কেন?
এখন তাদের চিহ্নিত করতে হবে, কারা কওমি মাদরাসার উন্নায়ন চায় না। চায় না জাতীয় ও আন্তর্জাতিক অঙ্গনে কওমি খেদমত বিস্তৃত করতে একটি মানসম্পন্ন সার্টিফিকেটের। কারা কওমি আলেমদের কাঙ্ক্ষিত ঐক্য চায় না? তারা ছলে বলে কৌশলে সময়ে সময়ে আমাদের ব্যবহার করেছে। ধোকা দিয়েছে। আমরা ধোকা খেয়েছি। জামাতি আর বেদাতিদের কোনদিন আমরা ব্যাবহার করতে না পারলেও তারা কীভাবে আমাদের সুযোগে ব্যবহার করে এই লেখাতে সেই চিত্রটি ফুটিয়ে তোলার চেষ্টা করব। বিএনপির আমলে মুখলেসুর রহমানের নামে জামাতিরা সক্রিয় ছিল; তৎপর ছিল কওমি ভিতরে বাহিরে স্বীকৃতি ঠেকাতে। এখন স্বীকৃতি ঠেকাতে বাহাউদ্দীন নামের বেদাতিরা সবচেয়ে বেশি সক্রিয় আমাদের ভিতরে ও বাহিরে।
কে এই বাহাউদ্দীন?
কওমি অঙ্গনের সবচেয়ে জনপ্রিয় পত্রিকা দৈনিক ইনকিলাব। দৈনিক ইনকিলাবের সম্পাদকি এ এম এ বাহাউদ্দীন। যিনি আলিয়া মাদরাসা শিক্ষক সমিতি জমিয়তুল মুদাররিসিনের সভাপতি। কট্টর বেদাতি। বেদাতিদের কট্টর আদর্শিক লোক হলেও তাদের প্রধান পুঁজি কওমি অঙ্গন। বুঝে না বুঝে মিডিয়ার শূন্যতার ফলে ছলে বলে কৌশলে এই বিদাতিরা ব্যবহার করে আসছে আমাদেরকে। পাশাপাশি সুক্ষ্ম কৌশলে কওমি অঙ্গনের বারবার ফাটল ও ভাঙ্গন তৈরি করে আসছে তাদের বাবার আমল থেকে।
বাহাউদ্দীনদের রাজনীতি আবার প্রথম আলো বা জনকণ্ঠ মার্কা নয়। তারা কখনো কওমির বিরুদ্ধে নিউজ করে না; বরং পজিটিভ নিউজ কাভার করে সাথে রাখে। কিন্তু বরাবরই এমন নিউজ করে যা কওমি অঙ্গনে ভুল বুঝাবুঝি ও ফাটল তৈরি করে।
ইনকিলাবের বিরোধিতার কারণ?
ইনকিলাব সম্পাদক ও আলিয়া মাদরাসা শিক্ষক সমিতির সভাপতি বাহাউদ্দীনরা মূলত কওমির জাত দুষমন। কওমি কর্ণধারদের মাঝে ফাটল সৃষ্টিই তাদের মূল টর্গেট ও মিশন। এছাড়া বর্তমান সময়ে তারা মনে করছে, ঐক্যবদ্ধভাবে কওমি মাদরাসা সনদের সরকারী স্বীকৃতি হলে, কওমির মেধাবী লাখো ছেলেরা আর প্রাইভেটে আলিয়া মাদরাসা থেকে সনদের জন্য পরীক্ষা দিবে না। উপজেলা ও জেলা লেভেলে আলিয়া মাদরাসাগুলো মূলত কওমির ছেলেদের পরীক্ষা দিয়ে তাদের ভাল রেজাল্ট দিয়েই ঠিকে আছে। সরকারের নির্দিষ্ট নীতিমালা আছে এমপিও ধরে রাখতে। এতো পার্সেন্ট ছাত্র পরীক্ষা দিতে হবে এবং শতকরা এতো… জন মেধা তালিকায় থাকতে হবে। নতুবা অনুদান ও এমপিও বাতিল হয়ে যাবে।
আমি যখন দাখিল পরীক্ষা দেই তখন ২৩ জন পরীক্ষার্থীর মাঝে ১৭ জনই ছিলাম কওমি মাদরসা থেকে আসা ছাত্র। সে আশঙ্কায়ই মূলত বাহাউদ্দীনদের কওমি স্বীকৃতি ঠেকাতে নানা অপপ্রচার আর সরকারের নানা মহলে তাদের লোকজনেরর কাছে দৌড়ঝাঁপ করছেন। কওমি স্বীকৃতি ঠেকাতে ভিতরে বাহিরে শক্ত লবিং চলছে।
এছাড়া তাদের রয়েছে শক্ত আন্তর্জাতিক প্রভূদের নির্দেশনা। বাংলাদেশের কওমি মাদরাসার রাজনীতি, অর্থনীতি ও অবকাঠামো যেন মাথা উচু করে দাঁড়াতে না পারে সে লক্ষ্যেই কাজ করে যাচ্ছে। তারা বারা বার ষড়যন্ত্র করে বাংলাদেশের কওমিধারার রাজনীতিতে শক্ত ফাটল তৈরি করেছে। ইসলামী ঐক্যজোটকে খণ্ড বিখণ্ড করার পেছনে তারা সরাসরি মদদ দিয়েছে এবং কূটবুদ্ধি খেলেছে মোসাদের ষড়ডযন্ত্রে।
অনেকে বলেন ইনকিলাবে কওমির কোন কোন আলেমও তো চাকুরী করেন। তারা মূলত ভিতরের বিভিন্ন পাতা দেখেন। কিন্তু ইনকিলাবের গভীর রাজনীতি ও অভ্যন্তরীণ কোন কিছুতে বা বার্তা বিভাগে তাদের কোন হাত নেই। তাই ভুল বুঝাবু্ঝির কোন সুযোগ নেই।
বাহউদ্দীনের ইসরাইলি কানেকশন!
বাহ্যিকভাবে কওমির আলেমদের একান্ত আপনজন বাহাউদ্দীনের কূটচাল জানতে হলে জানতে হবে তার ডান হাত কে। তার ডান হাত হলো দৈনিক ইনকিলাবের দীর্ঘদিনের ব্যবস্থাপনা সম্পাদক ও প্রভাবশালী ইংরেজি সাপ্তাহিক “উইকলীলি ব্লিটজ” এর সম্পাদক সাংবাদিক সালাহ উদ্দীন শোয়েব চৌধুরী।
আলেমদেরকে সাথে রেখে তারা কীভাবে কাদের এজেন্ডা বাস্তবায়ন করতে সক্রিয় এবার দেখুন। এমনকি অনেকের পেছনে বড় অঙ্কের অর্থও তারা ব্যয় করে থাকে কওমির রাজনীতি ও প্রতিষ্ঠানকে কোনঠাসা করে রাখার জন্য। এই বাহাউদ্দীন ও শোয়েব চৌধুরীর বাসাতে আলখেল্লাধারী কিছু নামধারী আলেমের নিয়মিত যাতায়াতের খবরও পাওয়া যায়। বর্তমানে কওমি স্বীকৃতি ঠেকাতে আলেমদের ভেতরে ফাটল তৈরিতে তারা কোমর বেঁধে লেগেছে। ঝাকে ঝাকে বিমান টিকেটের অর্থ সেখান থেকেই আসছে বলে শোনা যাচ্ছে। দীর্ঘদিন স্বীকৃতির পক্ষে কাজ করা একজন কর্তাব্যক্তি এখন কট্টর বিরোধিতার কারণ একই হতে পারে বলেও মনে করছেন বিশ্লেষক মহল। কারণ প্রধানমন্ত্রীর ঘোষণার পর থেকে একাধিকবার ইনকিলাবওয়ালদের সাথে বৈঠক করতে দেখা গেছে।
ভয়ঙ্কর তথ্য হল জঙ্গিদের লালন ও পৃষ্ঠপোষকতায় ইসরাইলের এই চরদের হাত রয়েছে। নিষিদ্ধ ঘোষিত জঙ্গি সংগঠন হরকতুল জিহাদ (হুজি)যখন ইসলামী ডেমোক্রেট দলের নাম ধারন করে প্রকাশ্যে রাজনীতিতে আসে, সেদিন ঢাকার ইঞ্জিনিয়ার ইনিস্টিটিউটে তাদের সমাবেশে প্রধান অতিথি ছিল এই সাংবাদিক সালাহ উদ্দীন শোয়েব চৌধুরী। অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন জোটভূক্ত কোনো কোনো ইসলামী দলের বড় বড় কওমি আলেম।
কে এই ইনকিলাবীয় শোয়েব চৌধুরী?
শোয়েব চৌধুরীর উইকি লিঙ্কে লেখা আছে- শোয়েব চৌধুরী দুবার বাংলাদেশে মোসাদের গোয়েন্দাগিরি করার অপরাধে ধরা খাওয়ার পর তাকে মুক্ত করার জন্য যে ক্যাম্পেইন হয়েছিলো তার নেতৃত্বে রিচার্ড বেনকিন নামক এক মার্কিন ইহুদী। রিচার্ড বেনকিন ও সালাউদ্দিন শোয়েব চৌধুরী একত্রে বেশ কয়েকটি ইসরাইলি সংগঠনের সাথে জড়িত। (https://en.wikipedia.org/wiki/Salah_Choudhury)
ইসরাইলের একান্ত দোসর শোয়েব চৌধুরীকে ইসরাইল-মোসাদ কানেকশন ও দেশ বিরোধী তৎপরতার দায়ে ২৯ নভেম্বর ২০০৩ সনে তৎকালীন জিয়া আন্তর্জাতিক বিমান বন্দর (বর্তমানে হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমান বন্দর) থেকে গ্রেফতার করা হয়। তিনি ১ ডিসেম্বর ২০০৩ তেলআবিবে অনুষ্ঠিতব্য এক কনফারেন্সে যোগদানের উদ্দেশ্যে ঢাকা ত্যাগ করার চেষ্টা করছিলেন। বিমানবন্দরে ইমিগ্রেশন পুলিশ তার লাগেজে বাংলাদেশের অভ্যন্তরীণ ও কওমি মাদরাসা এবং ইসলামি বিরোধী ষড়যন্ত্রের নানা তথ্য সম্বলিত অনেক ডকুমেন্ট ও সিডি উদ্ধার করে। বাংলাদেশে সংখ্যালঘুদের উপর অত্যাচার ও আল-কায়েদার নেটওয়ার্ক সম্পর্কিত নানা ভৌতিক তথ্যও ছিল তাতে।
তার গ্রেফতার সম্পর্কিত খবর পরের দিন ইংরেজী পত্রিকা Daily_Star পত্রিকায় ফলাও করে ছাপা হয়।
Man with ‘Mosad links’ held at ZIA শিরোনামের খবরে বলা হয় :
A man was arrested at Zia International Airport yesterday morning on his way to Tel Aviv for his alleged Mossad connection. A leader of Bangladesh chapter of ‘Iflaq’, a Haifa-based organisation, Salauddin Shoib Chowdhury was carrying compact discs (CD‘s) and papers containing write-ups on some sensitive issues including ‘minority repression and the al Qaeda network in Bangladesh’, police said. Shoaib was managing director of the planned Inquilab Television until he was sacked last year…….
এরপর চৌধুরী সাহেব একাধারে ১৭ মাস জেল খাটেন। তিনি ইনকিলাব টিভি প্রতিষ্ঠা করার জন্যও কাজ করেছেন। তিনি ইনকিলাব টিভির এম.ডি হিসেবে নিযুক্ত হন। ইনকিলাব টিভিতে তার প্রায় এক মিলিয়ন টাকার মোট ৩০% শেয়ার ছিল বলে দাবী করেন। ইনকিলাব পত্রিকা যখন জাতীয়তাবাদী ও ইসলামী শক্তির পক্ষে কাজ করছিল, ঠিক সেই মুহূর্তেও ইনকিলাব টিভির সর্বোচ্চ পদে ঘাপটি মেরে ছিল দেশ ও জাতির শত্রু এবং ইসরাইলের এ চর! এ ঘটনা থেকে কি ইসলামী সংগঠন বা প্রতিষ্ঠানগুলো কোনো শিক্ষা নেবেনা?
১২ কোটি বিলিয়নেরর সেই সুত্র!
১ লা ডিসেম্বর ২০০৩ ডেইলী স্টার লিখেছে- “বিমানবন্দরে তাকে গ্রেফতার করার সময় তার কাছে একটি প্রজেক্ট প্রোফাইল পাওয়া যায়, যাতে তিনি ইসরাইলের কাছে তিনটি দৈনিক পত্রিকা যথা দৈনিক সোনালী দিন, দৈনিক রূপান্তর, দৈনিক পরিবর্তন প্রকাশের জন্য ১২ কোটি টাকা বিলিয়ন সাহায্যের আবেদন করেছিলেন। তিনি তার আবেদনে ইসরাইলী বন্ধুদের মুসলিম প্রধান দেশে মিডিয়া গড়ে তোলার জন্য আহ্বান জানিয়ে বলেন, কোটি কোটি ডলার খরচ করে যুদ্ধবিমান ক্রয়ের চেয়ে মিডিয়া সৃষ্টি করুন, এতে ইসরাইল বেশি লাভবান হবে। (সুত্র: ডেইলী স্টার, ০১/১২/২০০৩, (http://goo.gl/j2VkeO )
১৫ অক্টোবর ২০০৬ সালে ওয়াল স্ট্রীট জার্নাল এ সম্পর্কে একটি রিপোর্ট প্রকাশ করে, যার শিরোনাম ছিলো Darkness in Dhaka। সেখানে বলা হয়– “মি. চৌধুরীকে গ্রেফতার করা হয় মূলত ইসরাইলের পক্ষাবলম্বন এবং পাসপোর্টে অনুমতি না থাকার পরেও ইসরাইল ভ্রমনের চেষ্টা করার জন্য। পত্রিকাটি মি. চৌধুরীর উদ্বৃতি দিয়ে লিখে, “আমি যখন প্রথম সাপ্তাহিক ব্লিজ প্রকাশ করি তখন সিদ্ধান্ত নেই ইহুদী খৃষ্টানদের বিরুদ্ধে বিশেষত ইসরাইলের বিরুদ্ধে বাংলাদেশে যে সংঘবদ্ধ প্রচারণা চলছে তার অবসান ঘটাতে। বাংলাদেশে শুক্রবারের খুতবায় মোল্লারা মূলত জিহাদের বানী প্রচার করে এবং ইহুদী খৃষ্টানদের হত্যা করতে উদ্বুদ্ধ করে)।
উল্লেখ্য বর্তমান সরকার ক্ষমতায় আসার পরে মোসাদ কানেকশনে তাকে ফের গেপ্তার করে। মোসাদ এজেন্ট সালাউদ্দিন শোয়েব চৌধুরী অর্থ প্রতারণার মামলায় ৪ বছর এবং রাষ্ট্রদ্রোহী মামলায় ৭ বছর কারাদণ্ড ভোগ করছে। (http://goo.gl/weyqmN )
সালাউদ্দিন শোয়েব চৌধুরী ইসরাইলভিত্তিক সংগঠন ইফলাক (IFLAC, international forum for literature and culture for peace) এর সদস্য এবং ইসরাইল-ইসলাম বন্ধুত্বের একজন উপদেষ্টা । ইসরাইল রাষ্টের বন্ধু তালিকায় তার নাম রয়েছে। সালাউদ্দীন শোয়েব চৌধুরী আলেমদের সাথে সম্পর্ক রাখলেও তার কিছু বাংলাদেশ ও ইসলাম বিরোধী লেখা পাবেন-
ক) https://goo.gl/RkNHLx
খ) https://goo.gl/Idcsgk
সম্প্রতি ইসলাম বিরোধী একটি সিনেমাও তারা তৈরি করেছে বলে অভিযোগ উঠেছে।
তবুও আমরা ইনকিলাবই পড়ি!
ইনকিলাব একটি তৃতীয় সারির দৈনিক পত্রিকা! যখন যে সরকার আসে, তখন সে সরকারের পক্ষেই নুন খাওয়া আর গুন গাওয়া। কাজেই ইহা একটি পা চাটার গুণগ্রাহী একটি পত্রিকা। অনেকেই এই বিদআ’তি পত্রিকাটিকে কওমিদের পত্রিকা মনে করত, এমনকি অনেকেই এখনও মনে করে অজ্ঞতাবশত!
পাঠকের খেয়াল আছে- সেই বাইতুল মোক্বাররমের খতিব নিয়োগের সময় এই বিদাতি পত্রিকার ভূমিকা! ভুলে গেলেন সেই নির্লজ্জ সালাহুদ্দিনের কথা। তৎকালীন হক্ব-বাতিলের লড়াইয়ে এই মুনাফেক্ক বাহাউদ্দিন ভণ্ড খতিবের পক্ষে ও আন্দোলনরত সকল মুসল্লি তথা কওমির ছাত্র শিক্ষকদের বিরুদ্ধে একাধিক সভা-সেমিনার করেছিল, পত্রিকায় বিদাতের পক্ষে এবং হক্বের বিপক্ষে তার লেখনী ছিল অগ্রজ!
মাথায় কাঠাল রেখে খায়
সাধু সাবধান, ইনকিলাব মুনাফেক পত্রিকা! এরার সবসময়ই কওমিওয়ালদের মাথায় কাঠাল রেখে ভেঙ্গে খেতে সিদ্ধহস্ত। এটা কখনও ক্বওমিওয়ালাদের পত্রিকা নয়! সব কথা সব তথ্য বিশ্বাস করা যাবে না। যদি দেখেন ইনকিলাব ক্বওমিদের পক্ষে সরব- তখনি বুঝতে হবে বাহাউদ্দীন কোন নিখুঁত ষড়যন্ত্র করছে! নিখুঁত বলছি কারণ- ষড়যন্ত্র করে ওরা সাময়িক সাফল্য পেয়েছেও! যেমন ইসলামী এক নেতা এক সমাবেশে একজন দ্ব্যর্থ কণ্ঠে বলছিলেন যে, বর্তমানে ইসলামের পক্ষে একটি পত্রিকাই আছে, আর সেটি হল ইনকিলাব (উঁনার ভাষায়)! তাদের থেকে সাধু সাবধান!
জহির উদ্দিন বাবর ভাই যথার্থ লিখেছেন… ‘চরিত্রহীন’ একটি জাতীয় দৈনিক প্রায় তিন দশক ধরে এদেশের ইসলামপন্থীদের নিয়ে খেলা করে যাচ্ছে। ইসলামপন্থীদের মধ্যে বিভাজন সৃষ্টি, অভ্যন্তরীণ দ্বন্দ্ব-সংঘাতগুলো উস্কে দেয়া, দল ভেঙে টুকরো টুকরো করা, নন ইস্যুকে ইস্যু বানিয়ে ‘আবেগি’ পাবলিককে রাস্তায় নামানো, ফুলিয়ে-ফাঁপিয়ে রঙ লাগিয়ে খবর প্রচার করা পত্রিকাটির নতুন স্বভাব নয়।
যৌবন-হারানো এই পত্রিকাটিকে এখনও ইসলামপন্থীরা ‘ওহির’ মতো জ্ঞান করেন। প্রতিটি মাদরাসায় ‘নিম্নমানের’ এই কাগজটি অনেকটা পূন্যের কাজ মনে করে রাখা হয়। এবার সেই পত্রিকাটির বিরুদ্ধে কারও কারও ক্ষ্যাপা দেখে ভালো লাগছে। তবে পত্রিকাটির হঠকারী চরিত্রের কথা ভুলতে যে আমাদের মতো আবেগিদের বেশি সময় লাগবে না সে ব্যাপারেও আমি নিশ্চিত।
টিকাঃ
দৈনিক ইনকিলাবে world wide film industries এর রসালো খবরগুলো প্রতিদিনই আলাদা page এ ছাপায়, যা বেহায়াপনায় অন্যান্য পত্রিকাকেও হার মানায়!!!
লেখক : তরুণ গবেষক ও কবি