রবিবার, ২৮শে এপ্রিল, ২০২৪ ইং
কমাশিসা পরিবারবিজ্ঞাপন কর্নারযোগাযোগ । সময়ঃ দুপুর ২:০৪
Home / কওমি অঙ্গন / আল্লামা মাহমূদুল হাসানের আমন্ত্রণ ’প্রত্যাহার’ করল বেফাক

আল্লামা মাহমূদুল হাসানের আমন্ত্রণ ’প্রত্যাহার’ করল বেফাক

কওমী মাদরাসা শিক্ষা সনদের স্বীকৃতির লক্ষ্যে জাতীয় ঐক্যের পথ খোঁজছেন দেশের শীর্ষ আলেমরা। সেই ঐক্যের ডাক দিয়েছেন বাংলাদেশ কওমি মাদরাসা শিক্ষা বোর্ড বেফাকের সভাপতি শাইখুল ইসলাম আল্লামা শাহ আহমদ শফী। ১০ ডিসেম্বর চট্রগ্রামের হ্টহাজারিতে এই বেঠক অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা রয়েছে।

সূত্র জানিয়েছে, ঐক্যের এই বৈঠকে দাওয়াত করা হয়েছে দেশের শীর্ষ কয়েকজন আলেমকে। দাওয়াত পেয়েছেন জামিয়া ইকরা বাংলাদেশের মহাপরিচালক, কওমি মাদরাসা শিক্ষা কমিশনের কো-চেয়ারম্যান আল্লামা ফরীদ উদ্দীন মাসঊদ, যাত্রাবাড়ী মাদরাসার প্রিন্সিপাল ও মজলিসে দাওয়াতুল হকের আমীর আল্লামা মাহমূদুল হাসানসহ কওমি মাদরাসার চার বোর্ডের নেতারা।

সোমবার সন্ধ্যায় আওয়ার ইসলামের সঙ্গে কথোপকথনে প্রায় অনেকেই দাওয়াত পাওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন এবং বৈঠকে যাওয়ার ব্যাপারে সিদ্ধান্তও নিয়েছেন। আশা আকাঙ্খায় বুক বেধেঁছেন চল্লিশ লক্ষ মাদরাসা শিক্ষক-শিক্ষার্থী। তবে দিন গড়িয়ে সন্ধ্যা-রাত। রাতের আঁধার বাড়তেই খবর এলো- আল্লামা মাহমূদুল হাসানকে দেওয়া বৈঠকের আমন্ত্রণ প্রত্যাহার করা হয়েছে।

সোমবার রাতে বেফাকের পক্ষ থেকে একটি খাস বৈঠকের বরাত দিয়ে আল্লামা মাহমূদুল হাসানকে জানানো হয় ১০ তারিখের বৈঠকে শুধু কওমি মাদরাসাকেন্দ্রিক চার বোর্ডের দায়িত্বশীলরা অংশগ্রহণ করবে। দেশেল শীর্ষ আলেমদের সঙ্গে বিষয়টি নিয়ে পরে বৈঠক অনুষ্ঠিত হবে।

সূত্র জানায়, সোমবার মালিবাগ মাদরাসায় বেফাকের নেতাদের এক জরুরি বৈঠকে আল্লামা মাহমূদুল হাসানের আতন্ত্রণটি ‘আপাতত স্থগিতের’ সিদ্ধান্ত হয়।

এ বিষয়ে যোগাযোগ করা হলে আল্লামা মাহমূদুল হাসান আওয়ার ইসলামকে বলেন, বেফাকের সভাপতি শাইখুল ইসলাম আল্লামা শাহ আহমদ শফীর পক্ষ পক্ষ থেকে বৈঠকের আমন্ত্রণ পেয়েছিলাম। যাওয়ার সিদ্ধান্ত ছিল। কিন্তু সেটা কেন স্তগিত করলো বিষয়টি আমার কাছে পরিস্কার নয়।

তবে তিনি মালিবাগের বৈঠক ও বাইরের চারজন নেতার নাম উল্লেখ করে বলেন, এই চার নেতার বিরোধিতার কারণেই আল্লামা শফীর নির্দেশ উপেক্ষা করে আমাকে বৈঠকে যেতে মানা করা হচ্ছে। কারণ বেফাকের ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব মাওলানা আবদুল কুদ্দুস যখন আমাকে দাওয়াত দিয়েছিলেন, তখন স্পষ্টভাবে আমাকে বলেছেন, হাটহাজারির হজরত আল্লামা শাহ আহমদ শফী হাফিজাল্লাহুর পক্ষ থেকে আপনাকে বৈঠকের দাওয়াত দেওয়া হচ্ছে। আমি কথা দিয়েছিলাম যাবো। এমনকি মাওলানা আবদুল কুদ্দুস আমার যাত্রবাড়ি মাদরাসা বেফাকভুক্ত করা হবে কি না জানতে চাইলে আমি বলেছি, হাটহাজারির হজরত বললে অবশ্যই বেফাকভুক্ত করবো। তাছাড়া আমার অধীনের প্রায় কয়েকশ মাদরাসা তো বেফাকের অধীনেই পরীক্ষা দিচ্ছে।

বেফাকের ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব মাওলানা আবদুল কুদ্দুস বলেন, আমরা প্রথমে শীর্ষ আলেমদের বৈঠকের বিষয় ভেবেছিলাম তবে সিদ্ধান্ত পাল্টে বোর্ডগুলোর সঙ্গে বসছি। শীঘ্রই শীর্ষ আলেমদের সঙ্গে বৈঠক হবে। তবে বোর্ডের বাইরে আমন্ত্রণ পাওয়া আল্লামা ফরীদ উদ্দীন মাসউদ ১০ ডিসেম্বরের ঐক্যের মিছিলে যোগ দিতে হাটহাজারিতে যাচ্ছেন। আওয়ার ইসলামের সৌজন্যে

About Abul Kalam Azad

mm

এটাও পড়তে পারেন

কওমি মাদরাসা কল্যাণ ট্রাস্ট, বাংলাদেশ

খতিব তাজুল ইসলাম ট্রাস্টের প্রয়োজনীয়তাঃ কওমি অংগন একটি স্বীকৃত ও তৃণমূল প্লাটফর্ম। দেশ ও জাতির ...