৩. বিসর্গ ঃ, কোলন :
দুটোর মাঝে পার্থক্য স্পষ্ট। বিসর্গ একটি বর্ণ। বিসর্গের পরের বর্ণের দ্বিত্ব উচ্চারণ হয়। যেমন দুঃসাহস। উচ্চারণ : দুশশাহস।
আর কোলন হল একটি যতিচিহ্ন। যার নির্দিষ্ট ব্যবহারক্ষেত্র রয়েছে। কিন্তু আমরা একটি অপরটির স্থানে বসিয়ে দিই!
বাংলায় সংক্ষেপণের জন্য একবিন্দু ব্যবহৃত হয়। যেমন মো. মুহা. মাও. পো. লি. ইত্যাদি।
এসব ক্ষেত্রে মো: বা মোঃ দুটোই ভুল। অনেক মানুষ এসব ভুলের শিকার; যদিও তারা স্বীকার করে না।
৪. পেশাদারত্ব, অংশীদারত্ব
এ দুনো বানান শুদ্ধ। অথচ প্রায় সবাই পেশাদারিত্ব ও অংশীদারিত্ব লিখছেন।
পেশাদারি – পেশাদারত্ব
অংশীদারি – অংশীদারত্ব
দেখুন উভয়টিই মাসদার বা বিশেষ্য। এটাকে ত্ব লাগিয়ে আবার বিশেষ্য বানানো ভুল। অভিধানে এ বানান নেই। সুতরাং আমার কথার পক্ষেও দলিল অনুপস্থিত। তবে প্রথম আলো পত্রিকায় এভাবে লেখা হয়, কয়েকদিন আমি দেখেছি।
অংশীদারত্বের ওপর অনুমান করে অধিকারত্ব লেখা যাবে না। শুদ্ধ হল অধিকারিত্ব।
আরও পড়ুন : বানানচর্চা- ০২ : বাংলা একাডেমী প্রমিত বাংলা বানানের নিয়ম