ইশতিয়াক আহমেদ :
আমরা এতদিন চিৎকার করে সরকারকে বলেছি রোহিঙ্গা মুসলিমদের জন্য সীমান্ত খুলে দিন। এদেশে তাদের আশ্রয় দিন। তাদের সাহায্য করুন। এমনকি খুলে না দেয়ার কারণে সরকারকে অনেক গালিগালাজও করেছি।
হ্যাঁ এটা আমরা ভিতরের অনুশোচনা আর কষ্ট থেকে করেছি। মুসলিমদের জন্য মায়া থেকে করেছি। কিন্তু আমরা একবারও কি ভেবে দেখেছি যে, এদেশে আমরাই কতটুকু নিরাপদ? আমরা কতটুকু শান্তিতে বসবাস করছি নিজ দেশে? ভাবিনি। হুম ভাবিনি বলেই গলা ফাটিয়ে চিৎকার করেছি সীমান্ত খুলে দাও, ওদের আশ্রয় দাও।
এখন যারা আশ্রয় পেয়েছে তাদের অবস্থা জানেন? রোহিঙ্গা যুবতি মেয়েদের ধর্ষণ করা হচ্ছে আমাদের সীমান্তে। মেহমানকে তো কদর করতেই পারিনা উলটো তাদের ভয়ানক ক্ষতি করছি। মেয়েদের সবচেয়ে বড় সম্পদ তাদের ইজ্জত কেড়ে নিচ্ছি।
জানেন! ওরা আমাদের দেশের মেয়েদের মতো আল্ট্রা মডার্ন নয়। ওরা আমাদের দেশের মেয়েদের মতো আধুনিকের নামে পতিতা নয়। তারা হয়তো এটাও জানেনা যে ফেসবুক কি ইন্টারনেট কি। তারা অতি সাধারণ এবং অতি ভালো মেয়ে। আর আমরা তাদের কি করছি??
টেকনাফ, কক্সবাজার সীমান্তের বাংগালি ছেলেরা আগত রোহিঙ্গা মেয়েদের ইজ্জত কেড়ে নিচ্ছে। ধর্ষণ করছে। এটার কোন বিচারও নেই। হবেও না। কেনই বা হবে? এরা তো এদেশের কেউ না। আর এদেশের স্থায়ী মেয়েরাই যারা ধর্ষিতা হয় তারাই তো বিচার পায় না। তাহলে ওরা কি করে পাবে!
আমরা ওদেরকে এদেশে এনে তাদের আরো ক্ষতি করে দিচ্ছি। তারা নিজেদের দেশ থেকে পালিয়ে এসে একটু শান্তির জন্য আশ্রয় নিয়েছিল কিন্তু আরো বড় অশান্তিতে পরছে তারা। আমরা তাদের দুর্বলতার সুযোগ নিচ্ছি। হায়! আমরা কতোটা পশু হয়েছি বাংগালিরা? ছিঃ বাংগালি ছিঃ……
বাংগালি হতে পেরেছি মোরা
মানুষ হতে পারিনি।
ক্ষমা করোনা আমাদের তোমরা হে মুসলিম রোহিঙ্গারা। আমাদের অভিশাপ দাও। আমরা তোমাদের উপকার তো করতেই পারিনি বরং আরো ক্ষতি করে দিচ্ছি। অভিশাপ দাও এ পশুজাতি বাংগালিদের। অভিশাপ দাও…….