মাসুম আহমদ : তা’লীমুদ্দীন ফাউন্ডেশন -এর পক্ষ থেকে অনুদানস্বরূপ ২০,৬০০ টাকা ‘সিলেটের ওসমানীনগরে মসজিদের হুজরাখানায় দুর্বৃত্তদের হাতে শাহাদতবরণকারী ইমাম মাওলানা আবদুর রহমান মোগলাবাজারী’ রহঃ -এর পরিবারে গতকাল সোমবার পৌঁছে দেয়া হয়েছে।
মরহুমের পিতা জনাব আব্দুল বারি সাহেবের হাতে টাকা প্রদান করেন সিলেটের ঐতিহ্যবাহী আম্বরখানা জামে মসজিদের ইমাম ও খতীব, হাফিজ মাওলানা মুফতি সালেহ আহমদ ও অনলাইনের জনপ্রিয় ব্যক্তিত্ব, হাফিজ মাওলানা মুফতি জিয়া রাহমান।
নিহত ইমাম আব্দুর রহমানের বাড়ী সিলেটের মোগলাবাজার থানার সোনাপুর গ্রামে অবস্থিত। তিনি ৩ সন্তানের জনক। বড় ছেলের বয়স সাড়ে তিন বা চার, মেয়ের বয়স আড়াই এবং ছোট ছেলের বয়স মাত্র আট মাস।
আমাদের ইচ্ছা ছিলো সোনাপুর গ্রামে উপস্থিত হয়ে টাকা পৌঁছে দেবো। কিন্তু পানি ও কাদা থাকায় কষ্ট হবে ভেবে তাদের পরিবার থেকে আমাদের নিরুৎসাহিত করা হয়। এরিমধ্যে গতকাল সোমবার আব্দুর রহমান রহঃ –হত্যা মামলায় গ্রেফতারকৃত সন্দেহভাজন ২ আসামিকে কোর্টে হাজির করার কথা থাকায় শহরে উপস্থিত হন মরহুমের পিতা জনাব আব্দুল বারি।
কোর্টের কার্যক্রম শেষে পরিবারের আরও ২ সদস্য সহকারে তিনি আম্বরখানা জামে মসজিদে যোহরের নামাজ আদায় করেন। নামাজ শেষে তার হাতে টাকা তোলে দেয়া হয়। তিনি পরিবারের বর্তমান অবস্থা তুলে ধরেন। নাতি-নাতনীদের প্রতি তার আন্তরিকতার গল্প বলেন। অতঃপর ঝরঝর করে অশ্রু ঝরিয়ে তিনি বিদায় নিয়ে চলে যান। তখন থেকে অসহায় এই পরিবারটির প্রতি অন্তরে নীরব ব্যথা অনুভব করছি।
তা’লীমুদ্দীন ফাউন্ডেশনের সাথে সম্পৃক্ত যারা এই মহতী কাজে সহযোগিতা করেছেন, আল্লাহ্ তায়ালা সবাইকে উভয় জাহানে সফলতা দান করুন। বিশেষভাবে তা’লীমুদ্দীন ফাউন্ডেশনের খাদেম এএসকে সুমন ভাইকে আল্লাহ্ তায়ালা ক্ববুল করুন!
যেহেতু বিভিন্নজনের সহযোগিতায় টাকা দেয়া হয়েছে। তাই স্বচ্ছতার স্বার্থে প্রমাণ হিসেবে লেখা ও ছবি প্রকাশ করা হলো। লোকদেখানো কিংবা অন্যকিছু মনে করার কোনও কারণ নেই। আল্লাহ্ তায়ালা আমাদের সবাইকে জনসেবামূলক কাজে সম্পৃক্ত থাকার তাওফীক্ব দান করুন।
Komashisha